ঘরদোর
ল্যাপটপ ব্যবহার করেন? তা হলে সাবধান হন
ল্যাপটপের পরিচর্যার ১০টি কৌশল, জেনে নিন এখানে…

খবর অনলাইন ডেস্ক : কমবেশি অনেক বাড়িতেই ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জনপ্রিয় তো ছিলই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ও অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হওয়ার সুবাদে বাড়িতে এই সদস্যের জায়গাটা আরও পাকা হয়ে গিয়েছে। কেউ এগুলি বহুদিন ব্যবহার করতে করতে পক্ত হয়ে গিয়েছেন। কারোর বা হাতেখড়ি হয়েছে।
যাই হোক না কেন এর বাড়তি কিছু যত্নও পাওনা। কারণ কম্পিউটার ল্যাপটপের আয়ু বাড়াতে দরকার সঠিক পরিচর্যা। যা হোক তা হোক করে ব্যবহার করলে এগুলির ক্ষতি হয়।
ল্যাপটপের পরিচর্যার ১০টি কৌশল
১। প্রথম কথাই হল ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে খুব সাবধানে ধৈর্য্য ধরে। কারণ জিনিসটি খুবই পলকা ও সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
২। জল হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করা চলবে না। তাতে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে।

৩। খেতে খেতে বা নোংরা হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। ল্যাপটপের কি-প্যাড ও টাচ প্যাডে সেই নোংরা জমা হবে। তাই হাত পরিষ্কার করে এটি ব্যবহার করুন।
৪। বন্ধ ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না। তাতে মনিটরের পর্দার ওপর কি প্যাডের চাপ পড়ে ক্ষতি হয়। সঙ্গে সিডির জায়গাটাও বেঁকে যেতে পারে।
৫। ল্যাপটপটি বন্ধ করার সময় একবার পরিষ্কার করে নিন। কারণ কোনো ছোটো কণা থেকে গেলেও তা এলসিডি স্ক্রিনের ক্ষতি করবে, দাগ সৃষ্টি করবে।
৬। অনেকেই খেতে খেতে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। এতে অনেক সময়ই কি প্যাডের মধ্যে খাবারের ছোট্টো কণা ঢুকে যায়। তাতে জিনিসটি নোংরা যেমন হয়, নষ্টও হতে পারে।

৬। তরল পদার্থ চা, কফি, সফট ড্রিংস, জল, দুধ ইত্যাদি ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। ভুল বশত উলটে গেলে তা ডিভাইসটি নষ্ট করে দিতে পারে।
৭। নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কি প্যাডের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৮। বন্ধ করার ও খোলার সময় মাথার মাঝখান ধরে বন্ধ করুন। শুধু দু’ পাশ ধরে বন্ধ করবেন না। বেঁকে যেতে পারে।
৯। আরাম করে বিছানায় বসে বা শুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এই পদ্ধতিটি ঠিক নয়। এতে শরীর ও ল্যাপটপ দু’য়েরই ক্ষতি হয়।
১০। নজর রাখুন চার্জ আছে কি না। উপযুক্ত সময়ে চার্জ দিন না হলে অল্প দিনের মধ্যেই এর ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
আরও – হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে দেখে নিন এই বিষয়গুলি
ঘরদোর
বাড়িতে ধনেপাতার চাষ করতে চান? দেখে নিন পদ্ধতি পদ্ধতি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ধনেপাতার অনেক গুণ। খেতেও ভালো। তাই এর অনুরাগীর সংখ্যা অসংখ্য। কাঁচা, রান্না করা, বাটা – সব রকমেরই তুলনা নেই। কিন্তু মরশুম চলে গেলে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন এটি খাওয়া ও ব্যবহার কমাতে বাধ্য হতে হয়। তাই যদি নিজের ছাদ বা বারান্দার বাগানে এটি সারা বছর চাষ করা যায় সুবিধে অনেক হয়।
উপযুক্ত মরশুম – সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। তবে সারা বছরই টবে চাষ করতে পারেন।
ধনেপাতা সব মাটিতেই হয়। তবে এঁটেল ও দো-আঁশ মাটি বেশি ভালো। মাটিতে গোবর সার, পাতা পচা সার, বা রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া সবজির খোসাও সার হিসেবে দিতে পারেন।

দোকান বা কোনো নার্সারি থেকে ধনের বীজ কিনে রাত্রিবেলা জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন বীজ মাটিতে ফেলুন। বলে রাখা ভালো, ট্রের মতো বা থালার মতো ছড়ানো টব হলে ভালো হয়।
বীজগুলি ছড়িয়ে হালকা মাটি চাপা দিয়ে দিন। জল ছিটিয়ে মাটি ভালো করে ভিজিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন মাটিতে পিঁপড়ে না হয়। তার জন্য টবের চারপাশে পিঁপড়ের ওষুধ ছড়িয়ে দিন।
অল্প সময়ের মধ্যেই চারা জন্মাবে। একটি টবে অনেক গাছ হলে তা তুলে অন্য একটি টবে লাগান।
গাছের গোড়ায় আগাছা হলে পরিষ্কার করুন। বৃষ্টির দিনে বেশি জল না দেওয়াই ভালো। সব সময় খেয়াল রাখুন গোড়ায় যেন জল না দাঁড়ায়।
আরও – ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি
ঘরদোর
এই ৭টি মিথ্যে বাঁচিয়ে দিতে পারে আপনার সম্পর্কটি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আমাদের চার পাশের প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো সম্পর্কের ভিত্তিতেই আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটাই বড়ো কথা। তা যদি হয় স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিকপ্রেমিকার সম্পর্ক তা হলে তো আরও জটিল, আবার ভঙ্গুরও। তাই ভালোবাসার গভীরতা থাকা সত্ত্বেও সামান্য অভিমানের কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তাই সম্পর্ক মজবুত করতে অনেক কিছুই করতে হয়, তেমনই একটি উপায় হল এক আধটা মিষ্টি মিথ্যে বলা। বিশেষ করে দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কে এই মিথ্যে বেশ উপকারী। তবে মনে রাখবেন মিথ্যে বলাটাও কিন্তু একটি আর্ট। মিথ্যে বলুন সত্যির মতো করেই –
১। প্রশংসা শুনতে সকলেই ভালোবাসে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর চেহারা বা সাজগোজ হাসি ইত্যাদি নিয়ে বেশি বেশি প্রশংসা করুন, দারুণ লাগছে বলুন।
২। রান্না খারাপ হলেও বলুন ভালো হয়েছে। সাধ করে রেঁধে খাওয়াচ্ছে যখন, মুখের ওপর খারাপ নাই বা বললেন। তাই প্রথম কয়েক বার মিথ্যে বলাই ভালো। তবে খারাপ রান্না সহ্যের বাইরে গেলে অন্য ভাবে বুঝিয়ে বলুন।
৩। অনেকেই উপহার দিতে এবং পেতে ভালোবাসেন। তেমন উপহার আপনি পেলে তা পছন্দ না হলেও বলুন সুন্দর হয়েছে, খুব পছন্দ হয়েছে। এতে তার মন খারাপ হবে না। ঝগড়াও এড়ানো যাবে। পারলে আপনিও মাঝে মধ্যে এক আধটা উপহার দিন।
৪। অনেকেই ঠিকমতো হাসাতে পারে না। আপনার সঙ্গের মানুষটি যদি রসিকতা করেন কিন্তু কারোর হাসি না পায় তা হলেও আপনি হাসুন। খুব মজা লেগেছে বলুন। তাতে তিনি খুশি হবেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তাকেও আঘাত করা হবে না। তাই মিথ্যে মিথ্যে হলেও হাসুন।
৫। আপনার পছন্দের না হলেও সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনো ছবি এক সঙ্গে দেখার আবদার করলে দেখুন। বারণ করবেন না। বরং আগ্রহ দেখান।
৬। সকলের সব কথা সব সময় সঠিক হয় না। কিন্তু সেটি মুখের ওপর বলা সব সময় ঠিক হবে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিছু ক্ষেত্রে হালকা ভাবে বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করান। অথবা কিছু ক্ষেত্রে মনমতো না হলেও বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে হ্যাঁয়ে হ্যাঁ মেলানোই ঠিক হবে।
৭। পরিবারের কাউকে পছন্দ না হলেও তাকে নিয়ে নিন্দে না করাই ভালো।
আরও – সন্তানের সঙ্গে এই ৫টি ভুল কখনওই করবেন না
ঘরদোর
শীতের পোশাকের যত্ন নেওয়ার ৬টি উপায়

খবর অনলাইন ডেস্ক : সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, মোজা, লেপ, কম্বল, কাঁথা- শীতের এ সব জিনিসপত্র যত্ন নিতে হয় বিশেষ ভাবে। না হলেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কারণ সাধারণ কাপড়ের থেকে এদের ফেব্রিক বা কাপড়ের উপাদান আলাদা হয়। ফলে বেশি ঘষাঘষি চাপাচাপি বা কড়া ডিটারজেন্ট চলে না। রইল এগুলির দেখভাল করার উপায় –
১। সোয়েটার

উলের বা পশমের সোয়েটার সাবান বা ডিটারজেন্টে নয়, ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু বা হালকা ধরনের বিশেষ তরল সাবান দিয়েই ধুতে হবে। সঙ্গে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে নিন কাপড়ের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সাদা পোশাক হলে লেবুর রস মিশিয়ে নিন উপকার পাবেন। সোয়েটার যতই ময়লা হোক বা দাগ লাগুক কখনই ব্রাশ দিয়ে ঘষা বা হাত দিয়ে জোরে ঘষবেন না। নরম কাপড় দিয়ে হালকা হাতে পরিষ্কার করুন। ওয়াশিং মেশিনেও না কাচাই ভালো। জল ঝরানোর জন্য চেপে নিংড়ে হালকা ভাবে জল ঝরিয়ে দুই দিকে সমান ভাবে রোদে ঝুলিয়ে দিন।
২। ফ্লানেলের পোশাক চাদর
এ সব কাপড়ের ক্ষেত্রেও সাবান, ডিটারজেন্ট নয় শ্যাম্পু দিয়ে ধোওয়াই উচিত। উজ্জ্বলতা ঠিক থাকে। এক ঘন্টা ভিজিয়ে হালকা কাচুন, ময়লা চলে যাবে। বেশি ময়লার ক্ষেত্রে হালকা গরম জলে ভেজান।
৩। লেদারের পোশাক, কোট

লেদারের পোশাক ও কোট লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করান। তবে এ সব ব্যবহারও করতে হয় খুব যত্নে। এক বার ব্যবহারের পর নরম ব্রাশ বা নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা ভাবে ধুলো ঝেড়ে রাখুন, ময়লা কম হবে।
৪। মোজা, মাফলার, টুপি

সব থেকে বেশি ময়লা হয় মোজা। তার পরই টুপি ও মাফলার। কাজেই দু’-তিন দিন ছাড়া ছাড়াই টুপি, মাফলার তরল সাবানে ও মোজা ডিটারজেন্ট দিয়ে ঘষে কাচুন।
৫। কাঁথা

কাঁথা অনেকেই সাবানে ধুয়ে নেন। আবার অনেকেই রোদে দিয়ে তুলে দেন। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ হল কাঁথার যদি সুতির ওয়ার বানানো যায় তা হলে কাঁথা সাবানে না কেচে ওয়াড়টি খালি কাচলেই হয়। তাতে ময়লা ও পরিশ্রম দুই-ই কম হয় এবং পরিষ্কারও থাকে।
৬। লেপ, কম্বল

কম্বল ধোওয়া গেলেও লেপ, সম্ভব নয়। তাই এ সবে সুতির ওয়াড় লাগিয়ে ব্যবহার করুন, ময়লা হয় না। তবে খুব দরকার হলে কম্বল ড্রাই ক্লিন করান।
*সমস্ত ছবি গুগল থেকে নেওয়া।
আরও – ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি
-
প্রযুক্তি2 days ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
উঃ ২৪ পরগনা3 days ago
নিত্যানন্দের আবির্ভাবতিথি উপলক্ষ্যে মহোৎসব খড়দহে, ৭ মার্চ ১০০ মহিলা খোলবাদক নিয়ে নগরপরিক্রমা
-
ক্রিকেট3 days ago
অমদাবাদ টেস্টের প্রথম একাদশে চমকপ্রদ পরিবর্তন করবে ভারত? জোর জল্পনা
-
ক্রিকেট3 days ago
কপিল দেবের পর প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে চলেছেন ইশান্ত শর্মা