ঘরদোর
বর্ষাকালে পোকার হাত থেকে চাল বাঁচাতে হলে অবশ্যই করুন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: একে বর্ষাকাল তার ওপর লকডাউন। অনেকেই বেশি করে দোকান-বাজার করছেন, অন্ততপক্ষে চাল-আটা কিনে রেখেছেন জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে। কিন্তু তা হলেও সমস্যা যেন পিছু ছাড়ে না। বর্ষাকালে এমনিতেই জিনিসপত্র নষ্ট হয় বেশি। তার ওপরে বেশি করে কিনে রাখা চালে পোকা ধরে গেলে মারাত্মক খারাপ অবস্থা। ভাত বসানোর আগে নিয়মিত চাল বেছে ভালো করে ধুয়ে রান্না করা একে তো সমস্যা বটেই তার ওপর চালে একটা পোকা হলেই তা অল্প দিনে পুরো চালটাই নষ্ট করে দেয়।
তাই চালে যাতে পোকা না ধরে তার জন্য আগাম কিছু ব্যবস্থা করতে হবে।
১। অল্প করে রাখুন
প্রথম কথাই হল এক সঙ্গে অনেক চাল না রেখে ছোটো ছোটো ভাগে চাল রাখুন। তাতে পোকা হলেও সবটা এক সঙ্গে নষ্ট হবে না।
২। প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখুন
পরিমাণ অনেক বেশি হলে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভাগ করে রাখুন। এতে চাল অনেক দিন ভালো থাকে।
৩। এয়ারটাইট কৌটো
চাল রাখার জন্য অবশ্যই এয়ারটাইট ফুড কন্টেনার ব্যবহার করতে পারেন। চাল স্যাঁতস্যাঁতেও হয় না। পোকার আক্রমণও ঠেকানো যায়।

৪। তেজপাতা
চালে পোকা ধরার আগেই তাতে কয়েকটি তেজপাতা ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে গরম করে রেখে দিন। এতে পোকা ধরার ভয় থাকে না। যদি আগেই পোকা ধরে গিয়ে থাকে তা হলে দেরি না করে এই পদ্ধতিটি করা যেতে পারে। পোকা চলে যাবে।
৫। নিমপাতা
তেজপাতার মতো নিমপাতাও চালের মধ্যে দিয়ে রাখা যায়। পোকা ধরে গেলেও তাতে দিয়ে দেখুন, পোকা চলে যাবে।
আবার নিমপাতা তেজপাতা এক সঙ্গেও চালে দিয়ে রাখতে পারেন। তাতে কাজ ভালো হবে।

৬। শুকনো লঙ্কা
চালের পোকা ধরা আটকানো জন্য চালের মধ্যে বেশ খানিকটা শুকনো লঙ্কাও দিয়ে রাখা যায়।
৭। কর্পুর
চালের মধ্যে কর্পুরের কয়েকটি টুকরো দিয়ে রাখলে পোকা ধরা আটকানো যায়।

৮। ফ্রিজে রাখা
পোকা ধরলে কৌটো করে চাল ফ্রিজে রাখুন। ৪ থেকে ৫ দিন রাখার পর দেখবেন চালের সব পোকা মরে গেছে।
৯। রোদে দেওয়া
এ ক্ষেত্রে একটা কথা হল চালে পোকা ধরলে অনেকেই রোদে দেন। এতে পোকা মরে যায়। ঠিক কথা। কিন্তু সেই চালে ভালো ভাত হয় না। তাই সরাসরি রোদে না রেখে, কৌটো করে রোদে দিন। রোদের তাপে পোকা মরে যাবে। তবে বর্ষার দিনে রোদে দেওয়া অবশ্যই একটি বড়ো সমস্যা।

