দেশ
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা
২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুর কাজ শেষ হয়েছে, এখন কেবল উদ্বোধনের পালা। সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন রামগড় ও সাবরুমবাসী।

ঋদি হক, রামগড়, খাগড়াছড়ি থেকে:
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ পালনে ব্যাপক আয়োজন চলছে বাংলাদেশে। সঙ্গে রয়েছে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এবং পরিবেশ অনুকূল থাকলে বাংলাদেশের মহোৎসবে শামিল হওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিশ্বনেতাদের।
মুজিববর্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নানামুখী প্রকল্প ও কানেক্টিভিটি চলমান রয়েছে। দেশটির বিজয় দিবসের রেশ ধরে ১৭ ডিসেম্বর শুরু হয় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পণ্যবাহী রেলচলাচল। ৫৫ বছর পর। আসছে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-শিলিগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে একের পর এক রেলপথ, জলপথ, সড়কপথ চালু হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ফেণী নদীর ওপরে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী-১ সেতুটির উদ্বোধনের ঘণ্টায় বেজে যেতে পারে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীতেই।
মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ
মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ। এখন রংতুলির শেষ আঁচড় পড়ছে। বাংলাদেশের রামগড় পৌরসভার মহামুনি প্রান্ত থেকে ত্রিপুরার সাব্রুমের আনন্দপাড়া যেন আগলে রেখেছে মৈত্রী সেতুকে। অর্থনৈতিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই সেতুটির মাধ্যমে লালসবুজ ও তেরঙা পতাকার সম্মিলন ঘটতে যাচ্ছে মুজিববর্ষেই।
বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় তথা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন উৎসবেই বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ দ্বারোদঘাটনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত মেলে। মুজিববর্ষেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কানেক্টিভিটি নেটওয়ার্কের আওতায় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। চালু হয়েছে বাংলাদেশের দাউদকান্দি-ত্রিপুরার সোনামুড়া জলপথ। উত্তরের পথে মেঘনার বুক চিরে অসমের করিমগঞ্জে লালসবুজ-গেরুয়া পতাকা উড়িয়ে পণ্যবাহী জলযান গিয়েছে। চলতি বছরেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের কাজ সম্পন্ন হবে। জোরকদমে এগিয়ে চলছে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেপথের কাজ। যেটি সরাসরি অসমের মহিষাসনের সঙ্গে যুক্ত হবে।
ভারত বাংলাদেশের পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে এ বার সেতুবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে রামগড়-সাবরুম মৈত্রী সেতু। বাংলাদেশের পাঁজরঘেষা উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যটির নাম ত্রিপুরা। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা রাজ্যটির সঙ্গে চলতি বছরেই চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। উভয় দেশের প্রাধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সেতুর উদ্বোধন করবেন। এ নিয়ে ঊভয়দেশের উচ্চ পর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গিয়েছে।
রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কী বলেন
রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কুমার কারবারী ‘খবর অনলাইন’কে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব থাকায় পণ্যবাহী লরি ত্রিপুরায় পৌঁছাতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৫ ঘন্টা। এই সাশ্রয়ী পণ্যপরিবহনের সুযোগ ভোগ করবে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সাধারণ বাসিন্দা। পাশাপাশি দু’ দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারও ঘটবে। সুগম হবে দু’দেশের আর্থসামাজিক সম্পর্ক। সেতুটি ঘিরে এরই মধ্যে ত্রিপুরার সাবরুম এলাকায় গড়ে ওঠছে অর্থনৈতিক জোন। সেতুটির ৮০ শতাংশ পড়েছে বাংলাদেশ প্রান্তে।
বিশ্বপ্রদীপবাবু আরও জানালেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম গড়ে উঠতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক হাব হিসেবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, মেরিন ড্রাইভ মহাসড়ক, এ সব গড়ে ওঠার সুবিধাভোগী হবে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো। কারণ এখান থেকে দিনে দিনে পণ্য পরিবাহিত হতে পারবে রাজ্যগুলোতে। তাতে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক সুবিধা হবে। পাশাপাশি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর সিঙ্গাপুর থেকে কাছে হওয়ায় তা ব্যবহার করতে পারবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য রাজ্যগুলো। অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই।
বিশ্বপ্রদীপবাবু জানান, পদ্মাসেতু হওয়ার ফলে বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে পণ্যপরিবহনের ক্ষেত্র এখন অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা না হলে বাংলাদেশে কোনো দিন পদ্মাসেতু হত বলে মনে হয় না।
