বাংলাদেশ
সুপারব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশের ওয়ালটন
বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ল্যাপটপ, মোবাইল, ইলেক্ট্রনিক্স-এর খুচরো যন্ত্রাংশ রফতানি করছে ওয়ালটন। সেই তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারতও রয়েছে।

ঋদি হক: ঢাকা
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটেছে বাংলাদেশের। কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ইতিহাসে সকল ক্ষেত্রে এতটা সাফল্য স্পর্শ করার বিষয়ে বিশদে জানা নেই। ২০৩০ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি ব্র্যান্ডের একটি হবে ওয়ালটন (Walton Group)। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
এই প্রতিষ্ঠানের সূচনা ১৯৭৭ সাল, টাঙ্গাইলের অধিবাসী এস এম নজরুল ইসলামের হাত ধরে। স্বল্পমূল্যে দেশে তৈরি পণ্য সাধারণের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান এবং দেশের আমদানি-নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার ভাবনা থেকেই গাজীপুরে কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নজরুল ইসলাম। এখানে ইলেক্ট্রনিক্স-এর নানা পণ্য উৎপাদন করে ‘আমাদের পণ্য’ স্লোগান দিয়ে বাজারজাত করা শুরু হয়। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ল্যাপটপ, মোবাইল, ইলেক্ট্রনিক্স-এর খুচরো যন্ত্রাংশ রফতানি করছে ওয়ালটন। সেই তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারতও রয়েছে। বর্তমানে ওয়ালটনের কর্মীসংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। ওয়ালটন সূত্রের খবর, তাদের উৎপাদিত পণ্যের তালিকায় রয়েছে, কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইল, মোবাইল ফোন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি।
ওয়ালটন গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য ওয়ালটন নামে বাজারজাত করা হয়। ওয়ালটন মোটর্স, ওয়ালটন (মোবাইল) ও ওয়ালটন ইলেক্ট্রনিক্স হচ্ছে এই গ্রুপের অধীনস্থ তিনটি শাখা। ওয়ালটন ইলেক্ট্রনিক পণ্য, যানবাহন ও টেলিযোগাযোগের পণ্যগুলো উৎপাদন করে থাকে। বাংলাদেশের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং অর্থনীতিতে এর শক্তিশালী প্রভাবের পাশাপাশি সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি ওয়ালটন। রেফ্রিজেরেটর উৎপাদনের সব চেয়ে বড়ো প্রতিষ্ঠান, বাজারে যার সর্বোচ্চ বাজার শেয়ার রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ভাবে কর্মের স্বীকৃতিও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। একের পর এক সাফল্যের পালক যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটনের মুকুটে। মিলছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু স্বীকৃতি। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ পালকটি হল সুপারব্র্যান্ডের স্বীকৃতি। লন্ডনভিত্তিক বহুজাতিক সংস্থা সুপারব্র্যান্ডস (Superbrands) ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ওয়ালটনকে ‘সুপারব্র্যান্ড’ সম্মাননায় ভূষিত করেছে।
এক জমকালো ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ১৯ নভেম্বর এ বারের সুপারব্র্যান্ডগুলোর নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে আগামী দুই বছরের জন্য সুপারব্র্যান্ডের বিশেষ প্রকাশনাও উন্মোচন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বের সর্বত্র ব্র্যান্ডের বিচারক সংস্থা। ১৯৯৪ সাল থেকে সংস্থাটি বিশ্বের ৯০টি দেশে ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ করছে। সুপারব্র্যান্ডস দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর জন্য সর্ববৃহৎ সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সুপারব্র্যান্ডস প্রকাশনায় প্রতিটি ব্র্যান্ডের সুপারব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনের গল্প প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন স্বতন্ত্র ব্যাকগ্রাউন্ড এবং স্বেচ্ছাসেবী বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত বিচারকমণ্ডলীর গঠিত ‘ব্র্যান্ড কাউন্সিল’ বাংলাদেশের ২০২০-২০২১ সালের সুপারব্র্যান্ডগুলো নির্বাচিত করেন। এ বারের সুপারব্র্যান্ডের মর্যাদা পাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে নির্মাণ, ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ, জ্বালানি, ওষুধ কারখানা, বিমা, প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, যানবাহন নির্মাণ, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যম-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৪০টি কোম্পানি।
সুপারব্র্যান্ডসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের (Bangladesh Brand Forum) জেনারেল ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভ এডিটর সাজিদ মাহবুব ওয়ালটনের জন্য ট্রফি ও সনদ তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (Walton Hi-tech Industries Limited) ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদের হাতে।
এই উপলক্ষ্যে গোলাম মুর্শেদ বলেন, ওয়ালটন এখন সুপারব্র্যান্ড। এর আগে গত বছর ষষ্ঠ বারের মতো সর্বশ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ডের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ওয়ালটন। নিয়মিত মিলছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য পুরস্কার, সম্মাননা ও স্বীকৃতি। দেশের অগুণতি ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীর আস্থা, ভালোবাসা ও সমর্থনের ফলে ওয়ালটনের এই অর্জন। সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে ছুটে চলেছে ওয়ালটন।