১০। পরিচ্ছন্ন রাখা
যে জায়গায় চাল রাখছেন, সেই জায়গাটি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তাতে পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কম হয়।।
১১। কীটনাশক
চালের বস্তা বা কৌটো যেখানে রাখা সেখান পরিচ্ছন্ন করার পর তার চার পাশে কীটনাশক স্প্রে করে রাখা যেতে পারে। তা হলে পোকা ধরার ভয় থাকে না। তবে খেয়াল রাখবেন যেন চালের গায়ে সরাসরি স্প্রে না লাগে।
শিখে নিন- বাজে খেতে খাবারে মুহূর্তে স্বাদ ফেরাতে পারে এই ৭টি টিপ
ঘরদোর
এই ৭টি মিথ্যে বাঁচিয়ে দিতে পারে আপনার সম্পর্কটি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আমাদের চার পাশের প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো সম্পর্কের ভিত্তিতেই আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটাই বড়ো কথা। তা যদি হয় স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিকপ্রেমিকার সম্পর্ক তা হলে তো আরও জটিল, আবার ভঙ্গুরও। তাই ভালোবাসার গভীরতা থাকা সত্ত্বেও সামান্য অভিমানের কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তাই সম্পর্ক মজবুত করতে অনেক কিছুই করতে হয়, তেমনই একটি উপায় হল এক আধটা মিষ্টি মিথ্যে বলা। বিশেষ করে দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কে এই মিথ্যে বেশ উপকারী। তবে মনে রাখবেন মিথ্যে বলাটাও কিন্তু একটি আর্ট। মিথ্যে বলুন সত্যির মতো করেই –
১। প্রশংসা শুনতে সকলেই ভালোবাসে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর চেহারা বা সাজগোজ হাসি ইত্যাদি নিয়ে বেশি বেশি প্রশংসা করুন, দারুণ লাগছে বলুন।
২। রান্না খারাপ হলেও বলুন ভালো হয়েছে। সাধ করে রেঁধে খাওয়াচ্ছে যখন, মুখের ওপর খারাপ নাই বা বললেন। তাই প্রথম কয়েক বার মিথ্যে বলাই ভালো। তবে খারাপ রান্না সহ্যের বাইরে গেলে অন্য ভাবে বুঝিয়ে বলুন।
৩। অনেকেই উপহার দিতে এবং পেতে ভালোবাসেন। তেমন উপহার আপনি পেলে তা পছন্দ না হলেও বলুন সুন্দর হয়েছে, খুব পছন্দ হয়েছে। এতে তার মন খারাপ হবে না। ঝগড়াও এড়ানো যাবে। পারলে আপনিও মাঝে মধ্যে এক আধটা উপহার দিন।
৪। অনেকেই ঠিকমতো হাসাতে পারে না। আপনার সঙ্গের মানুষটি যদি রসিকতা করেন কিন্তু কারোর হাসি না পায় তা হলেও আপনি হাসুন। খুব মজা লেগেছে বলুন। তাতে তিনি খুশি হবেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তাকেও আঘাত করা হবে না। তাই মিথ্যে মিথ্যে হলেও হাসুন।
৫। আপনার পছন্দের না হলেও সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনো ছবি এক সঙ্গে দেখার আবদার করলে দেখুন। বারণ করবেন না। বরং আগ্রহ দেখান।
৬। সকলের সব কথা সব সময় সঠিক হয় না। কিন্তু সেটি মুখের ওপর বলা সব সময় ঠিক হবে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিছু ক্ষেত্রে হালকা ভাবে বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করান। অথবা কিছু ক্ষেত্রে মনমতো না হলেও বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে হ্যাঁয়ে হ্যাঁ মেলানোই ঠিক হবে।
৭। পরিবারের কাউকে পছন্দ না হলেও তাকে নিয়ে নিন্দে না করাই ভালো।
আরও – সন্তানের সঙ্গে এই ৫টি ভুল কখনওই করবেন না

খবর অনলাইন ডেস্ক : কমবেশি অনেক বাড়িতেই ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জনপ্রিয় তো ছিলই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ও অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হওয়ার সুবাদে বাড়িতে এই সদস্যের জায়গাটা আরও পাকা হয়ে গিয়েছে। কেউ এগুলি বহুদিন ব্যবহার করতে করতে পক্ত হয়ে গিয়েছেন। কারোর বা হাতেখড়ি হয়েছে।
যাই হোক না কেন এর বাড়তি কিছু যত্নও পাওনা। কারণ কম্পিউটার ল্যাপটপের আয়ু বাড়াতে দরকার সঠিক পরিচর্যা। যা হোক তা হোক করে ব্যবহার করলে এগুলির ক্ষতি হয়।
ল্যাপটপের পরিচর্যার ১০টি কৌশল
১। প্রথম কথাই হল ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে খুব সাবধানে ধৈর্য্য ধরে। কারণ জিনিসটি খুবই পলকা ও সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
২। জল হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করা চলবে না। তাতে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে।

৩। খেতে খেতে বা নোংরা হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। ল্যাপটপের কি-প্যাড ও টাচ প্যাডে সেই নোংরা জমা হবে। তাই হাত পরিষ্কার করে এটি ব্যবহার করুন।
৪। বন্ধ ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না। তাতে মনিটরের পর্দার ওপর কি প্যাডের চাপ পড়ে ক্ষতি হয়। সঙ্গে সিডির জায়গাটাও বেঁকে যেতে পারে।
৫। ল্যাপটপটি বন্ধ করার সময় একবার পরিষ্কার করে নিন। কারণ কোনো ছোটো কণা থেকে গেলেও তা এলসিডি স্ক্রিনের ক্ষতি করবে, দাগ সৃষ্টি করবে।
৬। অনেকেই খেতে খেতে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। এতে অনেক সময়ই কি প্যাডের মধ্যে খাবারের ছোট্টো কণা ঢুকে যায়। তাতে জিনিসটি নোংরা যেমন হয়, নষ্টও হতে পারে।

৬। তরল পদার্থ চা, কফি, সফট ড্রিংস, জল, দুধ ইত্যাদি ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। ভুল বশত উলটে গেলে তা ডিভাইসটি নষ্ট করে দিতে পারে।
৭। নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কি প্যাডের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৮। বন্ধ করার ও খোলার সময় মাথার মাঝখান ধরে বন্ধ করুন। শুধু দু’ পাশ ধরে বন্ধ করবেন না। বেঁকে যেতে পারে।
৯। আরাম করে বিছানায় বসে বা শুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এই পদ্ধতিটি ঠিক নয়। এতে শরীর ও ল্যাপটপ দু’য়েরই ক্ষতি হয়।
১০। নজর রাখুন চার্জ আছে কি না। উপযুক্ত সময়ে চার্জ দিন না হলে অল্প দিনের মধ্যেই এর ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
আরও – হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে দেখে নিন এই বিষয়গুলি
ঘরদোর
শীতের পোশাকের যত্ন নেওয়ার ৬টি উপায়

খবর অনলাইন ডেস্ক : সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, মোজা, লেপ, কম্বল, কাঁথা- শীতের এ সব জিনিসপত্র যত্ন নিতে হয় বিশেষ ভাবে। না হলেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কারণ সাধারণ কাপড়ের থেকে এদের ফেব্রিক বা কাপড়ের উপাদান আলাদা হয়। ফলে বেশি ঘষাঘষি চাপাচাপি বা কড়া ডিটারজেন্ট চলে না। রইল এগুলির দেখভাল করার উপায় –
১। সোয়েটার

উলের বা পশমের সোয়েটার সাবান বা ডিটারজেন্টে নয়, ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু বা হালকা ধরনের বিশেষ তরল সাবান দিয়েই ধুতে হবে। সঙ্গে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে নিন কাপড়ের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সাদা পোশাক হলে লেবুর রস মিশিয়ে নিন উপকার পাবেন। সোয়েটার যতই ময়লা হোক বা দাগ লাগুক কখনই ব্রাশ দিয়ে ঘষা বা হাত দিয়ে জোরে ঘষবেন না। নরম কাপড় দিয়ে হালকা হাতে পরিষ্কার করুন। ওয়াশিং মেশিনেও না কাচাই ভালো। জল ঝরানোর জন্য চেপে নিংড়ে হালকা ভাবে জল ঝরিয়ে দুই দিকে সমান ভাবে রোদে ঝুলিয়ে দিন।
২। ফ্লানেলের পোশাক চাদর
এ সব কাপড়ের ক্ষেত্রেও সাবান, ডিটারজেন্ট নয় শ্যাম্পু দিয়ে ধোওয়াই উচিত। উজ্জ্বলতা ঠিক থাকে। এক ঘন্টা ভিজিয়ে হালকা কাচুন, ময়লা চলে যাবে। বেশি ময়লার ক্ষেত্রে হালকা গরম জলে ভেজান।
৩। লেদারের পোশাক, কোট

লেদারের পোশাক ও কোট লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করান। তবে এ সব ব্যবহারও করতে হয় খুব যত্নে। এক বার ব্যবহারের পর নরম ব্রাশ বা নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা ভাবে ধুলো ঝেড়ে রাখুন, ময়লা কম হবে।
৪। মোজা, মাফলার, টুপি

সব থেকে বেশি ময়লা হয় মোজা। তার পরই টুপি ও মাফলার। কাজেই দু’-তিন দিন ছাড়া ছাড়াই টুপি, মাফলার তরল সাবানে ও মোজা ডিটারজেন্ট দিয়ে ঘষে কাচুন।
৫। কাঁথা

কাঁথা অনেকেই সাবানে ধুয়ে নেন। আবার অনেকেই রোদে দিয়ে তুলে দেন। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ হল কাঁথার যদি সুতির ওয়ার বানানো যায় তা হলে কাঁথা সাবানে না কেচে ওয়াড়টি খালি কাচলেই হয়। তাতে ময়লা ও পরিশ্রম দুই-ই কম হয় এবং পরিষ্কারও থাকে।
৬। লেপ, কম্বল

কম্বল ধোওয়া গেলেও লেপ, সম্ভব নয়। তাই এ সবে সুতির ওয়াড় লাগিয়ে ব্যবহার করুন, ময়লা হয় না। তবে খুব দরকার হলে কম্বল ড্রাই ক্লিন করান।
*সমস্ত ছবি গুগল থেকে নেওয়া।
আরও – ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি
-
রাজ্য1 day ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
দেশ2 days ago
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
-
রাজ্য2 days ago
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
ফুটবল2 days ago
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান