সদ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে জোর শোরগোল বাংলাদেশে। কয়েক দিন আগেই বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে ট্রাম্প সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই খবরকে ভুয়ো বলেই দাবি করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের গ্রেফতারের খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্টচেকিং ফেসবুক পেজ ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’। সম্প্রতি কিছু প্রচার মাধ্যমে ঢাকায় ট্রাম্পের সমর্থকদের ওপর দমন-পীড়নের ঘটনা ঘটেছে বলে যে দাবি করা হয়েছিল, তা ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং-এর পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার কয়েকটি এলাকায় রবিবার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, দুর্নীতি এবং কোটি কোটি ডলার পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
এর পাশাপাশি, ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি বিবৃতি থেকে জানানো হয়েছে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইস্যুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তাঁর সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁরা ট্রাম্পের পোস্টার বহন করছিলেন। আটককৃত ব্যক্তিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা মার্কিন রাজনীতি সম্পর্কে জানেন না এবং কেবল হাসিনার নির্দেশে ট্রাম্পের পোস্টার বহন করছিলেন।
ফ্যাক্টচেকিং পোস্টে আরও বলা হয়, আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে পড়ুয়াদের নেতৃত্বে পরিচালিত গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করছে। বিশেষ করে, বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা ব্যাপক ভাবে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক আওয়ামী লীগ-সমর্থকদের গ্রেফতারের ঘটনাও একইভাবে অতিরঞ্জিত করেছে এই সংবাদমাধ্যমগুলি।
‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ বলছে, এ ধরনের ভুয়ো তথ্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
আরও পড়ুন: সত্যিই কি ফোনে কথা বলেছেন পুতিন-ট্রাম্প? কী বলছে ক্রেমলিন