দুর্গাপুজোর সময় কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বৈঠকে পুজো মণ্ডপগুলির নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানান, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মন্দির কমিটিগুলির জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে চার কোটি টাকা করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বরাদ্দের দ্বিগুণ। এই অর্থ প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে দেওয়া হবে।
নিরাপত্তার জন্য পুজো মণ্ডপে অস্থায়ীভাবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। রাতে অন্তত তিনজন এবং দিনে দু’জন স্বেচ্ছাসেবক মণ্ডপের নিরাপত্তায় থাকবেন। এছাড়া, আজানের পাঁচ মিনিট আগে মাইক, ঢাক এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে হবে এবং আজানের পর সেগুলি পুনরায় চালানো যাবে। এছাড়াও, পুলিস এবং সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনী মণ্ডপের চারপাশে মোতায়েন থাকবে, এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হবে।
‘ভারতের সব প্রকল্প চালু আছে’
এদিকে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ভারতের অর্থে চলমান কোনও প্রকল্পই স্থগিত নয়। সালেহউদ্দিন বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং কোনও প্রকল্পই বন্ধ বা স্থগিত রাখার পরিকল্পনা নেই।” গত মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কিছু প্রকল্পে জটিলতা তৈরি হলেও, ভারতের তরফ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি)-এর অধীনে ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প চালু হয়েছে, যার মধ্যে সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলির আর্থিক বরাদ্দ প্রায় সাড়ে চারশো কোটি ডলার। সালেহউদ্দিন জানান, “এই প্রকল্পগুলি বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী শুরু হয়েছে এবং বিতরণজনিত কিছু সমস্যা থাকলেও তা সমাধান করা হচ্ছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত।