ঢাকা: আগামী বছর বাংলাদেশের মানুষ একটি রাজনৈতিক সরকার পেতে পারে বলে মন্তব্য করলেন অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। দেশের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে তিনি জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য চারটি বিশেষ কমিটি গঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী এই কমিটি গঠন করা হয়।
শনিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, “এই মুহূর্তে দেশের বড় দুশ্চিন্তা হলো অর্থনৈতিক বৈষম্য। বৈষম্য দূর করতে মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশ এখনও সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।” তিনি আরও জানান, উন্নত দেশ থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল এ বিষয়ে বলেন, “মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাঁচতে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।”
এদিকে, নির্বাচন কমিশন বিধিমালা, ২০১০-এর অধীনে চারটি পৃথক কমিটি গঠনের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ‘আইন ও বিধি সংস্কার কমিটির’ প্রধান করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছুউদকে। এই কমিটি নির্বাচনী আইন পর্যালোচনা এবং সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার সুপারিশ করবে। অন্যদিকে, কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদের নেতৃত্বে আরও একটি ৯ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে।
এই উদ্যোগগুলো কি দ্রুত নির্বাচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে? উত্তর দেবে সময়। তবে সাধারণ জনগণের মধ্যে এই বিষয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।