বাংলাদেশ
Covid Vaccination Programme: বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৩৩০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি
এই ঋণ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে টিকা কেনা ও সরবরাহ করা।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: করোনা টিকাকরণ (Covid vaccination) কার্যক্রম জোরকদমে চলছে। দেশের কমপক্ষে ৩১ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় টিকা কিনতে বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হল বাংলাদেশ।
কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা হিসেবে ৫০ কোটি ডলার দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাঙ্কের পক্ষে বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন চুক্তিতে সই করেন। সোমবার ইআরডি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল ১০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি। এশীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (Asian Infrastructure Investment Bank, AIIB) কাছ থেকেও ১০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়া গিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় টিকা কেনার জন্য চলমান প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাঙ্ক। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে টিকা কেনা ও সরবরাহ করা। এ ছাড়া কোভ্যাক্স থেকে অগ্রিম টিকা কেনার মাধ্যমে দেশের মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশকে টিকা দেওয়া, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ভ্যাকসিন টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানো এবং টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণে কোল্ড চেন সিস্টেম অক্ষুণ্ণ রাখার মাধ্যমে টিকার গুণগত মান নিশ্চিত করা।
বিশ্বব্যাঙ্কের এই অতিরিক্ত অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (International Development Agency, IDA) তহবিলের রেগুলার টার্ম প্রযোজ্য হবে। ঋণটি ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ড-সহ ৩০ বছরের পরিশোধযোগ্য এবং সুদের হার হবে ১.২৫ শতাংশ, সার্ভিস চার্জ হবে ০.৭৫ শতাংশ। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর কমিটমেন্ট চার্জ হবে ০.৫০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Bangladesh Lockdown: বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন, রাস্তায় চলাচলে লাগবে ‘মুভমেন্ট পাস’
বাংলাদেশ
Bangladesh Lockdown: বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন, রাস্তায় চলাচলে লাগবে ‘মুভমেন্ট পাস’
এ সময় শুধু রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

ঋদি হক: ঢাকা
মঙ্গলবার বাংলাদেশে (Bangladesh) করোনা (coronavirus) ছড়ানোর ৪০১তম দিনে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ হল – মারা গেলেন ৮৭ জন। এই দিনেই কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করল মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। পয়লা বৈশাখ জাঁকজমকের সঙ্গে পালনের পরিবর্তে বাঙালি আবদ্ধ হবে ঘরের চার দেওয়ালে। পয়লা বৈশাখ, বসন্ত আর নবান্ন হারিয়ে গেছে করোনাভাইরাসের ছোবলে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এ বার বুধবার ১৪ এপ্রিল থেকে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহণ এবং মানুষের চলাচল বন্ধ রেখে আট দিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সময় শুধু রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। মালিকপক্ষ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশে করোনার লাগামহীন আক্রমণ চলছে। এর আগে করোনা রুখতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু তা সফল হয়নি। তখন থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বারবার বলে আসছিলেন, করোনার ভাইরাস মানবদেহে ১৪ দিন পর্যন্ত লুকিয়ে থেকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। করোনার লাগাম টানতে কমপক্ষে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন প্রয়োজন।
লকডাউনে কড়াকড়ি
লকডাউনে বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উড়ান। করোনা সংক্রমণ রুখতে ৩ এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের বাকি সকল দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি আর্জেন্তিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও উরুগুয়ের সঙ্গেও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার ঘোষিত ১৪ থেকে ২১ এপ্রিলের কঠোর লকডাউনে বিধি-নিষেধ মানাতে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার এক ভিডিও বার্তায় এই নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান তিনি। এরই মধ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যেখানে রয়েছে ১৩টি নির্দেশনা। এ বার লকডাউন কার্যকর করতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার প্রস্ততি নিয়েছে সরকার। যে কোনো মূল্যে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চায় হাসিনা সরকার। এ বারের লকডাউনে সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রয়োজন হবে মুভমেন্ট পাস।
