বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। গতকাল শনিবার থেকে গাজীপুরসহ সারা দেশে এই অভিযান চলছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় গাজীপুরের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
অভিযানটি বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তারাই গ্রেপ্তার হবে।’
অভিযানের অংশ হিসেবে গাজীপুরে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এই অভিযানের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘দুর্বৃত্তদের ধরতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’কে স্বাগত জানাই।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই অভিযান কতদিন চলবে, সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ‘এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।‘
সারাদেশে এই বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে।