শিল্প-বাণিজ্য
বাজেট ২০২১: ফুড ডেলিভারিতে জিএসটি কমানোর দাবি
জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি।

খবর অনলাইন ডেস্ক: খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) হ্রাসের দাবি তুলল রেস্তোঁরা ও ফুড ডেলিভারি (food delivery) সংস্থাগুলি। বর্তমানে এই করের হার ১৮ শতাংশ। তারা দাবি করেছে, এখন ৩০০ কোটি টাকার জোগান দিতে সেই করের হার পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, বাড়িতে অথবা নিজের অফিসে খাবার আনাতে গ্রাহকদের বাড়তি ১৩ শতাংশ দাম দিতে হয়। অথচ, যাঁরা রেস্তোঁরায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই করের হার পাঁচ শতাংশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে ফুজা ফুড-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভারতে অনলাইনে খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রটি এখন লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে এই বাজারের মূল্য প্রায় ২৯৪ কোটি টাকা। সিএজিআর-এ বৃদ্ধি ঘটছে ২২ শতাংশ। তবে জিএসটি-র কারণে উদ্ভূত করের জটিলতা এই বৃদ্ধিতে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে”।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে ফুড ডেলিভারির উপর ১৮ শতাংশ হারে উচ্চ জিএসটি এবং রেস্তোঁরার ক্ষেত্রে এ ধরনের জিএসটি বৃদ্ধির ফলে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। জিএসটি হ্রাস করলে খাবার আরও সাশ্রয়ী হবে। উলটো দিকে বাড়বে কর্মসংস্থান। ফলে ফুড ডেলিভারি ক্ষেত্রটিকে বহরে বাড়ানোর জন্য তাঁরা সরকারের কাছ থেকে সদর্থক উদ্যোগের প্রত্যাশা করছেন।
অন্যদিকে, রেস্তোরাঁগুলির দাবি করেছে, লকডাউনের পর পুনরায় ব্যবসা চালু হওয়ার পরেও সব কিছু এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফলে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির সঙ্গে তাদের কমিশন নিয়েও সমস্যা রয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া এবং আগের মতো গ্রাহক না থাকাও সমস্যার অন্যতম কারণ।
কবে বাজেট?
আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে করোনা মহামারির জেরে এ বারের বাজেট অধিবেশনে বদল হচ্ছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যগত প্রথায়।
আরও পড়তে পারেন: ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু সংসদের প্রথম ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন
শিল্প-বাণিজ্য
‘সরকারের ব্যবসা করার দরকার নেই’, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণে জোর সওয়াল নরেন্দ্র মোদীর
চারটি ক্ষেত্র বাদ দিয়ে সমস্ত পিএসইউ-র বেসরকারিকরণে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। কী কারণে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

খবর অনলাইন ডেস্ক: “সরকারের ব্যবসা করার মতো কোনো ব্যবসা থাকার দরকার নেই”, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের পক্ষে জোর সওয়াল করে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের “ব্যবসা নিয়ে সরকারের কোনো ব্যবসা থাকার দরকার নেই” এবং তাঁর ন্যূনতম সরকার চারটি কৌশলগত ক্ষেত্রকে বাদ দিয়ে সমস্ত পিএসইউ-র বেসরকারিকরণে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, “উদ্যোগ ও ব্যবসাকে সমর্থন করা সরকারের কর্তব্য। তবে সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া এবং উদ্যোগ চালানো উচিত নয়”।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কেন্দ্রের নীতি হল সরকারি ক্ষেত্রের উদ্যোগকে আর্থিক ভাবে উন্নীত করা বা আধুনিকীকরণ করা। তাই বলে এই উদ্দেশ্য নিয়ে যে সরকারকে ব্যবসা নিয়ে কোনো ব্যবসা করতে হবে, তেমন কোনো কথা নেই”।
বিনিয়োগ ও জনসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের (ডিআইপিএএম) বেসরকারিকরণ বিষয়ক ওয়েবিনারে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতকে উচ্চ অর্থনীতির পথে নিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট রোডম্যাপ রয়েছে বাজেটে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, রুগ্ণপ্রায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি অর্থনীতির উপর অহেতুক চাপ বাড়ায়। তাদের সহযোগিতা করতে গিয়ে সরকারি অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। লোকসানে চলা সংস্থাগুলিকে চালাতে গিয়ে করদাতাদের টাকাও ব্যয় করতে হয়।
আরও পড়তে পারেন: সরকারি কাজে বেসরকারি ব্যাঙ্কের অংশগ্রহণ নিয়ে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
শিল্প-বাণিজ্য
সরকারি কাজে বেসরকারি ব্যাঙ্কের অংশগ্রহণ নিয়ে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
এ বার সরকারি কাজ পাবে বেসরকারি ব্যাঙ্ক, ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের।

নয়াদিল্লি: সরকারি কাজে বেসরকারি ব্যাঙ্কের অংশগ্রহণ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেন, এ বার থেকে সরকারি কাজ পাবে বেসরকারি ব্যাঙ্ক।
কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
এ দিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, “সরকারি কাজে বেসরকারি ব্যাঙ্কের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন সমস্ত ব্যাঙ্কই অংশ নিতে পারবে। ভারতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিও সমান ভাবে অংশ নিতে পারবে। এর আরও একটি লক্ষ্য- সরকারের সামাজিক খাতের উদ্যোগকে আরও বাড়িয়ে তোলা এবং গ্রাহকদের সুবিধা বাড়ানো”।
চাঙ্গা শেয়ার বাজার
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই শেয়ার বাজারে বড়োসড়ো পরিবর্তন দেখা দেয়। বিএসই সেনসেক্স বেড়ে যায় ১,০০০ পয়েন্ট। অন্যদিকে নিফটি-ফিফটি থিতু হয় ১৫,০০০ পয়েন্টে। ব্যাঙ্ক নিফটি ১,৩৩৫ পয়েন্টের লম্বা লাফ দিয়ে বন্ধ হয় ৩৬,৪৫২.৩০ পয়েন্টে!
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই এখন সরকারি সংস্থায় বেসসরকারি ব্যাঙ্কের অংশ নিতে আর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে পৃথক ভাবে অনুমোদনের বাধা রইল না। সরকার নিজের এই সিদ্ধান্ত আরবিআইয়ের কাছেও জানিয়েছে। সব মিলিয়ে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির উপর ভর করে আশায় বুক বেঁধেছে শেয়ার বাজারও।
কী সুবিধা হবে?
এ বার থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আর্থিক লেনদেন বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে করা যাবে। যেমন ট্যাক্স এবং অন্যান্য রাজস্ব জমা, পেনশন এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের লেনদেনও বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে করা যাবে।
আরও পড়তে পারেন: বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ২ দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট
শিল্প-বাণিজ্য
পেট্রোল ও ডিজেলের দামে কী ভাবে পড়বে লাগাম, সরকারকে বিশেষ পরামর্শ আরবিআই গভর্নরের
পেট্রোল ও ডিজেলের উপর অপ্রত্যক্ষ কর কমিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিলেন আরবিআইয়ের গভর্নর শাক্তিকান্ত দাস।

খবর অনলাইন ডেস্ক: দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আকাশ ছোঁয়া। নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের।
যা নিয়ে ক্রমাগত সরকারকে নিশানা করছে বিরোধীরা। এ সবের মাঝেই তেলের দাম কমানো নিয়ে সরকারকে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) গভর্নর।
বিরোধীরা প্রতিনিয়ত সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পেট্রোল ও ডিজেলের দাম হ্রাস করা উচিত। যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পান। সাম্প্রতিক সময়ে এই সর্বকালীন দর নিয়ে কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কিন্তু দাম কমার লক্ষণ যেমন নেই, তেমনই প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে জ্বালানির দাম।
কী বললেন আরবিআই গভর্নর
এমন পরিস্থিতিতে আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন, পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর অপ্রত্যক্ষ ট্যাক্স হ্রাস করা উচিত। এটা করতে পারলেই দাম কমে যেতে পারে। সম্প্রতি আরবিআইয়ের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির একটি বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। আরবিআইয়ের গভর্নর বলেন, করগুলি ধীরে ধীরে হ্রাস করা দরকার, যাতে দামের চাপ সরিয়ে ফেলা যায়।
কী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বলেছিলেন, পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম হ্রাস করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত এক সঙ্গে কাজ করা। এ ভাবেই সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া যেতে পারে।
আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে খুচরো বাজারেও দাম বেড়েছে। করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় সরবরাহও কমানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “তেল সরবরাহকারী দেশগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সরবরাহের পরিমাণ আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এশিয়ার সমস্ত দেশ একই সঙ্গে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, কিছু একটা ফারাক আসতে চলেছে”।
শুল্ক কমিয়েছে ৪ রাজ্য
সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে শুল্কের পরিমাণ হ্রাস করেছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ চারটি রাজ্য। তবে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত বিষয়টিকে ‘ধর্ম সংকট’ হিসেবে আখ্যা দিলেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে থাকে বিপণনকারী সংস্থাগুলি। আমদানি করা অপরিশোধিত তেল, তার পরিশোধন, পরিবহণ খরচ, ডিলারদের কমিশন এবং তারই সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক শুল্ক যুক্ত হয়ে নির্ধারিত হয় খোলা বাজারের প্রতি লিটার পেট্রোল, ডিজেলের দর।
আরও পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যে পেট্রোল, ডিজেলের দামে ছাড়! জানুন কোথায় কমল কত
-
প্রযুক্তি5 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
বিনোদন2 days ago
পর্ন ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ থেকে আয় কোটি টাকা, অ্যাপের মাধ্যমে চিত্রনাট্য-সহ পরিবেশিত হচ্ছে অশ্লীলতা
-
রাজ্য2 days ago
দেড় ঘণ্টা পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়লেন সিবিআই আধিকারিকরা