‘মুভমেন্ট পাস’
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের তরফে এই সংক্রান্ত একটি অ্যাপের উদ্বোধন করার কথা পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের। লকডাউন চলাকালে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হয়ে কোথাও যেতে হলে লাগবে ‘মুভমেন্ট পাস’।
যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে অ্যাপে আবেদনের পর মিলবে ‘মুভমেন্ট পাস’। মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা, চাকরি, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহণ ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি/খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মরদেহ সৎকার, ব্যবসা ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে এ পাস। যাদের বাইরে চলাফেরা প্রয়োজন কিন্তু কোনো ক্যাটাগরিতেই পড়েন না তাদের ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিতে পাস দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিক ভাবে বুধবার থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের কারণে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। দূরপাল্লার পরিবহণ বন্ধ থাকার ফলে বিকল্প উপায়ে ছুটে চলেছেন ঘরমুখো মানুষ। এ কারণে ফেরিঘাটে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।
তারাবিহ ও ওয়াক্তের নামাজে ২০ জনের বেশি নয়
তারাবিহ ও ওয়াক্তের নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেম-সহ ২০ জনের বেশি মুসল্লি যোগ দিতে পারবেন না। ১৪ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ে চার দফা নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রক।
জুমার নামাজে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যোগ দিতে হবে। মসজিদগুলোয় পবিত্র রমজানে তিলাওয়াত ও জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনারও অনুরোধ রয়েছে নির্দেশনায়।
আরও পড়ুন: Ekushe Boimela: পাঠক-প্রকাশকের অতৃপ্তির মধ্যেই নিভৃতে শেষ হল অমর একুশে বইমেলা
বাংলাদেশ
Ekushe Boimela: পাঠক-প্রকাশকের অতৃপ্তির মধ্যেই নিভৃতে শেষ হল অমর একুশে বইমেলা
সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অমর একুশে বইমেলা প্রতি দিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঋদি হক: ঢাকা
নির্ধারিত দিনের দু’ দিন আগেই সোমবার শেষ হয়ে গেল অমর একুশে বইমেলা। অনেকটাই নিভৃতে, পাঠক-লেখকের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে।
এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই বলা যাবে না। প্রাণের বইমেলা বাঙালির শাশ্বত আবাহনের একটি। রক্ত দিয়ে কেনা ভাষার প্রতি অবনত শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হওয়া বইমেলা অহংকারের। দুনিয়ার একটা বিশাল পাঠক এর ভক্ত। প্রতিবেশী দেশের মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতি গর্বিত করে বাংলা ভাষা তথা বাঙালির রক্তের ঋণকে।
এরই ধারাবহিকতায় দীর্ঘ পথ হেঁটেছে বাঙলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা। তৈরি করেছে পাঠক-প্রকাশকদের সেতুবন্ধন। সারাটি বছর বাংলার অগুনতি মানুষ প্রাণের মেলার অপেক্ষায় থাকেন। যেমনটি পয়লা বৈশাখ আর বসন্ত-নবান্ন উৎসবে খুঁজে পায় মানুষ। এটাই বাঙালির আত্মার খোরাক।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মেলা থাকবে জাঁকজমকপূর্ণ। বিকেল গড়িয়ে আড্ডা চলবে রাত ন’টা অবদি। তথ্যকেন্দ্রের মাইকে ভেসে আসবে নতুন বইয়ের ঘোষণা। ভক্তদের স্বনামধন্য লেখকরা অটোগ্রাফ দিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন। অনেক পুরাতন বন্ধুর দেখা মিলবে বইমেলায়। স্টল থেকে স্টলে থাকবে বইপাগল বাঙালির ব্যস্ত অনাগোনা। কিন্তু না, সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে করোনা।
ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে, ভাষা-মাস ফ্রেব্রুয়ারির পরিবর্তে মেলা শুরু হয় ১৮ মার্চ থেকে। ৩১ মার্চের আগে পর্যন্ত প্রতি দিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলত। শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে মেলার পর্দা উঠত বেলা ১১টায়। এর পর ৪ এপ্রিল ফের পরিবর্তন করা হয় বইমেলার সময়সূচি। সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অমর একুশে বইমেলা প্রতি দিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত দিনের দু’ দিন আগেই শেষ হয়ে গেল বইমেলা।
এ বারের বইমেলায় বাংলাদেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা-সহ ৪৪৩টি প্রকাশনা সংস্থা বিনিয়োগ করে ৯০ কোটি টাকা। বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৯২৮ টাকার বই। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণে অন্তত ১০ কোটি বরাদ্দের দাবি করেছেন প্রকাশকরা।
-
ধর্মকর্ম2 days ago
অন্নপূর্ণাপুজো: উত্তর কলকাতার পালবাড়ি ও বালিগঞ্জের ঘোষবাড়িতে চলছে জোর প্রস্তুতি
-
ভিডিও2 days ago
Bengal Polls 2021: বিধাননগরে মুখোমুখি টক্কর সুজিত বসু-সব্যসাচী দত্তর, ময়দানে জোট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
ক্রিকেট20 hours ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান