দেশ
আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক রেলসংযোগ কলকাতার দূরত্ব কমাবে ১০০০ কিলোমিটার
কলকতা-আগরতলার দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার। ই রেলপথ ব্যবহার করে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টায় কলকাতা পৌঁছোনো সম্ভব হবে।

ঋদি হক: চট্টগ্রাম থেকে ফিরে
কলকাতা (Kolkata) থেকে রেলপথে আগরতলার (Agartala) দূরত্ব প্রায় ১৫৫০ কিলোমিটার। শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আগরতলা পৌঁছোতে সময় লাগে ৩৮ ঘণ্টা। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি (Akhaura-Agartala rail link) চালু হলে কলকতা-আগরতলার দূরত্ব ১০০০ কিলোমিটার কমে গিয়ে দাঁড়াবে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক এই রেলপথ ব্যবহার করে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টায় কলকাতা পৌঁছোনো সম্ভব হবে। এর ফলে সময় ও অর্থ দু’টোই সাশ্রয় হবে।
২০১৮ সালের শেষাশেষি সম্ভাবনাময় আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে হুইসেল বাজার কথা ছিল। যে কোনো শুভ কাজের সঙ্গে ওৎ পেতে থাকে আশঙ্কাও। তেমনটিই ঘটেছে এই রেলপথটির বেলায়ও। নানা জটিলতায় প্রকল্প কাজ পিছিয়ে যায় বছর দু’য়েক। শেষ পর্যন্ত সব বাধা কাটিয়ে ২০২১ সালের জুন মাসেই আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা উড়িয়ে দু’ দেশের মধ্যে রেল সংযোগের সূচনা হবে, যার সুফলভোগী হবেন উভয় দেশের মানুষ।

২০১৬ সালে ত্রিপুরার (Tripura) রাজধানী আগরতলায় দু’ দেশের রেলপথ মন্ত্রকের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণচুক্তি সম্পন্ন হয়। ওই বছরেরই ৩১ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালেই তা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
ভারতের প্রন্তিক রাজ্য ত্রিপুরা তথা উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে সহজ সংযোগের কথা ভাবনায় ছিল নয়াদিল্লির। সেই ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ (Bangladesh) হয়ে ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রেলসংযোগে আগ্রহী হয় ভারত (India)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ চুক্তি সই হয়।
৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪০ কোটি ৯০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০১ টাকা। ব্যয়ের পুরোটাই বহন করছে ভারত। ডুয়েলগেজের রেলপথটির বাংলাদেশ অংশের দূরত্ব প্রথম দিকে কিছুটা বাড়তি থাকলেও তা ছেঁটে দিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পুর্ব ও পশ্চিম দু’টো অঞ্চল রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের কার্যালয় রাজশাহী এবং পুর্বাঞ্চলের কার্যালয় চট্টগ্রাম। আখাউড়া-আগরতলা রেলসংযোগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে পুর্বাঞ্চল। বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক সরদার সাহাদত আলী ‘খবর অনলাইন’কেবলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলসংযোগটি চালু হলে উভয় দেশের মানুষ যেমন সুফল ভোগ করবে, তেমনি দু’ দেশের বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পরিবহন সহজ হবে।

আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন ‘খবর অনলাইন’কে বলেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে তাঁদের কাজ সম্পন্ন হবে। করোনাভাইরাস ও বর্ষার জটিলতায় নির্মাণকাজ প্রায় কয়েক মাস পিছিয়ে যায়। ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকল্প কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট অনেকেই কর্মস্থল থেকে চলে যান। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ থাকে প্রকল্পের কাজ। যদিও চলতি বছরেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এখন ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মো. সুবক্তগীন আশা করেন, আগামী বছরের জুন মাসেই আন্তর্জাতিক রেলসংযোগটি চালু হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি কমোডর (অব) জুবায়ের আহমদ বলেন, সড়ক, রেলপথ এবং জলপথে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ নতুন মাত্রা পেয়েছে। সব চেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে, যোগাযোগ সংস্কৃতির উত্থানের কারণে বাণিজ্যের সুবিধাভোগী হচ্ছে উভয় দেশ।
তিনি বলেন, “আমরা সব সময় একটি কথা স্মরণ করিয়ে আসছি, তা হল সকল সম্ভাবনার সঙ্গে কিন্তু সমস্যাও মাথা উচু করে দাঁড়াতে চায়। আজ দু’ দেশের সম্পর্কে, বিশেষ করে যোগাযোগ ক্ষেত্রে যে উত্থান ঘটেছে তা ধরে রাখতে হলে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরে জোর দিতে হবে।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথের কাজ শুরু হচ্ছে শিগগিরই, দাউদকান্দি-সোনামুড়া জলপথ খননে হাত লাগাবে বাংলাদেশ
দেশ
শনিবার নিয়েছিলেন টিকা, রবিবার উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু স্বাস্থ্যকর্মীর
আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন ওই ব্যক্তি, দাবি স্বাস্থ্যকর্মীর ছেলের।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ঠিক পরের দিনই উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হল এক স্বাস্থ্যকর্মীর। ইউরোপে এমন ঘটনা আগে ঘটলেও ভারতে এই ধরনের ঘটনা প্রথম। তবে এই মৃত্যুর সঙ্গে টিকাকরণ সম্পর্কিত নয় বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের এক স্বাস্থ্যকর্তা।
মৃত স্বাস্থ্যকর্মীর নাম মাহিপাল সিংহ। ৪৬ বছরের ওই ব্যক্তি মোরাদাবাদের একটি সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ছিলেন। মাহিপালের পরিবারের দাবি, টিকা নেওয়ার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন ওই ব্যক্তি।
মোরাদাবাদ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার এমসি গর্গ বলেন, “শনিবার ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হয়। রবিবার তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং বুকে চাপ অনুভব করতে থাকেন। আমরা ময়নাতদন্ত শুরু করেছি। কিছুক্ষণের মধ্যে রিপোর্ট আসবে আশা করি। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মৃত্যুর কারণ টিকাকরণ নয়।”
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও টিকা!
এ দিকে মাহিপালের ছেলে জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর আরও অসুস্থ বোধ করেন তিনি।
ছেলের কথায়, “শনিবার দুপুর দেড়টায় টিকাকেন্দ্র থেকে বাবাকে বাড়ি নিয়ে আসি। তখন থেকেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, খুব কাশছিলেন। আগে থেকেই তাঁর নিউমোনিয়ার লক্ষ্মণ ছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর আরও অসুস্থ হতে শুরু করেন তিনি।”
অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও কেন ওই ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হল, সেই নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
দেশ
মাত্র ১৮ শতাংশ ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন, ৩৬ শতাংশ কমিয়ে দেবেন ব্যবহার: সমীক্ষা
জনপ্রিয়তা বাড়ছে টেলিগ্রামের।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি বদল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই গোটা বিশ্ব তোলপাড়। চাপে পড়ে অনলাইন মেসেজিং অ্যাপের কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে এখনই নীতিতে বদল তারা আনছে না। কিন্তু এরই মধ্যে চমকপ্রদ একটি তথ্য ধরা দিল সমীক্ষায়। দেখা গিয়েছে, এই বিতর্কের জেরে বিশাল সংখ্যক ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার বন্ধ বা কমিয়ে দিতে পারেন।
সামাজিক গণমাধ্যমের একটি প্ল্যাটফর্ম LocalCircles এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮ হাজার ৯৭৭ জন ভারতীয়। এর মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার আগের মতো চালিয়ে যেতে পারেন।
এ ছাড়া, ৩৬ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলেও তা আগের থেকে অনেকটাই কমিয়ে দেবেন। ১৫ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা এক্কেবারেই বন্ধ করে দেবেন।
২৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের বদলে টেলিগ্রাম (Telegram) বা সিগন্যাল (Signal) ব্যবহার শুরু করতে পারেন। ৯১ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ফিচারটি ব্যবহার করবেন না।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের ডাউনলোড ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। অন্য দিকে টেলিগ্রামের ডাউনলোড বেড়েছে অনেকটাই।
হোয়াটসঅ্যাপের সাফাই
প্রাইভেসি পলিসির বদল হোক আর না হোক, গ্রাহকদের তথ্য যে সুরক্ষিত এই কথাটা প্রমাণ করতে নানা পন্থার অবলম্বন করতে হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপকে। চলতি সপ্তাহের প্রথমেই ভারতের নামজাদা একাধিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম।
রবিবার, ১৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী ইউজারদের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাস এল। সেখানে ছবি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা, গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষা করতে তারা এক প্রকার দায়বদ্ধ।
সেই স্ট্যাটাসে হোয়াটসঅ্যাপ বলে, ‘আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করতে আমরা দায়বদ্ধ’, ‘হোয়াটসঅ্যাপ আপনার ব্যক্তিগত কথোপকথন শুনতে বা পড়তে পারে না, কারণ এতে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন রয়েছে’, ‘আপনার শেয়ার করা লোকেশন দেখতে পায় না হোয়াটসঅ্যাপ।’
এ দিকে শনিবারই সকালেই হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়ে দেয় যে, প্রাইভেসি পলিসি এখনই বদলাচ্ছে না। অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তার নয়া নীতি ও শর্তাবলি না মানলে ইউজারদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট হওয়ার ভয় এই মুহূর্তে থাকছে না। তবে তারা জানিয়েছে যে ‘নয়া নীতি সম্পর্কে গ্রাহকেরা স্বেচ্ছায় রিভিউ জানানোর পরই আমরা ১৫ মে থেকে নতুন প্রাইভেসি পলিসি লাগু করব’।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
দেশ
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৪৫ জনের।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ভারতে করোনার গ্রাফটা আরও বেশি করে নিম্নমুখী হচ্ছে। আর ততই একটি বিভাজনও প্রকট হয়ে যাচ্ছে। ভারতে বর্তমানে করোনার যা চিত্র তাতে দেখা যাচ্ছে যে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যার ৬০ শতাংশই রেকর্ড করা হচ্ছে মাত্র দু’টি রাজ্যে।
এ দিকে মৃতের সংখ্যা এবং সংক্রমণের হারও ক্রমশ কমছে ভারতে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে ভালো হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহই নেই।
নতুন আক্রান্ত ১৩ হাজারের একটু বেশি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী সোমবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৭৩। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৮৮ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২ লক্ষ ৮ হাজার ১২। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী কমেছে ৮১৪ জন। বর্তমানে দেশে মাত্র ১.৯৬ শতাংশ কোভিডরোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
কী ভাবে লাগাম পড়ছে সংক্রমণে
সংক্রমণ কী ভাবে কমছে, সেটা সংক্রমণের হারটা দেখে বুঝতে হয়। বর্তমানে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ২ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। অর্থাৎ এখন দেশে প্রতি ১০০ টেস্টে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন গড়ে ২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৬৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ২.৫১ শতাংশ।
এ দিকে সামগ্রিক সংক্রমণের হার আরও কমছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ১৮ কোটি ৭০ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন মাত্র ৫.৬৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণের হার আগামী দিনে আরও কমবে এই আশা করাই যায়।
সংক্রমণ কোথায় কেমন?
দেশের বর্তমানে দু’টি রাজ্যে সংক্রমণ থাকছে চার সংখ্যায়। সে গুলি হল কেরল (৫,০০৫), মহারাষ্ট্র (৩,০৮১) । মহারাষ্ট্রে সংক্রমণে অনেকটাই লাগাম পড়লেও কেরল এখনও চিন্তায় রাখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে।
তিন অঙ্কের সংক্রমণে যে যে জায়গায় সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টায় তুলনামূলক বেশি ছিল সেগুলি হল কর্নাটক (৭৪৫), তামিলনাড়ু (৫৮৯), পশ্চিমবঙ্গ (৫৬৫), গুজরাত (৫১৮),
সুস্থ হলেন ১৪ হাজারের কিছু বেশি
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থতার সংখ্যাটি ১৪ হাজারের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। ১৪ হাজার ৫৫৭ জনের সুস্থতার ফলে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ১ কোটি ২ লক্ষ ১১ হাজার ৩৪২ জন। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হল ৯৬.৫৯ শতাংশ।
মৃতের সংখ্যা ২৪০ দিনে সর্বনিম্ন
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। এটা ২৪০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন সংখ্যা, কারণ শেষ বার এত কম সংখ্যক মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছিল গত ২৩ মে।
এখনও পর্যন্ত ভারত ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু কোভিডের কারণে হয়েছে। দেশে মৃত্যুহার রয়েছে ১.৪৪ শতাংশে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দক্ষিণবঙ্গে দু’দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
কেন খাবেন মেথি?