খবরঅনলাইন ডেস্ক: দুর্গাপুজোর মরশুমে ও-পার বাংলা থেকে প্রায় ৪০০০ টন ইলিশ আসবে এ-পার বাংলায়। বাংলাদেশ সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রক এ ব্যাপারে বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করেছে।
ওই নির্দেশিকায় ঢাকা, খুলনা, পাবনা, যশোর এবং চট্টগ্রামের ৭৯ জন মাছ রফতানিকারকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকে ৫০ টন করে ইলিশ পাঠাবে পশ্চিমবঙ্গে।
নির্দেশিকা জারি করেছেন বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রকের রফতানি শাখার ডেপুটি সেক্রেটারি মোহম্মদ জাকির হোসেন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ প্রত্যেক রফতানিকারককে পশ্চিমবঙ্গে পাঠাতে বলা হয়েছে তার বেশি তারা পাঠাতে পারবে না। অর্থাৎ প্রত্যেকে ৫০ টন করেই ইলিশ পাঠাতে পারবে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সরকার যদি মনে করে তা হলে যে কোনো সময়ে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দিতে পারবে।
এ বার আসছে প্রায় ১১০০ টন বেশি
ইলিশ রফতানির উপরে বাংলাদেশে পুরো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ২০১৯ থেকে ওই নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সে বছর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ পুজোর মরশুমে পশ্চিমবঙ্গকে ইলিশ উপহার দিয়ে আসছে।
২০১৯-এ বাংলাদেশ থেকে ৫০০ টন ইলিশ এসেছিল। প্রতি বছরই পুজো-উপহারের পরিমাণ বাড়ছে। গত বার এসেছিল ২৯০০ টন। এ বার তা বেড়ে হচ্ছে প্রায় ৪০০০ টন। অর্থাৎ এ বছর প্রায় ১১০০ টন বেশি ইলিশ আসছে বাংলাদেশ থেকে।
কলকাতার ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেট্রারি সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেছেন, “বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশের আমদানি শুরু হবে। বাংলাদেশ সরকার যে ‘ডেডলাইন’ ঠিক করে দিয়েছে সেই অনুসারে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ আমদানির গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।”
কলকাতার ইলিশ আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, প্রথমে হাওড়া ও কলকাতার পাইকারি বাজারে মাছ আসবে। তার পর রাজ্যের বিভিন্ন খুচরো বাজারে মাছ চলে যাবে। আশা করা যায় রবিবার নাগাদ বাংলাদেশের ইলিশ বাজারে পৌঁছে যাবে।