ঘরদোর
ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি

খবর অনলাইন ডেস্ক : ক্রমশ চারপাশের বায়ুদূষণ বাড়ছে। শুধু বাইরে নয় নানা কারণে ঘরের বায়ুও দূষিত হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। তাই এখন সময় এসেছে সচেতন হওয়ার। সে ক্ষেত্রে ঘরের বারান্দা বা জানলায় রাখা যায় কিছু গাছ। যেগুলি অক্সিজেন তো দেবেই, পাশাপশি ঘরের দূষিত বায়ু শোষণ করবে। অবশ্যই ঘরের সৌন্দর্যও বাড়াবে।
তেমনই ৫টি গাছের খবর রইল এখানে
১। স্পাইডার প্ল্যান্ট

দু’পাশ সাদা, মাঝখানে সবুজ পাতা, ঘাসের মতো দেখতে। খুব ছোটো ছোটো সাদা ফুল। সরাসরি সূর্যের আলো লাগে না, খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিতে হয়। টব বা ঝুড়িতে লাগিয়ে মেঝেতে, বা ঝুলিয়ে রাখা যায়। ওয়াল কার্পেটিংও করা যায়। কার্বন মনোক্সাইড, ফর্মালডিহাইড, বেনজিন-সহ বেশ কিছু ক্ষতিকর গ্যাস শোষণ করে। বায়ুদূষণ মুক্ত করে গাছটি।
২। চন্দ্রমল্লিকা

শীতের গাছ। বিভিন্ন রঙের চমৎকার ফুল হয়। জায়গা, দেওয়াল ও মেঝের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফুলের রং বাছাই করা যায়। চন্দ্রমল্লিকা গাছের যত্ন একটু বেশি নিতে হয়। জল বেরোনোর ভালো ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত রোদের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে সারাদিন সূর্যের আলো ক্ষতি করে। গাছটি রাতের বেলাও অক্সিজেন দেয়, কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। গুঁড়ো সাবান, আঠা, রং বা প্লাস্টিক থেকে বেরোনো দূষিত গ্যাস শুষে নেয়।
৩। গোল্ডেন পথোস বা মানিপ্ল্যান্ট

যে কোনো পরিবেশে বেঁচে থাকে গোল্ডেন পথোস বা মানিপ্ল্যান্ট। আলো ছাড়াই বাঁচতে পারে, বেশি যত্নও লাগে না। ঝুড়ি বা ছোটো টবে লাগানো যায়, ঝুলিয়ে রাখা যায়। মাটি ছাড়া জলের মধ্যেও রাখা যায়। ঘরের ভেতরও রাখা যায়। লতানো গাছটি বাতাস থেকে ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, বেনজিন, জায়লিন প্রভৃতি দূষিত গ্যাস শোষণ করে, ঘরকে দূষণ মুক্ত করে।
৪। মাদাগাস্কার পেরি উইংকেল বা নয়নতারা

সারা বছরই সুন্দর ফুল দেয় মাদাগাস্কার পেরি উইংকেল বা নয়নতারা। অনেকগুলো রঙের ফুল হয়। ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখাই ভালো। জল বেরোনোর ব্যবস্থা ভালো দরকার। ঘরের শোভা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ তো করেই, ফলে ঘরের কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয়। তা ছাড়া ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ওষুধ বানাতে কাজে লাগে নয়নতারা।
৫। পিস লিলি

