দেশ
২০২১ সালেই বাংলাদেশ থেকে অসমের মহিসাশনে প্রবেশ করবে পণ্যবাহী ট্রেন
৫২.৫৪ কিলোমিটারের এই রেলপথটি ১৮৮৫ সালে অসম-বেঙ্গল রেলওয়ের অংশ হিসেবে কুলাউড়া-শাহবাজপুরের মধ্যে চালু হয়।


ঋদি হক: কালিকাবাড়ি-মহিষাশন সীমান্ত ঘুরে
করোনায় টানা ছ’ মাস বন্ধ থাকার পর ফের জোরকদমে এগোচ্ছে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথের (Kulaura-Shahbazpur railway) কাজ। এই রেলপথটি বাংলাদেশের (Bangladesh) কালিকাবাড়ি (Kalikabari) সীমান্ত দিয়ে অসমের (Assam) মহিসাশন (Mahisashan) প্রবেশ করবে।
ভারতের ‘লাইন অব ক্রেডিট’-এর আওতায় ৪৪.৭৭ কিলোমিটার মেন লাইন এবং ৭.৭৭ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৪ কোটি ৮৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৩৯ টাকা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৪ মাসে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালিন্দী রেলনির্মাণের সঙ্গে ২০১৭ সালের মে মাসে চুক্তি সম্পাদন করে বাংলাদেশ রেলমন্ত্রক। ওই বছরের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরকালে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পর ২০১৮ সালের মে মাসে রেলপথ নির্মাণকাজে হাত লাগানো হয়। এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের মে মাসে। কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। সরেজমিন ঘুরে তেমনটিই জানা গেল।
‘লাতুর ট্রেন’
সময়ের পিঠ বেয়ে ইতিহাস পালটায়। প্রয়োজনের তাগিদে যেখানে শেষ, সেখান থেকেই ফের ইতিহাস শুরু করা হয়। এই রেলপথটির ইতিহাস অনেক পুরোনো। ৫২.৫৪ কিলোমিটারের এই রেলপথটি ১৮৮৫ সালে অসম-বেঙ্গল রেলওয়ের অংশ হিসেবে কুলাউড়া-শাহবাজপুরের মধ্যে চালু হয়। সিলেটের বড়লেখা উপজেলার লাতু সীমান্ত দিয়ে কুলাউড়া রেল জংশন হয়ে অসম রেলের ট্রেন যাতায়াত করত।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কুলাউড়া-শাহবাজপুর চলাচলকারী একমাত্র ট্রেনটি ‘লাতুর ট্রেন’ নামে পরিচিত ছিল স্থানীয় সাধারণের কাছে, যা অযত্ন-অবহেলায় ২০০২ সালের ৭ জুলাই বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৫ সালের ২৬ মে ৬৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনঃস্থাপন প্রকল্প অনুমোদন করে হাসিনা সরকার। যার মধ্যে ১২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা বাংলাদেশ এবং ৫৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা দেবে ভারত।
১৯৭১ সালে তদানীন্তন পূর্ববঙ্গের আমজনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাক হানাদার বাহিনী। তাদের ‘বর্বর নৃশংসতম অত্যাচার’ এখন ইতিহাস। ’৭১ সালে প্রায় কোটি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল ভারতের বিভিন্ন স্থানে। অসমও দুই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। ন’ মাসের মুক্তিযুদ্ধের অবসান ঘটে লালসবুজে খচিত পতাকা অর্জনের মধ্য দিয়ে। ’৭১ সালেও অসমের মহিসাশন পর্যন্ত রেলসংযোগ সচল ছিল।
১৯ বছর পরে জেগে ওঠবে কালের সাক্ষী
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপ্রকল্পের অধীনে এবং ভারতের অর্থায়নে ফের জেগে ওঠবে কালের সাক্ষী রেলপথটি। এটি বড়লেখা থানার শেষ প্রান্ত কালিকাবাড়ির বুক চিরে প্রবেশ করবে অসমের মহিসাশনে। মাইল তিনেক আগে রাস্তায় স্তূপীকৃত অবস্থায় রেল দেখতে পেয়ে গাড়ি থামিয়ে নামতেই নজরে এল একজন প্রকৌশলী কংক্রিট তৈরির মেশিন বসানোর কাজ তদারকি করছেন। নাম বললেন আনওয়াতুল। পাশ দিয়ে সবুজ গাছগাছালির মধ্যে দিয়ে সরীসৃপের মতো এগিয়ে যাওয়া রাস্তাটি দেখিয়ে বললেন, মাত্র তিন কিলোমিটার পথ। তার পরই মহিসাশন।

গাড়ি গিয়ে থামল কালিকাবাড়ি চা বাগানের পাশে। অনতিদূরে মহিসাশন। সীমান্ত এলাকা। তাই সামনে এগোতে বারন করলেন এলাকার এক বৃদ্ধ। আসলাম নামের এক যুবক বললেন, ওই তো মহিসাশন। রেলপথের দিকে তাকিয়ে আবেগ আপ্লুত আসলাম। মনে হল তিনি দেখতে পাচ্ছেন, ভারী হুইসেল বাজিয়ে অসম থেকে ‘লাতুর ট্রেন’ আসছে। ফের রেলপথ চালু হলে এলাকার উন্নয়ন হবে, এমন প্রত্যাশা বুকে পুষে আছেন এই যুবক।
কাঙ্ক্ষিত পথে হুইসেল বাজবে না ডিসেম্বরে
আসছে ডিসেম্বরে কাঙ্ক্ষিত পথে ট্রেনের হুইসেল বাজবে না, সরেজমিন তাই দেখা গেল। বেশ কয়েকটি ব্রিজের আংশিক কাজ বাকি। ইয়ার্ডের নির্মাণকাজে হাত দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ার আরও একটি বড়ো কারণ করোনা। প্রকল্প শুরুর পর এটিই সব চেয়ে বড়ো ধাক্কা। দীর্ঘ ছয় মাস কাজ বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে। ফলে অনেক পিছিয়েছে নির্মাণকাজ।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে রেলযোগে সরাসরি পণ্য আসবে অসম-সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতে। কলকাতা থেকেও আসবে পণ্যবাহী ট্রেন। সম্ভাবনাময় এই রেলপথটি ঘিরে উভয় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবে। বিশেষ করে উত্তরপূর্ব ভারতে পণ্যপরিবহন সহজ হবে।
শাহবাজপুর রেলস্টেশনের নতুন ভবন
সরেজমিনে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে দেখা গিয়েছে, শাহবাজপুর রেলস্টেশনটিতে নতুন ভবন নির্মাণ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এখানে প্রকল্পের লোকজন রয়েছেন, রাখা আছে নির্মাণের নানা সামগ্রী।

একজন জানালেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরেছেন। বর্তমানে জোরকদমে কাজ এগিয়ে চলছে। তাঁর মতে, এই গতিতে কাজ এগোলে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পণ্যবাহী ট্রেন হুইসেল বাজিয়ে প্রবেশ করবে অসমের মহিসাশনে। সে দিনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন হাজারো মানুষ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
করোনায় স্থবির শেওলা-সূতারকান্দি স্থলবন্দরের অর্থনীতির চাকা
দেশ
মধ্যপ্রদেশের সরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি গেল কোভিডরোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির
সরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেল ৮৬০টি রেমডেসিভির ইনজেকশন!


খবর অনলাইন ডেস্ক: কোভিডরোগীর চিকিৎসায় রেমডেসিভির (Remdesivir) অপরিহার্য একটি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ। শনিবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ভোপালের একটি সরকারি হাসপাতালের স্টক থেকে রেমডেসিভিরের কমপক্ষে ৮৬০টি ইনজেকশন চুরি হয়ে গিয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ভোপালের ডিআইজি ইরশাদ ওয়ালি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে বলেন, “৮৬০টি রেমডেসিভির ইনজেকশন চুরি গিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি”।
চুরির কিনারা করতে পুলিশ কোনো সূত্র পেয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, তদন্ত চলছে।
ইতমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী (মেডিক্যাল) বিশ্বাস সারং বলেন, “ইঞ্জেকশন চুরির খবর পেয়েছি। এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। বিভাগীয় কমিশনার কবিন্দ্র কিয়াওয়াত এবং ভোপালের ডিআইজি ইরশাদ ওয়ালি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন”।
জানা গিয়েছে, এই চুরির ঘটনায় কোহ-ই-ফিজা থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৭ এবং ৩৮০ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এমনিতে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় রেমডেসিভির ইনজেকশনের সংকট দেখা দিয়েছে। কোভিডরোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন যে হারে কোভিড-১৯ ( Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ে চলেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই কোভিডরোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ওষুধের রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়তে পারেন: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা! অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির নিয়ে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
দেশ
করোনায় নাভিশ্বাস দশা রাজ্যের, ‘বাংলায় ব্যস্ত’ প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে পেলেন না মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে

খবর অনলাইন ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি দেশের মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ ডজনখানেক রাজ্য। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব, দরিদ্রদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের অভাবের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে হতাশ হতে হল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে।
কেন ফোন প্রধানমন্ত্রীকে?
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার যখন রাজ্যের পঞ্চম দফার ভোট চলছে, তখন অন্য দিকে তিনি সভা করছেন এ রাজ্যেই। ও দিকে উদ্ধবের দাবি, বিবিধ সমস্যার মুখোমুখি হয়ে এ দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নেই। তবে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্ধবের ফোনালাপের কোনো সূচি নির্ধারিত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
দিনদুয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে অনুরোধ করেছিলেন, কোভিডরোগীর চিকিৎসায় দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে অক্সিজেন সরবরাহ এবং সমাজের দরিদ্র শ্রেণির জন্য আর্থিক ত্রাণ সরবরাহ করার। সদুত্তর না পেয়েই এ দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়।
কী বলছে বিজেপি?
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে ‘নিম্নমানের রাজনীতি’ বলে অভিহিত করেছে বিজেপি। যার জেরে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের খেলা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বিষয়টিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ‘গিমিক’ বলে অভিযোগ করে মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারকে “অদক্ষ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত” আখ্যা দিয়েছেন।
গয়াল টুইটারে লেখেন, “মহারাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত ভারতের মধ্যে সব থেকে পরিমাণে অক্সিজেন পেয়েছে … কেন্দ্র প্রতিদিন যোগাযোগ রেখে চলছে …গতকাল-ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে এক সঙ্গে কাজ করতে বলেছিলেন … উদ্ধব ঠাকরে অভিনয় করছেন, তাঁর এই নিম্নমানের রাজনীতি দেখে দু:খ হচ্ছে”।
‘বাংলায় ব্যস্ত’ প্রধানমন্ত্রী?
পশ্চিমবঙ্গে চলছে আট দফার বিধানসভা ভোট। শনিবার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের দিনেও রাজ্যে প্রচারে এসেছেন মোদী। এটাই এখন নিয়মে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বিজেপির অন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা।
বড়োবড়ো রোড শো, জমায়েত কোনো কিছুরই খামতি নেই। নির্বাচন কমিশন বাধ্যতামূলক করলেও বড়ো জমায়েতে শারীরিক দূরত্ব অথবা মাস্কের চিহ্ন চোখে পড়ছে না অনেক জায়গাতেই।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯৯৭ জন। মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪০ জন। বর্তমানে দেশে ১১.৫৬ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Corona Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ফের লক্ষাধিক বৃদ্ধি, তবে সুস্থতার সংখ্যায় বৃদ্ধি আরও বেশি, মৃত্যুহার আরও কমল
দেশ
কেন লাগামহীন করোনা? মূলত ২টি কারণকেই দায়ী করলেন এইমস ডিরেক্টর
এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা এগোচ্ছে আড়াই লক্ষের দিকে। কী কারণে?


খবর অনলাইন ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসে যাওয়ার পর ফের কী ভাবে নিত্যদিন রেকর্ড গড়ছে কোভিড-১৯ (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা? এর নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকলেও মূলত দু’টি মূল বিষয়কেই দায়ী করলেন এইমস (AIIMS)-এর ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া (Dr Randeep Guleria)।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে গুলেরিয়া বলেন, “নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে।। তবে দু’টি প্রধান কারণ হল- যখন জানুয়ারি / ফেব্রুয়ারিতে টিকা দেওয়া শুরু হয় তখন কোভিডবিধি যথাযথ ভাবে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেকেই। এই একই সময়ে ভাইরাসের মিউটেশন ঘটে, যার ফলে এটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে”।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমিতের সংখ্যার দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উপর একটা বিশাল চাপ দেখতে পাচ্ছি। তাই আমাদের দরকার, হাসপাতালের শয্যা এবং অন্যান্য উপাদানগুলি বাড়ানো। অন্য দিকে জরুরি ভিত্তিতে সক্রিয় কোভিডরোগীর সংখ্যাও হ্রাস করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে”।
একই সঙ্গে ভ্যাকসিন সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে যে কোনো ভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ কার্যকরী নয়। ফলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আপনি সংক্রমিত হতে পারেন। তবে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাসকে বাড়তে দেবে না এবং আপনাকে গুরুতর অসুস্থ করে দিতে পারবে না”।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এই সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় এবং নির্বাচনও চলছে। আমাদের বুঝতে হবে জীবনও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা একটা সীমিত পদ্ধতিতে পালন করতে পারি। যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে এবং পাশাপাশি কোভিডের যথাযথ আচরণ অনুসরণ করা যায়”।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯৯৭ জন। মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪০ জন। বর্তমানে দেশে ১১.৫৬ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Corona Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ফের লক্ষাধিক বৃদ্ধি, তবে সুস্থতার সংখ্যায় বৃদ্ধি আরও বেশি, মৃত্যুহার আরও কমল
-
রাজ্য12 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ16 hours ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী