বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন দেশের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন। শনিবার রাজশাহীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিদর্শন এবং এক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার কোনও বিতর্ক তৈরি করতে চায় না।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার কথা জানান।
সম্প্রতি জামাত-এ-ইসলামির প্রাক্তন আমীর গোলাম আজমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আজমি জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, “বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এটি দুটি বাংলা একত্র করার উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল। এই সঙ্গীত ভারত আমাদের উপর ১৯৭১ সালে চাপিয়ে দিয়েছিল।”
তবে এএফএম খালিদ হোসেন সরাসরি এ দাবিকে নাকচ করে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনও নতুন সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী নয় যা জাতীয় সংহতি বা ঐক্যে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।”
ধর্মীয় স্থানে হামলার নিন্দা
এদিকে, বাংলাদেশের মসজিদ, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে হোসেন বলেন, “এটি এক ধরনের ঘৃণ্য কাজ এবং যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।” মাদ্রাসার ছাত্রদের নাম জড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “মাদ্রাসার ছাত্ররা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত ছিল না, এটি পুরনো সরকারের এক প্রকার ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্গাপুজোর সময় মাদ্রাসার ছাত্ররাও মন্দির পাহারায় থাকবে যাতে কোনও ধরনের হামলা বা ষড়যন্ত্র না ঘটে।” তাঁর মতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর এবং ধর্মীয় স্থানগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উপর ভারতে হামলার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা না থাকার বিষয়টি পরিষ্কার করে দিলেন এএফএম খালিদ হোসেন। সরকার তার নীতির মধ্যে দেশের স্থিতিশীলতা ও সংহতি বজায় রাখার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।