জঙ্গি দমন অভিযানে বড়ো সাফল্য পেল বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকার কল্যাণপুরে এক ডেরায় হানা দিয়ে ৯ জন জঙ্গিকে মেরে ফেলল তারা। ধরা পড়েছে দু’ জন। তাদের মধ্যে এক জন আহত। সে হাসপাতালে। গুলশনের মতো বড়ো মাপের জঙ্গি হামলা চালাতেই তারা সেই বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিল বলে পুলিশ জানায়।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতেই পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) কল্যাণপুরের ‘তাজ মঞ্জিল’ নামের বাড়িটিতে অভিযান চালায়। ছ’ তলা ওই বাড়িটিকে স্থানীয়রা ‘জাহাজ বাড়ি’ বলে চেনে। ওই বাড়ির চার ও পাঁচ তলায় চারটি করে ইউনিট ভাড়া দেওয়া হয় মেস হিসাবে। এই মেসেই ভাড়াটে হয়ে এসেছিল ওই যুবকরা।
পুলিশ ও র্যাব বাড়িটি ঘিরে ফেলে। খবর পেয়ে জঙ্গিরা পাঁচ তলার আস্তানা থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে। ওই বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে যুবকেরা চিৎকার করে বলছিল, তারা আইএসের সদস্য, তারা জিহাদ করছে। এই সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে হাসান নামে এক যুবক আহত হয়। তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে আরেক জঙ্গিকে ধরে ফেলে পুলিশ।
রাত্রে আর বাড়ির মধ্যে না ঢুকে সকালের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে পুলিশ। সকালে ডেকে পাঠানো হয় বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী সোয়াটকে। ভোরের ওই সম্মিলিত অভিযান শেষ হওয়ার পর ৯ জঙ্গির মৃতদেহ পাওয়া যায়। ৭ জঙ্গির দেহ মেলে করিডোরে, ২ জনকে দু’টি বেডরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। জঙ্গিদের ঘর থেকে বেশ কিছু নতুন কালো পাঞ্জাবি ও কালো পতাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও।
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে বাংলাদেশের পুলিশের আইজি শহিদুল হক বলেন, “নিহত জঙ্গিদের সঙ্গে গুলশনে হামলাকারীদের যোগসূত্র রয়েছে। এরা মুখে আইএস-এর সদস্য বলে পরিচয় দিলেও এরা আসলে স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সদস্য। এরা আরও বড়ো নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।”
ছবি: সৌজন্যে বিবিসি নিউজ
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।