নাগপুর: তীরে এসে তরী ডোবা কাকে বলে বাংলা দলকে দেখলেই বোঝা যাবে। ৭০ রানের আগেই মুম্বইয়ের পাঁচ উইকেট ফেলে দিয়েও শেষরক্ষা হল না মনোজ-সুদীপ-দিন্দাদের। ষষ্ঠ উইকেটের দুর্ধর্ষ একটা পার্টনারশিপ বাংলার জয়ের স্বপ্নে জল ঢেলে দিল। প্রথম ইনিংসের লিডের সুবাদে মুম্বই এই ম্যাচ থেকে ড্যাং ড্যাং করে তিন পয়েন্ট নিয়ে চলে গেল। আর ম্যাচের চার দিনের মধ্যে তিনটে দিনই আধিপত্য দেখানো বাংলার জুটল সাকুল্যে একটি পয়েন্ট।
আগের দিনের স্কোর থেকে চার রান যোগ করেই চতুর্থ দিন অলআউট হয় বাংলা। ৩০৮ রান টার্গেট তাড়া করার চ্যালেঞ্জ যায় মুম্বইয়ের ব্যাটিং অর্ডারের কাছে। মুম্বইকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন অশোক দিন্দা। পরপর তুললেন মুম্বইয়ের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে। দিন্দার হাত থেকে তখন বল নয় যেন আগুন ঠিকরে বেরোচ্ছে। ২২ রানে তিন উইকেট, ৫৫ রানে চার, ৬৭ রানে পাঁচ। বঙ্গ বোলিং-এর সামনে তখন রীতিমতো কাঁপছে বিপক্ষ শিবির। রঞ্জির ‘অস্ট্রেলিয়া’ মুম্বইকে তখন হারিয়ে দেওয়া আর স্বপ্ন নয় ঘোর বাস্তব মনে হচ্ছে। এই স্বপ্নে জল ঢেলে দেওয়ার জন্য মঞ্চে উপস্থিত হলেন সুভম রাজানে আর অভিষেক নায়ার। ক্রমশ ম্যাচ থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করল বাংলা। দুজনের মধ্যে তৈরি হওয়া ১১১ রানে জুটিটা যখন ভাঙল, ততক্ষণে বাংলার জয়ের স্বল্প আশাটুকুও নাগ নদীতে ডুব দিয়েছে।
এই মুহূর্তে ১৭ পয়েন্ট পেয়ে রঞ্জি পয়েন্ট টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে রইল বাংলা। পরের ম্যাচগুলি জিততে না পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আশা ক্রমশ ক্ষীণ হবে মনোজব্রিগেডের।