বায়ু পরিশোধক আরও একটি গাছ পিস লিলি। সুন্দর সাদা ফুল হয়। অল্প আলোতে ভালো হয়। গাছের পাতায় হলুদ রং ধরলেই বুঝতে হবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রোদ পাচ্ছে। নিয়মিত জল দিলেই হবে। পিস লিলি ঘরের বাতাস থেকে ফর্মালডিহাইড, বেনজিন, জায়লিন, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয়। তবে গাছটি শিশু ও পোষ্য কুকুর, বিড়ালের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা উচিত। কারণ কচুগাছের মতো এটি গলায় বা পেটে গেলে চুলকায়।
আরও – বাড়ির টবে শীতের ফুল গাছ? দেখে নিন কার কী যত্ন
ঘরদোর
বাড়িতে ধনেপাতার চাষ করতে চান? দেখে নিন পদ্ধতি পদ্ধতি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ধনেপাতার অনেক গুণ। খেতেও ভালো। তাই এর অনুরাগীর সংখ্যা অসংখ্য। কাঁচা, রান্না করা, বাটা – সব রকমেরই তুলনা নেই। কিন্তু মরশুম চলে গেলে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন এটি খাওয়া ও ব্যবহার কমাতে বাধ্য হতে হয়। তাই যদি নিজের ছাদ বা বারান্দার বাগানে এটি সারা বছর চাষ করা যায় সুবিধে অনেক হয়।
উপযুক্ত মরশুম – সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। তবে সারা বছরই টবে চাষ করতে পারেন।
ধনেপাতা সব মাটিতেই হয়। তবে এঁটেল ও দো-আঁশ মাটি বেশি ভালো। মাটিতে গোবর সার, পাতা পচা সার, বা রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া সবজির খোসাও সার হিসেবে দিতে পারেন।

দোকান বা কোনো নার্সারি থেকে ধনের বীজ কিনে রাত্রিবেলা জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন বীজ মাটিতে ফেলুন। বলে রাখা ভালো, ট্রের মতো বা থালার মতো ছড়ানো টব হলে ভালো হয়।
বীজগুলি ছড়িয়ে হালকা মাটি চাপা দিয়ে দিন। জল ছিটিয়ে মাটি ভালো করে ভিজিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন মাটিতে পিঁপড়ে না হয়। তার জন্য টবের চারপাশে পিঁপড়ের ওষুধ ছড়িয়ে দিন।
অল্প সময়ের মধ্যেই চারা জন্মাবে। একটি টবে অনেক গাছ হলে তা তুলে অন্য একটি টবে লাগান।
গাছের গোড়ায় আগাছা হলে পরিষ্কার করুন। বৃষ্টির দিনে বেশি জল না দেওয়াই ভালো। সব সময় খেয়াল রাখুন গোড়ায় যেন জল না দাঁড়ায়।
আরও – ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি
ঘরদোর
এই ৭টি মিথ্যে বাঁচিয়ে দিতে পারে আপনার সম্পর্কটি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আমাদের চার পাশের প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো সম্পর্কের ভিত্তিতেই আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটাই বড়ো কথা। তা যদি হয় স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিকপ্রেমিকার সম্পর্ক তা হলে তো আরও জটিল, আবার ভঙ্গুরও। তাই ভালোবাসার গভীরতা থাকা সত্ত্বেও সামান্য অভিমানের কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তাই সম্পর্ক মজবুত করতে অনেক কিছুই করতে হয়, তেমনই একটি উপায় হল এক আধটা মিষ্টি মিথ্যে বলা। বিশেষ করে দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কে এই মিথ্যে বেশ উপকারী। তবে মনে রাখবেন মিথ্যে বলাটাও কিন্তু একটি আর্ট। মিথ্যে বলুন সত্যির মতো করেই –
১। প্রশংসা শুনতে সকলেই ভালোবাসে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর চেহারা বা সাজগোজ হাসি ইত্যাদি নিয়ে বেশি বেশি প্রশংসা করুন, দারুণ লাগছে বলুন।
২। রান্না খারাপ হলেও বলুন ভালো হয়েছে। সাধ করে রেঁধে খাওয়াচ্ছে যখন, মুখের ওপর খারাপ নাই বা বললেন। তাই প্রথম কয়েক বার মিথ্যে বলাই ভালো। তবে খারাপ রান্না সহ্যের বাইরে গেলে অন্য ভাবে বুঝিয়ে বলুন।
৩। অনেকেই উপহার দিতে এবং পেতে ভালোবাসেন। তেমন উপহার আপনি পেলে তা পছন্দ না হলেও বলুন সুন্দর হয়েছে, খুব পছন্দ হয়েছে। এতে তার মন খারাপ হবে না। ঝগড়াও এড়ানো যাবে। পারলে আপনিও মাঝে মধ্যে এক আধটা উপহার দিন।
৪। অনেকেই ঠিকমতো হাসাতে পারে না। আপনার সঙ্গের মানুষটি যদি রসিকতা করেন কিন্তু কারোর হাসি না পায় তা হলেও আপনি হাসুন। খুব মজা লেগেছে বলুন। তাতে তিনি খুশি হবেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তাকেও আঘাত করা হবে না। তাই মিথ্যে মিথ্যে হলেও হাসুন।
৫। আপনার পছন্দের না হলেও সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনো ছবি এক সঙ্গে দেখার আবদার করলে দেখুন। বারণ করবেন না। বরং আগ্রহ দেখান।
৬। সকলের সব কথা সব সময় সঠিক হয় না। কিন্তু সেটি মুখের ওপর বলা সব সময় ঠিক হবে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিছু ক্ষেত্রে হালকা ভাবে বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করান। অথবা কিছু ক্ষেত্রে মনমতো না হলেও বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে হ্যাঁয়ে হ্যাঁ মেলানোই ঠিক হবে।
৭। পরিবারের কাউকে পছন্দ না হলেও তাকে নিয়ে নিন্দে না করাই ভালো।
আরও – সন্তানের সঙ্গে এই ৫টি ভুল কখনওই করবেন না

খবর অনলাইন ডেস্ক : কমবেশি অনেক বাড়িতেই ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জনপ্রিয় তো ছিলই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ও অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হওয়ার সুবাদে বাড়িতে এই সদস্যের জায়গাটা আরও পাকা হয়ে গিয়েছে। কেউ এগুলি বহুদিন ব্যবহার করতে করতে পক্ত হয়ে গিয়েছেন। কারোর বা হাতেখড়ি হয়েছে।
যাই হোক না কেন এর বাড়তি কিছু যত্নও পাওনা। কারণ কম্পিউটার ল্যাপটপের আয়ু বাড়াতে দরকার সঠিক পরিচর্যা। যা হোক তা হোক করে ব্যবহার করলে এগুলির ক্ষতি হয়।
ল্যাপটপের পরিচর্যার ১০টি কৌশল
১। প্রথম কথাই হল ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে খুব সাবধানে ধৈর্য্য ধরে। কারণ জিনিসটি খুবই পলকা ও সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
২। জল হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করা চলবে না। তাতে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে।

৩। খেতে খেতে বা নোংরা হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। ল্যাপটপের কি-প্যাড ও টাচ প্যাডে সেই নোংরা জমা হবে। তাই হাত পরিষ্কার করে এটি ব্যবহার করুন।
৪। বন্ধ ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না। তাতে মনিটরের পর্দার ওপর কি প্যাডের চাপ পড়ে ক্ষতি হয়। সঙ্গে সিডির জায়গাটাও বেঁকে যেতে পারে।
৫। ল্যাপটপটি বন্ধ করার সময় একবার পরিষ্কার করে নিন। কারণ কোনো ছোটো কণা থেকে গেলেও তা এলসিডি স্ক্রিনের ক্ষতি করবে, দাগ সৃষ্টি করবে।
৬। অনেকেই খেতে খেতে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। এতে অনেক সময়ই কি প্যাডের মধ্যে খাবারের ছোট্টো কণা ঢুকে যায়। তাতে জিনিসটি নোংরা যেমন হয়, নষ্টও হতে পারে।

৬। তরল পদার্থ চা, কফি, সফট ড্রিংস, জল, দুধ ইত্যাদি ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। ভুল বশত উলটে গেলে তা ডিভাইসটি নষ্ট করে দিতে পারে।
৭। নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কি প্যাডের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৮। বন্ধ করার ও খোলার সময় মাথার মাঝখান ধরে বন্ধ করুন। শুধু দু’ পাশ ধরে বন্ধ করবেন না। বেঁকে যেতে পারে।
৯। আরাম করে বিছানায় বসে বা শুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এই পদ্ধতিটি ঠিক নয়। এতে শরীর ও ল্যাপটপ দু’য়েরই ক্ষতি হয়।
১০। নজর রাখুন চার্জ আছে কি না। উপযুক্ত সময়ে চার্জ দিন না হলে অল্প দিনের মধ্যেই এর ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
আরও – হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে দেখে নিন এই বিষয়গুলি
-
রাজ্য12 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ16 hours ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী