ঢাকা: বাংলাদেশের আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালানোর ঘটনাকে নিজেদের ব্যর্থতা বলে জানিয়েছেন র্যাবের (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
পলাতক দুই জঙ্গি
গত নভেম্বরে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় মইনুল হাসান শামীম এবং আবু সিদ্দিক সোহেল নামে দুই জঙ্গি। বাংলাদেশের জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন জীপন এবং বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
অন্য মামলার শুনানিতে হাজির করতে ওই দুই আসামিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল। সে সময়ই তারা ‘পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে’ পালিয়ে যায়। জানা যায়, মইনুল হাসান শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে। আর আবু সিদ্দিক সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামে। তাদের ধরতে এখনো বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।
ব্যর্থতা স্বীকার র্যাবের
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সে বিষয়েই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন র্যাবের মহাপরিচালক।
প্রথম আলো-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এম খুরশীদ হোসেন বলেন, “যে দুজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে, এটা আমরা অস্বীকার করব না। আমরা অবশ্যই আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্যই আমার দুর্বলতা থাকলে স্বীকার করব। এটা আমাদের ব্যর্থতা, যেহেতু এ ভাবে দু’জন জঙ্গি চলে গেছে”।
পুরস্কারেও মেলেনি হদিশ
পালিয়ে যাওয়া মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির পালানোর ঘটনায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়। এমনকী তাদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। ঘোষণা করা হয়, দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও তাদের ধরা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “তারা দীর্ঘদিন ধরে প্ল্যান করে অবশ্য গিয়েছে এবং আমরা এখনো তাদের ধরতে পারিনি। তবে আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি”।
আরও পড়ুন: বড় দিনের আগেই হাওয়া বদল, ঘূর্ণাবর্তের জেরে বাড়তে চলেছে তাপমাত্রা
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।