ঋদি হক: ঢাকা
সকল কর্মযজ্ঞ শেষে শেখ হাসিনার হাত ধরে খুলছে দক্ষিণের দুয়ার ‘পদ্মা সেতু’। এটা কোনো স্বপ্ন নয়। অথৈ জলরাশির উন্মত্ত পদ্মার বুকে উড়ছে ‘উন্নয়নের শঙ্খচিল’। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলাকেই শুধু নয়, দূরন্ত গতির সঙ্গে জুড়বে উত্তরপূর্ব ভারতকেও। আগরতলা থেকে কলকাতার যাত্রাপথ হবে মাত্র ৮ ঘণ্টার। ঢাকা থেকে ৫ ঘণ্টার পথ। এ যেন স্বপ্নের ল্যান্ডস্কেপ। ইতিহাসের সিমফনি। এই দুরন্তপনার ঠিকানা বাংলাদেশ।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখো মানুষের দুর্ভোগের মুক্তির সনদ ‘পদ্মা সেতু’। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ডাক। যুগের পর যুগ অবহেলিত মানুষকে জাগিয়ে তোলার বংশীবাদক শেখ হাসিনা। তাঁর দূরদর্শিতাই আজকের ‘পদ্মা সেতু’। পদ্মাপারের মানুষ বুকভরা আশা এবং নানা পরিকল্পনা নিয়ে সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিলেন। যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়ংকর পদ্মা পাড়ি দিতে কখনও কখনও দু’ দিন সময় লেগে যেত। মানুষের সেই চরম দুর্ভোগকে জয় করে বাংলাদেশের গতির সঙ্গে যুক্ত করলেন শেখ হাসিনা। ‘পদ্মা সেতু’ লাখো মানুষের মুক্তির স্মারক।
শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুকাঙ্ক্ষিত ‘পদ্মা সেতু’। স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরের দিন ২৬ জুন রবিবার থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতু। ‘পদ্মা সেতু’ নির্মাণ বাংলাদেশের নেতৃত্বের আর-একটি দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ‘পদ্মা সেতু’ নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দল একাধিক গান বেঁধেছে।

সীমান্ত থেকে জলপথ, সর্বত্র ‘পদ্মা সেতু’র উদ্বোধনী ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। পদ্মার সেতুর উপর দিয়ে লাল-সবুজে খচিত পতা উড়িয়ে চলছে সেনাবাহিনীর মহড়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানাতেই জোয়ানদের এই মহড়া। কোনো পণ্যবাহী ট্রেন মংলা বন্দর থেকে ‘পদ্মা সেতু’র ওপর দিয়ে সরাসরি চলে যেতে পারবে ত্রিপুরা তথা উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোয়। ‘পদ্মা সেতু’ উত্তরপূর্ব ভারতের কাছেও আশীর্বাদ। কিছু কিছু সম্পদ নতুন করে ইতিহাস লিখতে শেখায়। তার মধ্যে ‘পদ্মা সেতু’ একটি। এটি হচ্ছে সভ্যতার প্রতীক। আন্তর্দেশীয় যোগাযোগের অন্যতম উত্তম ব্যবস্থা।
২৫ জুন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পদ্মার দক্ষিণ তীর শরীয়তপুরে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণকালের বৃহত্তর জনসমাবেশ। সেখানের মধ্যমণি শেখ হাসিনা। স্মরণকালের বর্ণাঢ্য আয়োজনে দুয়ার খুলবে ‘পদ্মা সেতু’র। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাসে যুক্ত হবে আরও একটি পালক। ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পদ্মার উভয় তীরে উৎসবমুখর আয়োজনের প্রস্তুতি। যার শেষ তুলির আঁচড় পড়ছে। সারা বাংলার পথ এসে মিশেছে গিয়েছে পদ্মাপারে। পদ্মার সেতু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্মিলিত ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছে পদ্মার দুই তীর ছাপিয়ে বাংলার কোণে কোণে।
এই স্বপ্ন জয়ের অংশি বাংলাদেশের মানুষ। ‘পদ্মা সেতু’ নির্মাণ শুরুর আগেই নানা অভিযোগ তুলে অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক। এর পরই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মার বুকে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে। সকল প্রতিকূলতা ছাপিয়ে অবশেষে ‘পদ্মা সেতু’ নির্মাণ করে বিশ্বে নজির গড়লেন বাংলার ‘উন্নয়ন দূত’ শেখ হাসিনা।
আরও পড়তে পারেন
রাস্তায় নামতে পারেন শিবসেনা কর্মীরা, মহারাষ্ট্রের সমস্ত থানায় জারি হাই-অ্যালার্ট
১ জুলাই থেকে হচ্ছে না, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড টোকেনাইজেশন পিছোল আরও ৩ মাস বাড়ল
কনস্টেবল থেকে ধনকুবের! ৮ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী
গুজরাত দাঙ্গায় মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়ার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
বেতন এবং কাজের সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, ১ জুলাই থেকেই চালু হতে পারে নয়া আইন
মাসে দেড় হাজার টাকায় শিক্ষক! তাও আবার অনার্স এবং বিএড-সহ, বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক