খবর অনলাইন: দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রথম চালেই বুঝিয়ে দিলেন নারদের স্টিং অপারেশনকে তিনি কোনও গুরুত্বই দেন না। ভোটের রায়ে তিনি ধরেই নিয়েছেন, নারদ-কাণ্ডে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, জনগণ তাকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই জয়ী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে এ বারেও মন্ত্রী করছেন মমতা। শুধু তা-ই নয়, এ বারের মন্ত্রিসভায় আসছেন আরও দুই অভিযুক্ত, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী।
নারদ-কাঁটায় বিদ্ধরা তাঁর এ বারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাবেন কি না সে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছু কৌতূহল ছিল। কারণ, এ বারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও একটি জনসভায় মন্তব্য করেছিলেন, “আগে জানলে দাঁড় করানো নিয়ে ভাবতাম”। এমনকি ভোটের আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয় তদন্তের কথাও বলেছিল তৃণমূল। কিন্তু মমতা বোঝালেন, জনসভায় তাঁর মন্তব্য বা দলীয় তদন্তের ঘোষণা নিছকই জনগণের কাছে ভোটভিক্ষার কৌশল।
চার দিন ধরে ট্র্যাফিক বন্ধ রেড রোডে নির্মিত শীততাপ-নিয়ন্ত্রিত বিশাল মঞ্চে মমতার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা শপথ নিচ্ছে শুক্রবার। আপাতত ৪২ জনকে মন্ত্রী করছেন তিনি। পুরোনোরা মোটামুটি সবাই আছেন। বাদ পড়েছেন বেচারাম মান্না, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, উজ্জ্বল বিশ্বাস, রচপাল সিং, রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, হায়দর আজিজ সফি প্রমুখ।