শিল্প-বাণিজ্য
প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল ইপিএফও
আশঙ্কা করা হয়েছিল, ইপিএফে সুদের হার কমানো হতে পারে। তবে আপাতত সেই আশঙ্কা কাটল!


খবর অনলাইন ডেস্ক: দেশের ৬ কোটি মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার একটি বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সুদের হার আগের বারের থেকে হ্রাস পাবে না কি বাড়বে, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল এ দিন।
এ দিন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) ঘোষণা করে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের মতোই এ বারেও ৮.৫ শতাংশ হারে ইপিএফও সদস্যরা তহবিলের উপর সুদ পাবেন।
এ দিন ইপিএফও-র ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠক বসে শ্রীনগরে। সেখানেই ২০২০-২১ অর্থরর্ষের সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনেকই আশঙ্কা করেছিলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি মন্দার শিকার হয়। যার জেরে ইপিএফে সুদের হার কমানো হতে পারে। তবে আপাতত সেই আশঙ্কা কাটল!
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার আগে অবশ্য এই হার আরও বেশ কিছুটা উপরেই ছিল। ২০১৬-১৭ সালেও ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। তার আগে ২০১৫-১৬ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। তারও আগে ২০১৩-১৪ সালে এবং ২০১৪-১৫ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ।
স্বাভাবিক ভাবেই ২০১৬-১৭ সাল থেকে ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছে ইপিএফে সুদের হার। শেষবার .১ শতাংশ বাড়ানো হলেও পুরনো জায়গায় ফেরেনি সুদের হার। একই সঙ্গে ২০২০ অর্থবর্ষে ফের একবার সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়তে পারেন: বৃহস্পতিবার প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ঘোষণা করতে পারে ইপিএফও
গাড়ি ও বাইক
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?
বুকিং পুনরায় শুরু করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দ্রুতগতিতে স্টক নি:শেষিত হয়ে যায়।


খবর অনলাইন ডেস্ক: বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বাজাজ অটোর (Bajaj Auto) চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের (Chetak electric scooter)। সংস্থা জানিয়েছে, বুকিং পুনরায় শুরু করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দ্রুতগতিতে স্টক নি:শেষিত হয়ে যায়। ফলে বুকিং বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তবে আগ্রহী ক্রেতাদের উদ্দেশে জানানো হয়েছে, স্কুটারটির উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থা।
১৩ এপ্রিল সকাল ৯টার সময় অনলাইনে বুকিং শুরু হয় চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে, ওয়েবসাইটে এখনও ইলেকট্রিক স্কুটারের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গেলেও স্পষ্ট ভাবে দাবি করা হচ্ছে, আপাতত বুকিং বন্ধ রয়েছে।
ক্রেতাদের প্রশ্নের জবাবে বাজাজ অটো লিমিটেডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রাকেশ শর্মা জানিয়েছেন, আমরা জানি গ্রাহকরা শুরুতেই চেতক কিনতে চান। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁরা এই ইলেকট্রিক স্কুটারে চড়তে পারেন, সেই চেষ্টাই করছেন অনেকে। তবে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বুকিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সাপ্লাই চেনের সমস্যাগুলি খুব শীঘ্রই সমাধান করার, বুকিং পুনরায় খোলার পাশাপাশি পরবর্তী ত্রৈমাসিকের মধ্যে আরও বেশি শহরে চেতক সরবরাহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, “পুনে এবং বেঙ্গালুরুতে চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের জন্য বুকিং পুনরায় খোলার বিষয়ে দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৫ বছর পরে গত ২০২০ সালে নতুন রূপে চেতক বাজারে নিয়ে এসেছে বাজাজ। দু’টি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটার। আরবান মোডের দাম ১,২২,০০ (এক্স-শোরুম) এবং প্রিমিয়ামের জন্য লাগছে ১,২৬,০০০ (এক্স-শোরুম)।
আরও পড়তে পারেন: বাজারে এল বাজাজের ইলেকট্রিক স্কুটার ‘চেতক’
শিল্প-বাণিজ্য
পেট্রোল, ডিজেলের পর এ বার দাম বাড়ল রাসায়নিক সারের, ডিএপি-তে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি
ব্যয় বাড়ছে কৃষি কাজে, সংকটে কৃষকরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সুরাহা মিলবে কি?


খবর অনলাইন ডেস্ক: পেট্রোল, ডিজলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরে এখন রাসায়নিক সারের দামবৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা।
দেশের বৃহত্তম রাসায়নিক সার বিক্রেতা সংস্থা ইন্ডিয়ান ফার্মার্স ফার্টিলাইজার কো-অপারটিভ (IFFCO) ইউরিয়ার পরে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (DAP)-র ৫০ কেজির বস্তার দাম ১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৯০০ টাকা করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই সারের দামে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।
তবে ইফকো শুধু যে পটাশের দাম বাড়িয়েছে, তেমনটা নয়। এনপিকেএস (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার) সমৃদ্ধ সমস্ত রাসায়নিকের দাম-ও বাড়ানো হয়েছে।
ইফকো সূত্রে খবর, ডিএপি তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ফসফোরিক অ্যাসিড এবং রক ফসফেটের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই রাসায়নিক সারের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশে এই উপাদানের সরবরাহ যথেষ্ট কম। ফলে বাইরে থেকে এ ধরনের উপাদান আমদানি করতে হয়।
এর ফলস্বরূপ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাসায়নিকের দাম বাড়ার অর্থ কৃষিক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধি। যার ফলে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও একপ্রকার নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বৃদ্ধির মাধ্যমেই কৃষকদের সংকট থেকে সুরাহা দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড টিকাকরণ অভিযানে গতি আনতে সদর দফতরের একাংশ ছেড়ে দিচ্ছে Facebook
শিল্প-বাণিজ্য
পোস্ট অফিসের এই ৪টি সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ নিরাপদ, ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি রিটার্ন
এই সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করে আরও বেশি সুদ পেতে পারেন। এই সমস্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ।


খবর অনলাইন ডেস্ক: ফিক্সড ডিপোজিট (FD) এখন বিনিয়োগের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তবে আপনি যদি এফডি-র থেকেও বেশি রিটার্ন পেতে চান, তা হলে পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কিসান বিকাশ পত্র (KVP), ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট (NSC), টাইম ডিপোজিট স্কিম (POTD) এবং মান্থলি ইনকাম স্কিম (MIS)-এর মতো প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করে আরও বেশি সুদ পেতে পারেন। এই সমস্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ।
কিসান বিকাশ পত্র (KVP)
এই প্রকল্পে প্রায় ৬.৯ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। এখানে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। বিনিয়োগকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। নাবালকের নামে বিনিয়োগ করলে অভিভাবকের মাধ্যমে করতে হয়। একক ভাবে ছাড়াও যৌথ ভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। জমা হওয়া টাকার উপর আয়কর আইনের ৮০ সি ধারার কর ছাড় পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট (NSC)
পোস্ট অফিসে (Post Office) পাঁচ বছরের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে (National Savings Certificate) সুদের হার ৬.৮ শতাংশ। সুদ বার্ষিক ভিত্তিতে গণনা করা হয়, তবে সুদের পরিমাণ ম্যাচিউরিটির দেওয়া হয়। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। একজন নাবালকের নামে এনএসসি অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে এবং ৩ জন প্রাপ্তবয়স্কের নামে একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। আপনি আয়কর আইনের ধারা ৮০সি ধারায় ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন।
টাইম ডিপোজিট স্কিম (POTD)
এই প্রকল্পের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এককালীন টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এটা এক ধরনের এফডি। পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে এক থেকে পাঁচ বছর সময়সীমার জন্য ৫.৫ থেকে ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। এখানে বিনিয়োগের উপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে।
মান্থলি ইনকাম স্কিম (MIS)
এই প্রকল্পটি বিনিয়োগকারীদের প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ উপার্জনের সুযোগ দেয়। এই প্রকল্পে বার্ষিক সুদের হার ৬.৬ শতাংশ। যদি অ্যাকাউন্টটি একক হয় তবে আপনি পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন। যৌথ অ্যাকাউন্ট থাকলে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা জমা দেওয়া যায়। ম্যাচিউরিটির সময়কাল পাঁচ বছর। টাকা জমা করার পর প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ আপনার অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।
আরও পড়তে পারেন: পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয় প্রকল্পে ফেরত পান দ্বিগুণ
-
কলকাতা2 days ago
মাস্ক থাকলেও কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বরে শারীরিক দুরত্ব চুলোয়, গা ঘেষাঘেঁষি করে হল ভক্ত সমাগম
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?
-
ক্রিকেট2 days ago
দুর্নীতির অপরাধে ক্রিকেট থেকে ৮ বছরের জন্য বহিষ্কৃত জিম্বাবোয়ের কিংবদন্তি হিথ স্ট্রিক
-
মুর্শিদাবাদ2 days ago
Bengal Polls 2021: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রার্থীর, এ বার কি রাজনৈতিক দলগুলি সতর্ক হবে?