বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবন লাগোয়া প্রস্তাবিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের যদি পরিবেশগত ঝুঁকি থাকে তবে তা বিবেচনা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিতর্ক চলছে। পরিবেশকর্মীরা দাবি করছেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হলে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান ও পরিবেশ সংগঠন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির বিরোধিতা করেছে।
বাংলাদেশের বণিকসভার একটি অনুষ্ঠানে নিজেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির প্রস্তাবের এক জন সমর্থক বলে উল্লেখ করে মসিউর রহমান বলেন, “আমি সেখানে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জোরদার সমর্থক ছিলাম। তার মানে এই নয় যে পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ থাকলে তা একেবারেই বিবেচনা করা হবে না।”
অন্য দিকে তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির দাবি, সব চেয়ে ভালো প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও রামপাল বিদ্যুৎপ্রকল্প থেকে বছরে কমপক্ষে ৬৫ কেজি পারদ সুন্দরবনের মাটিতে যাবে। এক চামচ পারদ মাটিতে ফেললেই মাটি বিষাক্ত হয়ে যায়। আর ওই বিপুল পরিমাণ পারদ সুন্দরবনের মতো জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকায় ফেললে এর অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
এ ছাড়াও দিনে সাড়ে চার কোটি লিটার গরম ও দূষিত জল সুন্দরবনের নদীতে ফেলা হবে। এতে সুন্দরবনসংলগ্ন নদীগুলোর জলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। রামপাল প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে সংস্থাটির দাবি।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে ২০ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সারা দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
সূত্র: প্রথম আলো
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।