দেশ
একের পর এক জলপথ উন্মুক্ত, সুদৃঢ় বন্ধনে বাংলাদেশ ও ভারত
সিলেটের জকিগঞ্জ এবং অসমের করিমগঞ্জের মধ্যে চালু হচ্ছে আরও একটি জলপথ।

ঋদি হক: ঢাকা
সিলেটের (Sylhet) জকিগঞ্জ (Zakiganj) এবং অসমের (Assam) করিমগঞ্জের (Karimganj) মধ্যে চালু হচ্ছে আরও একটি জলপথ। আসছে ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী একটি কার্গো ভেসেল যাবে করিমগঞ্জে। সে দিন ভার্চুয়ালি পণ্য গ্রহণের কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
পাশাপাশি মোংলা বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন সরাসরি সিলেটের জকিগঞ্জ দিয়ে পৌঁছোবে অসমের মৈশাষন। খুলনা-মোংলা এবং জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জের মধ্যে রেলসংযোগের কাজও শেষের পথে।
অপর দিকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হলেই চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ত্রিপুরার সংযোগ স্থাপিত হবে। ত্রিপুরার বিলোনিয়া থেকে ও বাংলাদেশের ফেনী পর্যন্ত ৫/৬ কিলোমিটার রেলপথ আগেই ছিল। দীর্ঘদিন এটি অব্যবহৃত। নতুন করে এই সংযোগটি হলে সরাসরি পণ্য যাবে ত্রিপুরা ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলে। পদ্মা হয়ে গেলে কলকাতা থেকে মাত্র ৫ ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছোনো সম্ভব হবে। এক কথায় বলা চলে, বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ নয়া নজির গড়তে যাচ্ছে।
জলপথে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। বলা চলে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বর্তমানে দু’ দেশের যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ১০টি জলপথ সচল রয়েছে। বাংলাদেশের সিলেটের জকিগঞ্জ এবং অসমের করিমগঞ্জের মধ্যে আরও একটি জলপথ উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আসছে ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে একটি জাহাজ করিমগঞ্জে যাবে। সেটি ভার্চুয়ালি গ্রহণ করার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।

বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রোটোকল রুটের ডিরেক্টর রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দাউদকান্দি থেকে ভারতের ত্রিপুরার সোনামুড়া পর্যন্ত সম্প্রতি ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। এ বারে রাজশাহীর গোদাগড়ি থেকে পশ্চিবঙ্গের ধুলিয়ানের ময়ার পর্যন্ত জলপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১২ অক্টোবর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিএ, BIWTA) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জলপথটির বাংলাদেশ অংশ পরিদর্শন করেন।
ওই প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রোটকল রুটের ডিরেক্টর রফিকুল ইসলামও ছিলেন। শুখা মরশুমে এই জলপথে কমপক্ষে পাঁচশো থেকে ছশো মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করার মতো কার্গো ভেসেল চলাচল করতে পারবে। আর বর্ষায় কমপক্ষে হাজার টনের ভেসেল অনায়াসেই চলাচল করতে পারবে বলে বলা হয়েছে। প্রতিনিধিদলটি পরে রাজশাহীর মেয়রের সঙ্গেও বৈঠক করেন। মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন, এ ব্যাপারে যত রকমের সহযোগিতা দরকার তাঁর তরফে তা করা হবে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, অপর জলপথটি হচ্ছে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ হয়ে অসমের করিমগঞ্জ। এই রুটটি একটি দীর্ঘ জলপথ হলেও এটি সম্ভাবনাময়। ভারতই এই জলপথটি বেশি ব্যবহার করে থাকে। এর নব্যতা ধরে রাখতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে।

বাংলাদেশ-ভারত কানেক্টিভিটি নেটওয়ার্কের (বিবিসিএন, BBCN) প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হবিবুর রহমান বলেছেন, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে জলপথ-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। সচল রয়েছে ১০টি জলপথ।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এ সব জলপথ নিয়ে গবেষণায় হাত লাগিয়েছি। দু’ দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত মত বিনিময় জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, চলতি সপ্তাহেই দু’দেশের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করা সম্ভব হবে। দু’ দেশের মধ্যে জলপথ সচল থাকায় নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং কম সময়ে পণ্যপরিবহন সম্ভব হচ্ছে। এতে করে উভয় দেশ আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।”
গবেষক ও বিশিষ্ট সমাজচিন্তক চৈতী রানি বিশ্বাসের মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের নতুন মাত্রা যোগ করেছে জলপথ। এর ফলে দিন দিন ঝুঁকিমুক্ত পণ্যপরিবহন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলপথগুলো খননের মাধ্যমে নাব্যতা ধরা রাখা সম্ভব এবং শুখা ও বর্ষার মরশুমে বাধাহীন পণ্যপরিবহন করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে দু’দেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌছেছে। এ বন্ধন অটুট ও সুদৃঢ় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাজশাহীর গোদাগাড়ি ও ধূলিয়ান জলপথটি দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। এই পথে পণ্যপরিবহণের জন্য এরই মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিএর কাছে অনুমোদন চেয়ে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
দুই দেশ একে অপরের পরিপূরক শক্তি: বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাই কমিশনারের বৈঠক
দেশ
মাত্র ১৮ শতাংশ ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন, ৩৬ শতাংশ কমিয়ে দেবেন ব্যবহার: সমীক্ষা
জনপ্রিয়তা বাড়ছে টেলিগ্রামের।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি বদল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই গোটা বিশ্ব তোলপাড়। চাপে পড়ে অনলাইন মেসেজিং অ্যাপের কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে এখনই নীতিতে বদল তারা আনছে না। কিন্তু এরই মধ্যে চমকপ্রদ একটি তথ্য ধরা দিল সমীক্ষায়। দেখা গিয়েছে, এই বিতর্কের জেরে বিশাল সংখ্যক ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার বন্ধ বা কমিয়ে দিতে পারেন।
সামাজিক গণমাধ্যমের একটি প্ল্যাটফর্ম LocalCircles এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮ হাজার ৯৭৭ জন ভারতীয়। এর মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার আগের মতো চালিয়ে যেতে পারেন।
এ ছাড়া, ৩৬ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলেও তা আগের থেকে অনেকটাই কমিয়ে দেবেন। ১৫ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা এক্কেবারেই বন্ধ করে দেবেন।
২৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের বদলে টেলিগ্রাম (Telegram) বা সিগন্যাল (Signal) ব্যবহার শুরু করতে পারেন। ৯১ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ফিচারটি ব্যবহার করবেন না।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের ডাউনলোড ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। অন্য দিকে টেলিগ্রামের ডাউনলোড বেড়েছে অনেকটাই।
হোয়াটসঅ্যাপের সাফাই
প্রাইভেসি পলিসির বদল হোক আর না হোক, গ্রাহকদের তথ্য যে সুরক্ষিত এই কথাটা প্রমাণ করতে নানা পন্থার অবলম্বন করতে হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপকে। চলতি সপ্তাহের প্রথমেই ভারতের নামজাদা একাধিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম।
রবিবার, ১৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী ইউজারদের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাস এল। সেখানে ছবি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা, গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষা করতে তারা এক প্রকার দায়বদ্ধ।
সেই স্ট্যাটাসে হোয়াটসঅ্যাপ বলে, ‘আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করতে আমরা দায়বদ্ধ’, ‘হোয়াটসঅ্যাপ আপনার ব্যক্তিগত কথোপকথন শুনতে বা পড়তে পারে না, কারণ এতে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন রয়েছে’, ‘আপনার শেয়ার করা লোকেশন দেখতে পায় না হোয়াটসঅ্যাপ।’
এ দিকে শনিবারই সকালেই হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়ে দেয় যে, প্রাইভেসি পলিসি এখনই বদলাচ্ছে না। অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তার নয়া নীতি ও শর্তাবলি না মানলে ইউজারদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট হওয়ার ভয় এই মুহূর্তে থাকছে না। তবে তারা জানিয়েছে যে ‘নয়া নীতি সম্পর্কে গ্রাহকেরা স্বেচ্ছায় রিভিউ জানানোর পরই আমরা ১৫ মে থেকে নতুন প্রাইভেসি পলিসি লাগু করব’।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
দেশ
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৪৫ জনের।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ভারতে করোনার গ্রাফটা আরও বেশি করে নিম্নমুখী হচ্ছে। আর ততই একটি বিভাজনও প্রকট হয়ে যাচ্ছে। ভারতে বর্তমানে করোনার যা চিত্র তাতে দেখা যাচ্ছে যে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যার ৬০ শতাংশই রেকর্ড করা হচ্ছে মাত্র দু’টি রাজ্যে।
এ দিকে মৃতের সংখ্যা এবং সংক্রমণের হারও ক্রমশ কমছে ভারতে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে ভালো হচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহই নেই।
নতুন আক্রান্ত ১৩ হাজারের একটু বেশি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী সোমবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৭৩। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৮৮ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২ লক্ষ ৮ হাজার ১২। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী কমেছে ৮১৪ জন। বর্তমানে দেশে মাত্র ১.৯৬ শতাংশ কোভিডরোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
কী ভাবে লাগাম পড়ছে সংক্রমণে
সংক্রমণ কী ভাবে কমছে, সেটা সংক্রমণের হারটা দেখে বুঝতে হয়। বর্তমানে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ২ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। অর্থাৎ এখন দেশে প্রতি ১০০ টেস্টে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন গড়ে ২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৬৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ২.৫১ শতাংশ।
এ দিকে সামগ্রিক সংক্রমণের হার আরও কমছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ১৮ কোটি ৭০ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন মাত্র ৫.৬৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণের হার আগামী দিনে আরও কমবে এই আশা করাই যায়।
সংক্রমণ কোথায় কেমন?
দেশের বর্তমানে দু’টি রাজ্যে সংক্রমণ থাকছে চার সংখ্যায়। সে গুলি হল কেরল (৫,০০৫), মহারাষ্ট্র (৩,০৮১) । মহারাষ্ট্রে সংক্রমণে অনেকটাই লাগাম পড়লেও কেরল এখনও চিন্তায় রাখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে।
তিন অঙ্কের সংক্রমণে যে যে জায়গায় সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টায় তুলনামূলক বেশি ছিল সেগুলি হল কর্নাটক (৭৪৫), তামিলনাড়ু (৫৮৯), পশ্চিমবঙ্গ (৫৬৫), গুজরাত (৫১৮),
সুস্থ হলেন ১৪ হাজারের কিছু বেশি
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থতার সংখ্যাটি ১৪ হাজারের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। ১৪ হাজার ৫৫৭ জনের সুস্থতার ফলে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ১ কোটি ২ লক্ষ ১১ হাজার ৩৪২ জন। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হল ৯৬.৫৯ শতাংশ।
মৃতের সংখ্যা ২৪০ দিনে সর্বনিম্ন
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। এটা ২৪০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন সংখ্যা, কারণ শেষ বার এত কম সংখ্যক মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছিল গত ২৩ মে।
এখনও পর্যন্ত ভারত ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু কোভিডের কারণে হয়েছে। দেশে মৃত্যুহার রয়েছে ১.৪৪ শতাংশে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দক্ষিণবঙ্গে দু’দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
দেশ
রবিবার ভারতে ১৭ হাজার জনকে টিকা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা কম, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
রবিবার দেশের মাত্র ছ’টি রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলেছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শনিবার ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ কোভিডের টিকাকরণের প্রথম দিন ভারতে ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষের ওপরে কোভিডের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। রবিবার সেটা এক লাফে অনেকটাই কমে গেল। ওই দিন টিকা দেওয়া হয়েছে ১৭ হাজার জনকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা অনেক কম রেকর্ড করা হয়েছে।
রবিবার কেন কম মানুষকে টিকা?
শনিবার দেশের ৩,০০৬টি কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষের ওপরে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। রবিবার কিন্তু ৫৫৩টি কেন্দ্রে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া হয়েছে। টিকা দেওয়া হয়েছে দেশের মাত্র ছ’টি রাজ্য– অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং মণিপুরে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন টিকাকরণ কম হওয়াটা আসলে সরকারের পরিকল্পনারই অংশ। কেন্দ্র এমন ভাবে টিকাকরণ করতে চাইছে, যাতে অন্যান্য রোগের টিকাকরণে কোনো সমস্যা না হয়।
কেন্দ্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ রাজ্যই সপ্তাহে চার দিন টিকাকরণ প্রক্রিয়া করবে বলেছে। তবে উত্তরপ্রদেশ এবং গোয়া সপ্তাহের মাত্র দুটো দিন, মিজোরাম পাঁচ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ছ’টি দিন এই প্রক্রিয়া চালাতে চায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা কম
রবিবার ক’ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, সেই সংখ্যাটা বিস্তারিত না বললেও কেন্দ্র জানিয়েছে যে প্রথম দু’ দিনের টিকাকরণের পর গোটা দেশে ৪৪৭ জন গ্রহীতার শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩ জনকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। যদিও তাঁরা প্রত্যেকেই বিপন্মুক্ত।
ইনজেকশন নেওয়ার জায়গাটা ফুলে যাওয়া, হালকা গা-বমি ভাব ছিল এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ধরন। ভারতে এই মুহূর্তে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি তথা সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রস্তুত করা টিকা কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন দিয়ে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্যে ছ’শোর নীচে নামল দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
ক্রিকেট3 days ago
অভিষেকে লড়াকু নটরাজন, সুন্দর, অস্ট্রেলিয়া ২৭৪