ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসে হামলার ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে তলব করল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকে উপস্থিত হন এবং সে দেশের ভারপ্রাপ্ত বিদেশ সচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসে হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার এবং চার পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে ত্রিপুরার সরকার।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নয়াদিল্লি স্পষ্ট করেছে, কোনও পরিস্থিতিতেই দূতাবাস বা উপদূতাবাসে হামলা বরদাস্ত করা হবে না। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সীমান্তের উভয় প্রান্তে শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন।”
এদিকে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, আগরতলার ঘটনার পর ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস ও উপদূতাবাসগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতবিরোধী বিক্ষোভও হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের এক বিএনপি নেতার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। এই প্রেক্ষাপটে আগরতলার ঘটনার পর বাংলাদেশ প্রশাসনের সক্রিয়তা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
জামিন পেলেন না চিন্ময়কৃষ্ণ দাস, চট্টগ্রাম আদালতে শুনানি স্থগিত এক মাসের জন্য