রামগড় পৌরসভার মেয়র কী বলেন
রামগড় পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, রামগড়ে মৈত্রীসেতু ঘিরে এখানে গড়ে উঠছে স্থলবন্দর। এতে করে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছোঁয়া লাগবে পাহাড়ে। আয় বাড়বে পৌরসভারও। কানেক্টিভিটি হচ্ছে সভ্যতার প্রতীক এ কথা উল্লেখ মেয়র বলেন, বাংলাদেশকে ব্যবহার করলে ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতে পণ্যপরিবহন সাশ্রয়ী হবে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে রামগড়কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যে পাখনা মেলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ জন্য রামগড়বাসীর তরফে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানান।
সরেজমিন রামগড় ঘুরে দেখা গেল সেতুটি চালুর অপেক্ষায় দিন গুণছেন রামগড় তথা পাশ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ। সেতুকে ঘিরে সকলেই আবেগাপ্লুত। এরই মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাপান উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধি দল মৈত্রী সেতুসহ সড়কে নির্মীয়মাণ সেতু-কালভার্ট পরিদর্শন করেন। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর পরিদর্শন করে গেছেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মো. জাবেদ হোসেন।
সেতু নির্মাণের দায়িত্বে এনএইচআইডিসিএল
ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির ওপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের আন্তর্জাতিক মানের মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১২টি পিলার সংবলিত সেতুটির বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ করা হয়েছে আটটি এবং ভারতের অংশে চারটি পিলার। যাতে স্প্যান রয়েছে ১১টি। এর বাংলাদেশ অংশে সাতটি ও ভারত অংশে চারটি। নদীর অংশে ৮০ মিটারের স্প্যান এবং নদীর দু’পাড়ের ৫০ মিটারের দুটিসহ মোট ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ তিনটি স্প্যানই হচ্ছে সেতুর মেন স্প্যান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাবরুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করা এবং আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির শিলান্যাস করেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুর কাজ শেষ হয়েছে, এখন কেবল উদ্বোধনের পালা। সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন রামগড় ও সাবরুমবাসী।
দেশ
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
আজ বিকেল সাড়ে ৪টে সাংবাদিক বৈঠক নির্বাচন কমিশনের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে কমিশন।
কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে দেশের পাঁচ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি। বাংলায় ২৯৪, অসমে ১২৬, কেরলে ১৪০, তামিলনাড়ুতে ২৩৪ এবং পুদুচেরিচে ৩০টি আসনে ভোট হবে।
পশ্চিমবঙ্গে বাড়তে পারে দফার সংখ্যা
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ মে। অর্থাৎ, ভোট হওয়ার কথা এপ্রিল-মে মাস। তবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা। স্বাভাবিক ভাবেই পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারে কমিশন।
গত ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট হয় ছয় দফায়। সে বার ২৯৪ আসনের রাজ্য বিধানসভার ভোট হয়েছিল ৪ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত। তবে এ বার কোভিড-১৯ মহামারির আবহে দফার সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। দাবি করা হয়েছে, সাত থেকে ন’দফায় ভোট হতে পারে।
প্রকাশিত হয়েছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা
২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে জমা পড়া সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজন সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হয়। ভোটার তালিকার যাবতীয় সংশোধনীর কাজ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার চূড়ান্ত তালিকা পেশ করেছে কমিশন।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যে এখন মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৮০। ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৩। সংশোধিত তালিকায় পুরুষ ভোটার ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩০৬ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪, পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৭৯০ জন।
আপডেট পেতে দেখুন: খবর অনলাইন
দেশ
এক দিনে প্রায় ৫ হাজার সক্রিয় রোগী বাড়ল মহারাষ্ট্রে
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৭ জন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের শেষ কয়েকদিনের করোনা-গ্রাফ নতুন করে সতর্কতামূলক ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুক্রবার সকালে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পার হল ১৬ হাজারের গণ্ডি, অন্য দিকে শুধুমাত্র মহরাষ্ট্রেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ল হাজার পাঁচেক!
নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজারের বেশি
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৯১। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৭ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৪ হাজার ২৭৮ জন। বর্তমানে দেশে ১.৪১ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা আগের দিনের থেকে কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের, এর মধ্যে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। ভারতে এখন মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২৫। মৃত্যুহার ১.৪২ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে।
দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটি এ দিন ফের ১২ হাজারের উপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৭৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৮০ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার রয়েছে ৯৭.১৭ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার ২-এর কাছাকাছি
দেশে সামগ্রিক ভাবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক সংক্রমণের হারের বড়োসড়ো পরিবর্তন ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৭টি। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৯৯ শতাংশ।
এ দিকে, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ২১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন ৫.১৭ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে নতুন করে সংকট!
শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা রইল আট হাজারের উপরেই। বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৭০২। যা আগের দিনের থেকে সামান্য কমলেও মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।
অন্যদিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭৪৪ জন। ফলে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৪ হাজার ৯০২।
পশ্চিমবঙ্গের করোনা-পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ রইল দু’শোর মধ্যেই। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক এবং ছত্তীসগঢ়ে যে হারে নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের এই সর্বশেষ পরিসংখ্যান।
আরও পড়তে পারেন: নতুন আক্রান্ত দু’শোর মধ্যেই! কিছুটা হলেও স্বস্তি পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিসংখ্যানে
দেশ
ভারত বন্ধে শামিল ব্যবসায়ী, কৃষক সংগঠন, প্রভাব কলকাতায়
সকাল ৬টা শুরু হয়েছে ভারত বন্ধ। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

নয়াদিল্লি: শুক্রবার ভারত বন্ধে শামিল হয়েছে ব্যবসায়ী এবং কৃষক সংগঠনগুলি। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, নতুন ই-বিল এবং জিএসটি সংশোধনের প্রতিবাদে এ দিনের বন্ধ চলছে।
কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-এর ডাকা এই বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসায়ী সংগঠন ও বেশ কিছু কৃষক সংগঠন। দেখে নেওয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ আপডেট-
*কলকাতায় ভারত বন্ধের বিক্ষিপ্ত প্রভাব। বেশ কয়েকটি জায়াগায় বন্ধ রয়েছে বাজার।
*দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের ভারত বন্ধের প্রভাব। বন্ধ রয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাজার। অনেক জায়গাতেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ীরা।
*কৃষকদের শান্তিপূর্ণ ভাবে বন্ধ পালনের আহ্বান জানাল সংযুক্ত কিসান মোর্চা। একটি বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের সমস্ত কৃষকদের প্রতি আমাদের আবেদন, শান্তিপূর্ণ ভাবে সমর্থনের মাধ্যমে ভারত বন্ধকে সফল করে তুলুন”।
*সকাল ৬টা শুরু হয়েছে ভারত বন্ধ। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
*বাণিজ্যিক বাজারগুলি আজ বন্ধ থাকবে এবং সারা দেশ জুড়ে দেড় হাজার শহর এবং শহরতলিতে এ ধরনের বাজারগুলিতে ধরনা অনুষ্ঠিত হবে।
*ইতিমধ্যেই ভারত বন্ধকে সমর্থন করেছে অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তারা এ দিন সারা দেশে পরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
*প্রায় আট কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভারত বন্ধে অংশ নিতে পারেন। এর সঙ্গে দেশের প্রায় ১ কোটি পরিবহণ ও ক্ষুদ্র শিল্প ও মহিলা উদ্যোক্তারাও এতে অংশ নেবেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আপডেট আসছে…
আরও পড়তে পারেন: ব্যয় বেড়েছে পরিবহণে, এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম
-
প্রযুক্তি2 days ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
ক্রিকেট3 days ago
অমদাবাদ টেস্টের প্রথম একাদশে চমকপ্রদ পরিবর্তন করবে ভারত? জোর জল্পনা
-
ক্রিকেট3 days ago
কপিল দেবের পর প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে চলেছেন ইশান্ত শর্মা
-
দেশ2 days ago
বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি আটকাতে ৩০টি দেশে ছুটে গেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের এই ঋণ মনে রেখেছে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী