শিল্প-বাণিজ্য
সময়সীমা শেষ ৩১ মার্চ, নতুন নিয়ম জুড়ছে ১ এপ্রিল, টাকা-পয়সা সম্পর্কিত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি না জানলেই নয়
৩১ মার্চের আগে সেরে ফেলতে হবে এই ৯টি কাজ, নইলে বড়োসড়ো জরিমানা। অন্যদিকে ১ এপ্রিল থেকে আসছে আয়করে বড়োসড়ো বদল।


খবর অনলাইন ডেস্ক: ২০২০-২১ আর্থিক বছরের শেষ দিন, ৩১ মার্চের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে টাকাকড়ি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ন’টি কাজ। নইলে বড়োসড়ো জরিমানার মুখে পড়েত হতে পারে। অন্যদিকে ২০২১-২২ আর্থিক বছরের প্রথম দিন থেকেই আয়করে জুড়ছে একাধিক নতুন নিয়ম।
যে আর্থিক কাজগুলির সময়সীমা শেয ৩১ মার্চ
১. দ্বিগুণ কর এড়াতে ফাইলিং ডিক্লারেশন
কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ড (সিবিডিটি) করোনাভাইরাস মহামারিজনিত কারণে ভারতে আটকে থাকার পড়া বিদেশি নাগরিক এবং প্রবাসীদের এ ধরনের তথ্য দায়ের করতে বলেছে। যার সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৩১ মার্চ, ২০২১। নইলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অর্জিত আয়ের জন্য দ্বিগুণ করের মুখোমুখি হতে হবে।
২. আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্তি
আপনি যদি এখনও পর্যন্ত নিজের প্যান নম্বরের সঙ্গে আধার নম্বর সংযুক্ত না করে থাকেন, তা সেটা অবশ্যই করিয়ে নিতে হবে। এটা এখন বাধ্যতামূলক। আয়কর দাখিলের সময় প্যানের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক প্রয়োজন। এর আগে আধার-প্যান লিঙ্কের মেয়াদ ছিল ৩০ জুন, ২০২০। পরে তা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ, ২০২১ করা হয়। যাঁরা এই মেয়াদের মধ্যেও কাজটি করবেন না, তাঁদের প্যান কার্ড ১ এপ্রিল থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে।
৩. এলটিসি নগদ ভাউচার
এলটিসি ক্যাশ ভাউচার স্কিমের আওতায় কর ছাড়ের সুবিধা পেতে, জিএসটির পরিমাণ এবং বিক্রেতার জিএসটি নম্বর সম্বলিত সঠিক পদ্ধতিতে বিন্যস্ত বিলগুলি নিজের নিয়োগকর্তার কাছে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ, ২০২১। এই প্রকল্প অনুয়ায়ী, কোনও কর্মচারী ১২ শতাংশ বা তার বেশি জিএসটি-যুক্ত পণ্যের কেনাকাটা করলে, সে টাকাও ফেরত পাবেন।
৪. অগ্রিম ট্যাক্স ফাইল
আয়কর আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির করের পরিমাণ ১০ হাজার টাকার বেশি হলে তাঁকে চারটি কিস্তিতে অ্যাডভান্স ট্যাক্স দিতে হয়। কোনো আর্থিক বছরের ১৫ জুলাই, ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৫ ডিসেম্বর এবং ১৫ মার্চ অ্যাডভান্স ট্যাক্স দিতে হয়। যা সময় মতো না জমা করলে জরিমানা গুনতে হয়। অর্থাৎ, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেই চতুর্থ কিস্তির অ্যাডভান্স ট্যাক্স জমা করতে হবে।
৫. সংশোধিত রিটার্ন
সংশোধিত রিটার্ন তখনই কোনো কেউ ফাইল করেন, যখন মূল ট্যাক্স রিটার্নে কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে। এগুলির মধ্যে রয়েছে আয়কর ছাড়ের দাবি ভুলে যাওয়া, আয় বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের রিপোর্ট দাখিল না করা ইত্যাদির মতো ভুলগুলি। আপনি যদি নিজের আইটিআর ফাইল করে থাকেন, এবং সেখানে কোনো পরিবর্তন করতে চান তা হলে সংশোধিত রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন।
৬. ফাইলিং বিলেটেড
৩১ মার্চ ২০২০-২১ আর্থিক বছরের শেষ দিন। সুতরাং, এটি ১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য সংশোধিত বা দেরিতে আয়কর ফাইলের শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন (আইটিআর) জমা দেওয়ার মূল সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে একটি বিলেটেড রিটার্ন দাখিল করা যায়। তা না করা হলে করদাতাকে একটি জরিমানা দিতে হয়। ১০ হাজার টাকার জরিমানা দিয়ে ২০২১ সালের ৩১ মার্চের আগে বিলেটেড আইটিআর জমা দিতে হবে।
৭. বিরোধ সে বিশ্বাস
‘বিরোধ সে বিশ্বাস’ প্রকল্পের আওতায় ডিক্লেরেশন দায়েরের সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। প্রত্যক্ষ কর ‘বিরোধ সে বিশ্বাস’ আইন কার্যকর হয় ২০২০ সালের ১৭ মার্চ। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য মুলতুবি বিবাদগুলি সমাধান করা। সমস্ত আদালত মিলিয়ে ৯.৩২ লক্ষ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ কর সম্পর্কিত ৪.৮৩ লক্ষ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় করদাতাদের শুধুমাত্র বিতর্কিত করের পরিমাণ পরিশোধ করতে হবে। তাঁরা সুদ এবং জরিমানার উপর পুরো ছাড় পাবেন।
৮. বিশেষ উৎসব অগ্রিম প্রকল্প
বিশেষ উৎসব অগ্রিম প্রকল্পটি গ্রহণের শেষ তারিখ ৩১ মার্চ, ২০২১। এই প্রকল্পের অধীনে সরকারী কর্মচারীরা এই সময়ের মধ্যে ১০ হাজার টাকার সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম নিতে পারবেন। যে টাকা সর্বোচ্চ ১০টি কিস্তিতে ফেরত দেওয়া যাবে।
৯. পিএমএওয়াইয়ের আওতায় ঋণ
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (পিএমএওয়াই)-র আওতায় ভরতুকিযুক্ত ঋণ সুবিধা নেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ, ২০২১। এই প্রকল্পটি নিয়মিত শর্ত সাপেক্ষে, ৬-১৮ লক্ষ টাকার বার্ষিক আয়ের মানুষকে ঋণের উপর ভরতুকি দেওয়া হয়। গৃহঋণের সুদের হার কম থাকায় প্রকল্পটি ঋণগ্রহীতাদের মাসিক কিস্তির বোঝা আরও কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
১ এপ্রিল থেকে আয়করে জুড়ছে নতুন নিয়ম
১ এপ্রিল থেকে আয়করে জুড়ছে পাঁচটি নতুন নিয়ম। সম্প্রতি ২০২১-২২ আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ওই নতুন নিয়মগুলির ঘোষণা করেন। সেগুলি আগামী ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হওয়া কথা।
এই নতুন নিয়মের কয়েকটিতে ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীণ নাগরিকদের পেনশন থেকে আয় এবং একই ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানতের সুদ-সহ আইটিআর রিটার্ন দাখিলে ছাড় রয়েছে।
অন্যান্য পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে যাঁরা প্রস্তাবিত উচ্চতর টিডিএস (উৎস থেকে কর কেটে নেওয়া) দিচ্ছেন অথবা ইপিএফ অ্যাকাউন্টে বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার বেশি জমা রাখছেন অথচ আইটিআর দাখিল করছেন না, তাঁদের জন্য।
১. ইপিএফ-এর উপর ট্যাক্স
আয়কর বিভাগের জারি করা নতুন বিধি অনুসারে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে আপনি পিএফে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি জমা রাখলে যে সুদের পরিমাণ হবে তার উপর আপনাকে কর দিতে হবে। বেশি বেতনের কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এটা শুধুমাত্র ২ লক্ষ টাকা মাসিক বেতন পান, এমন কর্মচারীদের উপরেই প্রভাব ফেলতে পারে।
২. দ্বিগুণ হতে পারে টিডিএস
আইটিআর দাখিলে সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন রকমের প্রচার করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আয়কর আইনের সঙ্গে সংযোজিত ২০৬এবি ধারায় বলা হয়েছে, যাঁরা উচ্চ হারে টিডিএস দেন অথচ আইটিআর দাখিল করেন না, তাঁদের টিডিএসের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে।
৩. ৭৫ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য কর ছাড়
বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে ৭৫ বছরের বেশি বয়সিদের কর থেকে ছাড় দেওয়া হবে। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৭৫ বছরের বেশি বয়সিদের ট্যাক্স জমা দিতে হবে না। মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে পেনশন বা স্থায়ী আমানতের সুদের উপর নির্ভরশীল প্রবীণ নাগরিকদের এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
৪. পাওয়া যাবে প্রি-ফিল্ড আইটিআর ফর্ম
কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে সরকার কর রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তুলেছে। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে পৃথক করদাতাদের একটি প্রি-ফিল্ড আইটিআর ফর্ম সরবরাহ করা হবে। এতে আইটিআর ফাইল করা সহজ করবে।
৫. এলটিসি
লিভ ট্রাভেল কনসেশন (এলটিসি)-এর বিপরীতে নগদ ভাতায় কর ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিশেষ প্রকল্পটি ২০২০ সালে সরকার কোভিড-সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে যারা এলটিসি ট্যাক্স সুবিধা দাবি করতে পারেননি, তাঁদেরকে উৎসাহিত করার জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
শিল্প-বাণিজ্য
পেট্রোল, ডিজেলের পর এ বার দাম বাড়ল রাসায়নিক সারের, ডিএপি-তে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি
ব্যয় বাড়ছে কৃষি কাজে, সংকটে কৃষকরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সুরাহা মিলবে কি?


খবর অনলাইন ডেস্ক: পেট্রোল, ডিজলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরে এখন রাসায়নিক সারের দামবৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা।
দেশের বৃহত্তম রাসায়নিক সার বিক্রেতা সংস্থা ইন্ডিয়ান ফার্মার্স ফার্টিলাইজার কো-অপারটিভ (IFFCO) ইউরিয়ার পরে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (DAP)-র ৫০ কেজির বস্তার দাম ১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৯০০ টাকা করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই সারের দামে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।
তবে ইফকো শুধু যে পটাশের দাম বাড়িয়েছে, তেমনটা নয়। এনপিকেএস (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার) সমৃদ্ধ সমস্ত রাসায়নিকের দাম-ও বাড়ানো হয়েছে।
ইফকো সূত্রে খবর, ডিএপি তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ফসফোরিক অ্যাসিড এবং রক ফসফেটের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই রাসায়নিক সারের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশে এই উপাদানের সরবরাহ যথেষ্ট কম। ফলে বাইরে থেকে এ ধরনের উপাদান আমদানি করতে হয়।
এর ফলস্বরূপ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাসায়নিকের দাম বাড়ার অর্থ কৃষিক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধি। যার ফলে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও একপ্রকার নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বৃদ্ধির মাধ্যমেই কৃষকদের সংকট থেকে সুরাহা দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড টিকাকরণ অভিযানে গতি আনতে সদর দফতরের একাংশ ছেড়ে দিচ্ছে Facebook
শিল্প-বাণিজ্য
পোস্ট অফিসের এই ৪টি সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ নিরাপদ, ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি রিটার্ন
এই সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করে আরও বেশি সুদ পেতে পারেন। এই সমস্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ।


খবর অনলাইন ডেস্ক: ফিক্সড ডিপোজিট (FD) এখন বিনিয়োগের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তবে আপনি যদি এফডি-র থেকেও বেশি রিটার্ন পেতে চান, তা হলে পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কিসান বিকাশ পত্র (KVP), ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট (NSC), টাইম ডিপোজিট স্কিম (POTD) এবং মান্থলি ইনকাম স্কিম (MIS)-এর মতো প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করে আরও বেশি সুদ পেতে পারেন। এই সমস্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ।
কিসান বিকাশ পত্র (KVP)
এই প্রকল্পে প্রায় ৬.৯ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। এখানে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। বিনিয়োগকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। নাবালকের নামে বিনিয়োগ করলে অভিভাবকের মাধ্যমে করতে হয়। একক ভাবে ছাড়াও যৌথ ভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। জমা হওয়া টাকার উপর আয়কর আইনের ৮০ সি ধারার কর ছাড় পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট (NSC)
পোস্ট অফিসে (Post Office) পাঁচ বছরের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে (National Savings Certificate) সুদের হার ৬.৮ শতাংশ। সুদ বার্ষিক ভিত্তিতে গণনা করা হয়, তবে সুদের পরিমাণ ম্যাচিউরিটির দেওয়া হয়। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। একজন নাবালকের নামে এনএসসি অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে এবং ৩ জন প্রাপ্তবয়স্কের নামে একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। আপনি আয়কর আইনের ধারা ৮০সি ধারায় ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন।
টাইম ডিপোজিট স্কিম (POTD)
এই প্রকল্পের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এককালীন টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এটা এক ধরনের এফডি। পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে এক থেকে পাঁচ বছর সময়সীমার জন্য ৫.৫ থেকে ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। এখানে বিনিয়োগের উপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে।
মান্থলি ইনকাম স্কিম (MIS)
এই প্রকল্পটি বিনিয়োগকারীদের প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ উপার্জনের সুযোগ দেয়। এই প্রকল্পে বার্ষিক সুদের হার ৬.৬ শতাংশ। যদি অ্যাকাউন্টটি একক হয় তবে আপনি পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন। যৌথ অ্যাকাউন্ট থাকলে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা জমা দেওয়া যায়। ম্যাচিউরিটির সময়কাল পাঁচ বছর। টাকা জমা করার পর প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ আপনার অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।
আরও পড়তে পারেন: পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয় প্রকল্পে ফেরত পান দ্বিগুণ
শিল্প-বাণিজ্য
টানা পঞ্চম বার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল RBI
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার কী ভাবে অন্য়ান্য ব্যাঙ্কের ঋণকে প্রভাবিত করে?


খবর অনলাইন ডেস্ক: এই নিয়ে টানা পঞ্চম বারের জন্য সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির (MPC) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, লেনদেনের মূল দুই হার একই রাখা হবে।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ছয় সদস্যের আর্থিক নীতি কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রেপো রেট ৪ শতাংশ এবং রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশেই রাখা হবে।
গত ৫ এপ্রিল শুরু হয়েছিল আরবিআই-এর আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক। তিন দিনের মাথায় বুধবার সংশোধিত সুদের হার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
কী কারণে অপরিবর্তিত?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে ভারতে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফিরেছে নাইট কারফিউ, সপ্তাহান্তে লকডাউন-সহ অন্যান্য বিধিনিষেধ। অন্যদিকে রয়েছে অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির হার। স্বাভাবিক ভাবেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ঋণের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এমনিতে মার্কিন বন্ডে ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতীয় বাজারে আপাত অনীহা প্রকাশ করছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। স্বভাবতই, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আরবিআই-এর এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট কী?
আরবিআই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিকে যে সুদের হারে ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলে। লো রেপো রেটের অর্থ ব্যাঙ্ক থেকে সমস্ত ধরনের ঋণ সস্তা হবে। এটি আপনার আমানতের সুদের হারও বাড়ায়।
অন্যদিকে আরবিআই-এর কাছে নিজেদের গচ্ছিত অর্থের জন্য সুদ পায় ব্যাঙ্কগুলি। আরবিআই-এ তাদের জমা হওয়া টাকার জন্য ব্যাঙ্কগুলি যে হারে সুদ পায়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট।
রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট কী ভাবে ব্যাঙ্কের ঋণকে প্রভাবিত করে?
রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। একদিকে, রিভার্স রেপো রেট হ্রাস করে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলির হাতে আরও বেশি অর্থ ছেড়ে দেয়, যাতে তারা আরও বেশি ঋণ দিতে পারে। অন্যদিকে, রেপো রেট হ্রাস করলে ব্যাঙ্কগুলি সস্তায় ঋণ সরবরাহ করে, যাতে গ্রাহকরা লাভবান হতে পারেন।
প্রসঙ্গত, শেষ চারটি আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকে মূল দুই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। করোনা লকডাউন শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২২ মে শেষ বার রেপো রেট এবং রিভার্স রেটে পরিবর্তন এনেছিল আরবিআই।
আরও পড়তে পারেন: Home loan: বাড়ি কেনার খরচ আরও বাড়ল! সুদের হার বাড়াল SBI
-
দেশ2 days ago
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
Sputnik V: এপ্রিলের শেষে ভারতের বাজারে চলে আসবে টিকা, জানাল রাশিয়া
-
প্রযুক্তি1 day ago
বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ নোটিশ নির্বাচন কমিশনের