বিটকয়েন মাইনিং পরিবেশের জন্য বড়োসড়ো বিপদের কারণ, বলছে গবেষণা

0

জানেন কি, বিটকয়েনের দাম যত বাড়বে, ততই বাড়বে বৈদ্যুতিন বর্জ্যের পরিমাণ। বাড়বে পরিবেশের সংকট!

বিটকয়েন মাইনিং যথেষ্ট পরিমাণে ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি করে। যা ‘পরিবেশের জন্য ক্রমবর্ধমান সংকট’ ডেকে আনছে। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা।

অ্যালেক্স ডি ভ্রিস উল্লেখ করেছে, এটা আইফোনের মতো অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সঙ্গে তুলনায় আসে না। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “মে থেকে ১২ মাসের মধ্যে ৩০,৭০০ টন বিটকয়েন মাইনিংয়ে উৎপাদিত বৈদ্যুতিন বর্জ্যের পরিমাণ নেদারল্যান্ডের মতো একটি দেশের ছোটো আইটি এবং টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতির উৎপাদিত বর্জ্যের সঙ্গে তুলনীয়”।

বিটকয়েনে বিনিয়োগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মাইনিং বাড়ছে সমানে পাল্লা দিয়ে। শুক্রবার বিটকয়েনের এক ইউনিটের মূল্য ছিল ৪৭,০০০ ডলারেরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছরেই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে বিটকয়েন। সব মিলিয়ে মাইনিং কম্পিউটারের প্রসেসিং পাওয়ার শীঘ্রই অচল হয়ে যাবে।

ব্যাপারটা আসলে এ রকম- বিটকয়েনের দাম যত বাড়বে, ততই বাড়বে বৈদ্যুতিন বর্জ্যের পরিমাণ। সায়েন্টিফিক জার্নাল এলসেভিয়ার প্রকাশিত গবেষণাই এ কথা তুলে ধরা হয়েছে।

ডাচ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে অর্থনীতিবিদ হিসাবে কাজ করেন অ্যালেক্স ডি ভ্রিস। অন্য দিকে, রিপোর্টের সহ-লেখক ক্রিশ্চিয়ান স্টল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে কর্মরত।

বিটকয়েন মাইনিং করতে হয় কম্পিউটেশন মারফত। এই পদ্ধতিতে যথেষ্ট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় বলে আগেই জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সমীক্ষা। কয়েক মাস আগে তেমনই একটি সমীক্ষা বলেছিল, বিটকয়েন মাইনিং করতে গোটা পৃথিবীর বিদ্যুৎ সরবরাহের ১ শতাংশ খরচ হয়ে যায়। যে কারণে বিটকয়েন মাইনিংয়ের ক্ষেত্রে অচিরাচরিত শক্তি, পুনর্বীকরণ শক্তি ছাড়াও ফসিল ফুয়েলও ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন:

এই তো সুযোগ! চলতি বছরের মধ্যে এক লক্ষ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে বিটকয়েন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

সরকারি ই-কারেন্সি আর ক্রিপ্টোকারেন্সির তফাত অনেক, জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

আপনি কি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী? জানুন কী ভাবে কিনবেন

কেনা যাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি, আরবিআইয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সুপ্রিম কোর্টের

বিজ্ঞাপন