ঘরদোর
হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে দেখে নিন এই বিষয়গুলি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: হেয়ার ড্রায়ার কেনার কথা ভাবছেন। সস্তা বা দামি দেখে কিন্তু ভালোমন্দ বিচার করবেন না। কারণ বিশেষ কিছু বিষয়ই ড্রায়ারকে দীর্ঘমেয়াদী বানাতে পারে।
একটা ‘ভালো’ হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে তাই দেখে নেওয়া উচিত এই বিষয়গুলি –
১। ওয়াট
প্রথমেই হেয়ার ড্রায়ার কত ওয়াটের জানা খুব জরুরি। কারণ, খুব ঘন ও মোটা চুল হলে তবেই বেশি ওয়াটের হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন। চুল পাতলা হলে হেয়ার ড্রায়ার যেন বেশি ওয়াটের না হয়, মনে রাখবেন। অন্য দিকে প্রতি দিন হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে, কম ওয়াটের ব্যবহার করা উচিত।
২। নজল ও ডিফিউজার
দেখে নিন হেয়ার ড্রায়ারের সঙ্গে যে অ্যাটাচমেন্টগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো কেমন। যেমন নজলটি ঠিক না হলে কিন্তু ব্লো ড্রাই করতে পারবেন না। আবার কোঁকড়ানো চুলের জন্য ডিফিউজার সহ হেয়ার ড্রায়ার কেনা দরকার, তা না হলে চুল শুকোনোর পরে চুল ফ্রিজি দেখাবে।
৩। ওজন
খুব ভারী হেয়ার ড্রায়ার চুল স্টাইল করার সময়ে অসুবিধের কারণ হয়। আবার খুব হালকা হলে ভেঙে যাওয়ার বা তাড়াতাড়ি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কাজেই হেয়ার ড্রায়ার কেনার সময় খেয়াল রাখবেন ওজন যেন ঠিকঠাক হয়, অর্থাৎ ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ হয়।
৪। হেয়ার ড্রায়ার কী কী কাজে ব্যবহার হবে
বাজারে নানা ধরনের হেয়ার ড্রায়ার পাওয়া যায়। শুধুমাত্র চুল শুকোনোর, চুলের নানা রকম স্টাইল করার ইত্যাদি। আপনি ঠিক কী কারণে হেয়ার ড্রায়ারটি ব্যবহার করবেন তা বুঝে জিনিসটি কিনুন।
৫। দাম ও ওয়্যারেন্টি
অনেকেই মনে করেন দামি হলে জিনিস ভালো, কম দামি জিনিস খারাপ। তা সব সময় ঠিক নয়। উলটোটাও হতে পারে। তাই সব সময় ওয়্যারেন্টি দেখেই দাম দেওয়া উচিত। এই জায়গায় কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়। তাই হেয়ার ড্রায়ারও কিনুন ওয়ার্যান্টি আছে কিনা দেখে।
আরও – ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই এগুলি দেখে নিন
পড়ুন – ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের আগে ৫টি জরুরি তথ্য, যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত
আরও পড়ুন – ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহারের ৭টি জরুরি তথ্য, অবশ্যই জানা উচিত
ঘরদোর
বাড়িতে ধনেপাতার চাষ করতে চান? দেখে নিন পদ্ধতি পদ্ধতি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ধনেপাতার অনেক গুণ। খেতেও ভালো। তাই এর অনুরাগীর সংখ্যা অসংখ্য। কাঁচা, রান্না করা, বাটা – সব রকমেরই তুলনা নেই। কিন্তু মরশুম চলে গেলে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন এটি খাওয়া ও ব্যবহার কমাতে বাধ্য হতে হয়। তাই যদি নিজের ছাদ বা বারান্দার বাগানে এটি সারা বছর চাষ করা যায় সুবিধে অনেক হয়।
উপযুক্ত মরশুম – সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। তবে সারা বছরই টবে চাষ করতে পারেন।
ধনেপাতা সব মাটিতেই হয়। তবে এঁটেল ও দো-আঁশ মাটি বেশি ভালো। মাটিতে গোবর সার, পাতা পচা সার, বা রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া সবজির খোসাও সার হিসেবে দিতে পারেন।

দোকান বা কোনো নার্সারি থেকে ধনের বীজ কিনে রাত্রিবেলা জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন বীজ মাটিতে ফেলুন। বলে রাখা ভালো, ট্রের মতো বা থালার মতো ছড়ানো টব হলে ভালো হয়।
বীজগুলি ছড়িয়ে হালকা মাটি চাপা দিয়ে দিন। জল ছিটিয়ে মাটি ভালো করে ভিজিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন মাটিতে পিঁপড়ে না হয়। তার জন্য টবের চারপাশে পিঁপড়ের ওষুধ ছড়িয়ে দিন।
অল্প সময়ের মধ্যেই চারা জন্মাবে। একটি টবে অনেক গাছ হলে তা তুলে অন্য একটি টবে লাগান।
গাছের গোড়ায় আগাছা হলে পরিষ্কার করুন। বৃষ্টির দিনে বেশি জল না দেওয়াই ভালো। সব সময় খেয়াল রাখুন গোড়ায় যেন জল না দাঁড়ায়।
আরও – ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি
ঘরদোর
এই ৭টি মিথ্যে বাঁচিয়ে দিতে পারে আপনার সম্পর্কটি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আমাদের চার পাশের প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো সম্পর্কের ভিত্তিতেই আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটাই বড়ো কথা। তা যদি হয় স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিকপ্রেমিকার সম্পর্ক তা হলে তো আরও জটিল, আবার ভঙ্গুরও। তাই ভালোবাসার গভীরতা থাকা সত্ত্বেও সামান্য অভিমানের কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তাই সম্পর্ক মজবুত করতে অনেক কিছুই করতে হয়, তেমনই একটি উপায় হল এক আধটা মিষ্টি মিথ্যে বলা। বিশেষ করে দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কে এই মিথ্যে বেশ উপকারী। তবে মনে রাখবেন মিথ্যে বলাটাও কিন্তু একটি আর্ট। মিথ্যে বলুন সত্যির মতো করেই –
১। প্রশংসা শুনতে সকলেই ভালোবাসে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর চেহারা বা সাজগোজ হাসি ইত্যাদি নিয়ে বেশি বেশি প্রশংসা করুন, দারুণ লাগছে বলুন।
২। রান্না খারাপ হলেও বলুন ভালো হয়েছে। সাধ করে রেঁধে খাওয়াচ্ছে যখন, মুখের ওপর খারাপ নাই বা বললেন। তাই প্রথম কয়েক বার মিথ্যে বলাই ভালো। তবে খারাপ রান্না সহ্যের বাইরে গেলে অন্য ভাবে বুঝিয়ে বলুন।
৩। অনেকেই উপহার দিতে এবং পেতে ভালোবাসেন। তেমন উপহার আপনি পেলে তা পছন্দ না হলেও বলুন সুন্দর হয়েছে, খুব পছন্দ হয়েছে। এতে তার মন খারাপ হবে না। ঝগড়াও এড়ানো যাবে। পারলে আপনিও মাঝে মধ্যে এক আধটা উপহার দিন।
৪। অনেকেই ঠিকমতো হাসাতে পারে না। আপনার সঙ্গের মানুষটি যদি রসিকতা করেন কিন্তু কারোর হাসি না পায় তা হলেও আপনি হাসুন। খুব মজা লেগেছে বলুন। তাতে তিনি খুশি হবেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তাকেও আঘাত করা হবে না। তাই মিথ্যে মিথ্যে হলেও হাসুন।
৫। আপনার পছন্দের না হলেও সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনো ছবি এক সঙ্গে দেখার আবদার করলে দেখুন। বারণ করবেন না। বরং আগ্রহ দেখান।
৬। সকলের সব কথা সব সময় সঠিক হয় না। কিন্তু সেটি মুখের ওপর বলা সব সময় ঠিক হবে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিছু ক্ষেত্রে হালকা ভাবে বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করান। অথবা কিছু ক্ষেত্রে মনমতো না হলেও বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে হ্যাঁয়ে হ্যাঁ মেলানোই ঠিক হবে।
৭। পরিবারের কাউকে পছন্দ না হলেও তাকে নিয়ে নিন্দে না করাই ভালো।
আরও – সন্তানের সঙ্গে এই ৫টি ভুল কখনওই করবেন না

খবর অনলাইন ডেস্ক : কমবেশি অনেক বাড়িতেই ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জনপ্রিয় তো ছিলই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ও অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হওয়ার সুবাদে বাড়িতে এই সদস্যের জায়গাটা আরও পাকা হয়ে গিয়েছে। কেউ এগুলি বহুদিন ব্যবহার করতে করতে পক্ত হয়ে গিয়েছেন। কারোর বা হাতেখড়ি হয়েছে।
যাই হোক না কেন এর বাড়তি কিছু যত্নও পাওনা। কারণ কম্পিউটার ল্যাপটপের আয়ু বাড়াতে দরকার সঠিক পরিচর্যা। যা হোক তা হোক করে ব্যবহার করলে এগুলির ক্ষতি হয়।
ল্যাপটপের পরিচর্যার ১০টি কৌশল
১। প্রথম কথাই হল ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে খুব সাবধানে ধৈর্য্য ধরে। কারণ জিনিসটি খুবই পলকা ও সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
২। জল হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করা চলবে না। তাতে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে।

৩। খেতে খেতে বা নোংরা হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। ল্যাপটপের কি-প্যাড ও টাচ প্যাডে সেই নোংরা জমা হবে। তাই হাত পরিষ্কার করে এটি ব্যবহার করুন।
৪। বন্ধ ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না। তাতে মনিটরের পর্দার ওপর কি প্যাডের চাপ পড়ে ক্ষতি হয়। সঙ্গে সিডির জায়গাটাও বেঁকে যেতে পারে।
৫। ল্যাপটপটি বন্ধ করার সময় একবার পরিষ্কার করে নিন। কারণ কোনো ছোটো কণা থেকে গেলেও তা এলসিডি স্ক্রিনের ক্ষতি করবে, দাগ সৃষ্টি করবে।
৬। অনেকেই খেতে খেতে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। এতে অনেক সময়ই কি প্যাডের মধ্যে খাবারের ছোট্টো কণা ঢুকে যায়। তাতে জিনিসটি নোংরা যেমন হয়, নষ্টও হতে পারে।

৬। তরল পদার্থ চা, কফি, সফট ড্রিংস, জল, দুধ ইত্যাদি ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। ভুল বশত উলটে গেলে তা ডিভাইসটি নষ্ট করে দিতে পারে।
৭। নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কি প্যাডের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৮। বন্ধ করার ও খোলার সময় মাথার মাঝখান ধরে বন্ধ করুন। শুধু দু’ পাশ ধরে বন্ধ করবেন না। বেঁকে যেতে পারে।
৯। আরাম করে বিছানায় বসে বা শুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এই পদ্ধতিটি ঠিক নয়। এতে শরীর ও ল্যাপটপ দু’য়েরই ক্ষতি হয়।
১০। নজর রাখুন চার্জ আছে কি না। উপযুক্ত সময়ে চার্জ দিন না হলে অল্প দিনের মধ্যেই এর ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
আরও – হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে দেখে নিন এই বিষয়গুলি
-
রাজ্য3 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
রাজ্য2 days ago
বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী