খবর অনলাইন: এক সপ্তাহের মধ্যে বার বার তিন বার। সাধারণ মানুষের ভিড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাল জঙ্গিরা। প্রথমে ইস্তানবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, তার পরে ঢাকার নামী রেস্তোরাঁয় এবং শেষে বাগদাদের বাজারে।
রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই ঈদের ভরা-বাজারে ট্রাকবোমা বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হল বাগদাদ। প্রাণ হারালেন অন্তত ১৩১ জন, জখম ১৫০। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন শিশু।
শনিবারের শেষ রাত, ভোরের আলো ফুটি ফুটি। জোর কদমে রমজানের বাজার চলছে শিয়া অধ্যুষিত কারাদা অঞ্চলের একটি ব্যস্ত বাজারে। হঠাৎ রেফ্রিজারেটর বোঝাই একটি ট্রাকে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। নিমেষের মধ্যে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বাজার করতে আসা মানুষগুলির দেহ। বিস্ফোরণের পরেই একটি ওয়েবসাইটে হামলার দায় স্বীকার জোরে আইএস। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দর আল-আবাদি রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ক্রুদ্ধ জনতা। পরে আবাদি তিন দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালনের নির্দেশ দেন। কারাদার বিস্ফোরণের মতো এত বড়ো নৃশংস হামলা ২০০৭-এর পর ইরাকে আর হয়নি।
তার আগে মাঝরাতে বাগদাদ শহরের উত্তরাংশে শিয়া অধ্যুষিত আর একটি এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ জন মারা যান।
ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে আইএসদের কার্যত মেরে তাড়িয়েছে ইরাকি সেনারা। এক দিকে ইরাকি সেনার অভিযান, অন্য দিকে, আকাশ পথে সিরিয়ার হামলা — এই দুই অভিযানে ইরাককে আইএস-এর দখল থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। গত সপ্তাহেই আইএস-এর শক্ত ঘাঁটি ফালুজা দখল করে নেয় ইরাকি সেনারা। তার পরই প্রতিশোধের হুমকি আসতে থাকে। একের পর এক ঘাঁটি হারিয়ে প্রায় কোণঠাসা আইএস নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে কারাদায় ব্যস্ত বাজারে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটাল।
ছবি: সৌজন্যে বিবিসি
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।