খবর অনলাইন : উপকরণ প্লাস্টিকের ব্যবহৃত বোতল, মশারির জাল, বাঁশ, কঞ্চি আর দড়ি। এ সব দিয়ে নৌকা বানিয়ে ভেসে পড়া। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। প্রথম বার মায়াপুর থেকে কলকাতা সফল জলযাত্রার পরে এ বার দৈর্ঘ্য আরেকটু বাড়িয়ে করা হল দিঘা থেকে কলকাতা। প্রথম বারে ছিল নদীবক্ষে নৌচালনা। এ বার প্রথমে সমুদ্রে ভেসে পড়ে নদীর চৌকাঠ পেরোনো। যাত্রা শুরু হয়েছিল ৯ মার্চ, দিঘা থেকে। তার পর শঙ্করপুর, মন্দারমণি, জুনপুট, রসুলপুর, হিজলি, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, কুকড়াহাটি, গাদিয়াড়া, রায়পুর, বিড়লাপুর ছুঁয়ে, কখনও হলদি, কখনও বা রূপনারায়ণ এবং শেষ পর্যন্ত গঙ্গা দিয়ে নৌকা বেয়ে কলকাতায় এল ১৬ মার্চ। এই নৌ অভিযানের উদ্যোক্তা জগাছা ইউথ স্ট্রেংথ।
সংস্থার তরফে জানানো হয়, প্রথম বার ২০১৫-এর অভিযানে নৌকাটি ছিল ছোট এবং কম ওজন বইতে পারে। এ বার লক্ষ্য ছিল, নৌকাটি বড় করা এবং যাতে বেশি ওজন বইতে পারে সে দিকে লক্ষ রাখা। এ বছর নৌকাটি তৈরি করতে ঠান্ডা পানীয়ের ৩৯৯৮টা খালি বোতল ব্যবহার করা হয়েছে। বোতলগুলি সংগ্রহ করা হয় ইকো পার্ক থেকে। কিছু বোতল কেনাও হয়েছে। নৌকাটি তৈরি করা হয় হাওড়ার বাগনানে। প্রস্তুত করেছেন সাঁতরাগাছির পুষ্পেন্দু সামন্ত। তাঁর কথায়, “বরাবরই ইচ্ছা নিজেকে একটু অন্য ভাবে পরিচিত করাব। তাই এই অভিনব পন্থা। ব্যবহার করা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে নৌকা বানানোর পরিকল্পনা এর আগে কেউ করেনি। এই নৌকা ৮ জন আরোহীকে নিয়ে ভেসে এসেছে। ১৬ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারে।”
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নদীপথে এই নৌকা কেমন কার্যকর তার পরীক্ষা আগেই হয়ে গিয়েছে। এ বার ভাবা হল সমুদ্রপথটাও পরীক্ষা করে দেখা দরকার। তাই এ বার দিঘা থেকে অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন এই অভিযান সফল করতে নানা ভাবে সাহায্য করেছেন।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।