বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নতুন করে উত্তেজনা। রবিবার রাতে সচিবালয়ের কাছে ছাত্র ও আনসার সদস্যদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম।
ঘটনায় প্রকাশ, রাত ৯টার পর এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ধাওয়া করে। উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হট্টগোল চলাকালে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
ঢাকা ট্রিবিউন- এর রিপোর্ট অনুসারে এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে সচিবালয়ের দিকে মিছিল করে রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যে জড়ো হতে শুরু করে। ছাত্ররা আনসার সদস্যদের ‘স্বৈরাচারের দালাল’ বলে আখ্যা দিচ্ছিল।
আনসার সদস্যদের একটি দল সচিবালয়ে সমন্বয়কারী সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলামকে আটক করছে বলে খবর ছড়ানোর পরে এই উত্তেজনা দেখা দেয়। এই পুরো ঘটনার অনেক ভিডিয়োও সামনে এসেছে, যাতে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ হতে দেখা যায়। জনতার ওপর হামলাও হচ্ছে, এমন কিছু ভিডিওও সামনে এসেছে, যাতে মানুষ আহত হয়।
ছাত্র বিক্ষোভ সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ একটি ফেসবুক পোস্টে আনসারের প্রাক্তন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হককে সচিবালয়ে আটকে রাখার জন্য দায়ী করেন। এমনকি আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের দাবি পূরণ হওয়ার পরেও হাসনাত সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ফেসবুকে লেখেন, “সবাই রাজুর কাছে আসুন। স্বৈরাচারী বাহিনী আনসার বাহিনীর মাধ্যমে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তাদের দাবি মানার পরও আমাদের সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, আগের দিনই অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে আনসার সদস্যরা তাঁদের বিক্ষোভ শেষ করে। সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দুই দিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
এ দিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আন্দোলনকারী আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। এবং সরকারের সব পর্যায়ে ক্লিন অভিযান পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।