সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় স্থানগুলিতে হামলার ঘটনাকে “দুঃখজনক” বলে উল্লেখ করলেন ভারতীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী।
মিস্রী জানান, এই বৈঠকে প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকটি ছিল দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রথম কূটনৈতিক যোগাযোগ, যা ৮ আগস্ট মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকটি ঢাকায় অতিথিনিবাস পদ্মা ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
মিস্রী বলেন, “আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কিত আমাদের উদ্বেগ তুলে ধরেছি। আমরা সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় স্থানগুলিতে আক্রমণের দুঃখজনক ঘটনাগুলি নিয়েও কথা বলেছি।”
এই সফরের পটভূমি ছিল বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা। বিশেষত, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দাসকে আটক করা হয়। তাঁর গ্রেফতারি সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে এবং এর ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন আইনজীবীর মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর।
ভারতের বিদেশ সচিব জানান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই মানুষের কল্যাণের উপর কেন্দ্রীভূত ছিল এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে বজায় থাকবে। তিনি বলেন, “এই সম্পর্ক উন্নয়নমূলক প্রকল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রতিফলিত হয়।”
মিস্রী আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করার সুযোগ হয়েছে।”
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন এবং বলেন, “এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও দুই দেশের মানুষের স্বার্থে অব্যাহত থাকবে।”