বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী কৃষ্ণদাস প্রভুকে সোমবার ঢাকার বিমানবন্দরে আটক করেছে সেখানকার প্রশাসন। তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং একটি অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
কাঞ্চন গুপ্তা জানিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ISKCON)-এর সদস্য কৃষ্ণদাস প্রভু (যিনি চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী নামেও পরিচিত) একজন প্রভাবশালী ধর্মগুরু। তাঁর দাবি, নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্মগুরুকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।
নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঞ্চন গুপ্তা লেখেন, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একটি বড় মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁকে ইউনূস প্রশাসনের গোয়েন্দা শাখায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।”

সূত্রের খবর, কৃষ্ণদাস প্রভুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু এফআইআর এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলিও হিন্দু ধর্মগুরুর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুকে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে অপহরণ করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা শাখা। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাঁচানোর লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশের সনাতনী সম্প্রদায় ভয় পাচ্ছে যে মহম্মদ ইউনূসের ‘উগ্র’ মানসিকতার সরকার তাদের ক্ষমতার বিরোধীদের যেকোনো পর্যায়ে গিয়ে দমন করতে পারে।” তিনি আটক ধর্মগুরুর একটি ভিডিও শেয়ার করে তাঁর সুরক্ষার জন্য ভারতের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।