ঋদি হক: ঢাকা
দীর্ঘ দিন পর হলেও তিস্তায় (River Teesta) বরফ গলতে শুরু করেছে। তিস্তার জলবণ্টনের বিষয়টি যেমন দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে রয়েছে, তেমনই এর সমাধানে আলোচনাও কম হয়নি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ বার তিস্তা নিয়ে জট খুলতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার যৌথ পরামর্শদাতা কমিশনের (জেসিসি, JCC)) বৈঠক শেষে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) ড. এ কে আবদুল মোমেন (Dr. A K Abdul Momen) সাংবাদিকদের জানান, তিস্তা-সহ ছয়টি নদীর জলবণ্টন সমস্যা সমাধানে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে সীমান্ত-হত্যা বন্ধেও একমত হয়েছে।
ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Indian PM) নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। এ কথা জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, “দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে কী কথা হবে সেটি এখনও ঠিক হয়নি। দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে আমরা সম্মত হয়েছিবে। এখন আমরা প্রস্তুতি নেব। আমাদের হাতে সময় রয়েছে। আমরা চাইব বৈঠকটি যাতে তাৎপর্যপূর্ণ হয়।”
যৌথ পরামর্শদাতা কমিশনের বৈঠক নিয়ে ড. মোমেন বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডকে দুই দেশেরই লজ্জা বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বৈঠকে সীমান্ত-হত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু’দেশের গভীর বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বন্ধুত্ব থাকার পরেও সীমান্ত-হত্যা আমাদের জন্য যেমন লজ্জার, ভারতের জন্যও লজ্জার। আমরা চাই না সীমান্ত-হত্যা ঘটুক।”
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এ বারের ৬ষ্ঠ জেসিসি বৈঠকে তিস্তা-সহ অভিন্ন নদীর জলবণ্টন, সীমান্ত-হত্যা, ভারতের ক্রেডিট লাইন, প্রতিরক্ষা, কানেক্টিভিটি, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি ছাড়াও পেঁয়াজের মতো বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ড. মোমেন সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ভারতকে বলা হয়েছে ভবিষ্যতে তারা ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলে আগে থেকেই যেন বাংলাদেশকে অবহিত করে।
করোনা ভাইরাসের কারণে এই প্রথম জেসিসি বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হল। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জেসিসির ৫ম বৈঠক হয়েছিল দিল্লিতে। বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে সেই বৈঠক হয়েছিল।
ড. মোমেন জানিয়েছেন, সীমান্তে যেখানেই সমস্যা হবে, দু’দেশের পক্ষ থেকে যৌথ ভাবে নজরদারি চালানো করা হবে।
এদিন বিকালে বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের (India) পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর (Dr. S Jaishankar)।
খবর অনলাইনে আরও পড়তে পারেন
হাসিনার জন্মদিনে ভারতের শুভেচ্ছা, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান স্মরণ হাসিনার
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।