শিল্প-বাণিজ্য
তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সামান্য হলেও বাড়ল জিডিপি বৃদ্ধি

ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে-ডিসেম্বর মাসে অর্থাৎ ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বা জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে ৪.৭ শতাংশে এসে ঠেকেছে।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯-এর একই ত্রৈমাসিকে গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৬ শতাংশ।
এপ্রিল-ডিসেম্বর ২০১৯, নয় মাসের সময়কালে ভারতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়েছিল ৫.১ শতাংশ, যা এক বছর আগের একই সময়ে ৬.৩ শতাংশ ছিল। অন্য দিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ঠেকেছিল ৪.৫ শতাংশে। সেখানে থেকে সদ্য শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার সামান্য হলেও বাড়লে বলে পরিসংখ্যানে প্রকাশ।
২০১৯-২০২০-র প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার সংশোধন করে ৫.৬ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৫.১ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হল না এ বার।
আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম করোনা! মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে মুছে গেল ৪,০০০০০ কোটি টাকা
অন্য দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষের জিডিপির পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি অনুমান করেছিল। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে চিনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ।
শিল্প-বাণিজ্য
পেট্রোল, ডিজেলের পর এ বার দাম বাড়ল রাসায়নিক সারের, ডিএপি-তে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি
ব্যয় বাড়ছে কৃষি কাজে, সংকটে কৃষকরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সুরাহা মিলবে কি?

খবর অনলাইন ডেস্ক: পেট্রোল, ডিজলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরে এখন রাসায়নিক সারের দামবৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা।
দেশের বৃহত্তম রাসায়নিক সার বিক্রেতা সংস্থা ইন্ডিয়ান ফার্মার্স ফার্টিলাইজার কো-অপারটিভ (IFFCO) ইউরিয়ার পরে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (DAP)-র ৫০ কেজির বস্তার দাম ১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৯০০ টাকা করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই সারের দামে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।
তবে ইফকো শুধু যে পটাশের দাম বাড়িয়েছে, তেমনটা নয়। এনপিকেএস (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার) সমৃদ্ধ সমস্ত রাসায়নিকের দাম-ও বাড়ানো হয়েছে।
ইফকো সূত্রে খবর, ডিএপি তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ফসফোরিক অ্যাসিড এবং রক ফসফেটের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই রাসায়নিক সারের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশে এই উপাদানের সরবরাহ যথেষ্ট কম। ফলে বাইরে থেকে এ ধরনের উপাদান আমদানি করতে হয়।
এর ফলস্বরূপ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাসায়নিকের দাম বাড়ার অর্থ কৃষিক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধি। যার ফলে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও একপ্রকার নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বৃদ্ধির মাধ্যমেই কৃষকদের সংকট থেকে সুরাহা দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড টিকাকরণ অভিযানে গতি আনতে সদর দফতরের একাংশ ছেড়ে দিচ্ছে Facebook
শিল্প-বাণিজ্য
পোস্ট অফিসের এই ৪টি সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ নিরাপদ, ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি রিটার্ন
এই সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করে আরও বেশি সুদ পেতে পারেন। এই সমস্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ফিক্সড ডিপোজিট (FD) এখন বিনিয়োগের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তবে আপনি যদি এফডি-র থেকেও বেশি রিটার্ন পেতে চান, তা হলে পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কিসান বিকাশ পত্র (KVP), ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট (NSC), টাইম ডিপোজিট স্কিম (POTD) এবং মান্থলি ইনকাম স্কিম (MIS)-এর মতো প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করে আরও বেশি সুদ পেতে পারেন। এই সমস্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ।
কিসান বিকাশ পত্র (KVP)
এই প্রকল্পে প্রায় ৬.৯ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। এখানে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। বিনিয়োগকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। নাবালকের নামে বিনিয়োগ করলে অভিভাবকের মাধ্যমে করতে হয়। একক ভাবে ছাড়াও যৌথ ভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। জমা হওয়া টাকার উপর আয়কর আইনের ৮০ সি ধারার কর ছাড় পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট (NSC)
পোস্ট অফিসে (Post Office) পাঁচ বছরের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে (National Savings Certificate) সুদের হার ৬.৮ শতাংশ। সুদ বার্ষিক ভিত্তিতে গণনা করা হয়, তবে সুদের পরিমাণ ম্যাচিউরিটির দেওয়া হয়। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। একজন নাবালকের নামে এনএসসি অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে এবং ৩ জন প্রাপ্তবয়স্কের নামে একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। আপনি আয়কর আইনের ধারা ৮০সি ধারায় ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন।
টাইম ডিপোজিট স্কিম (POTD)
এই প্রকল্পের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এককালীন টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এটা এক ধরনের এফডি। পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে এক থেকে পাঁচ বছর সময়সীমার জন্য ৫.৫ থেকে ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ টাকা হলেও কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। এখানে বিনিয়োগের উপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে।
মান্থলি ইনকাম স্কিম (MIS)
এই প্রকল্পটি বিনিয়োগকারীদের প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ উপার্জনের সুযোগ দেয়। এই প্রকল্পে বার্ষিক সুদের হার ৬.৬ শতাংশ। যদি অ্যাকাউন্টটি একক হয় তবে আপনি পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন। যৌথ অ্যাকাউন্ট থাকলে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা জমা দেওয়া যায়। ম্যাচিউরিটির সময়কাল পাঁচ বছর। টাকা জমা করার পর প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ আপনার অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।
আরও পড়তে পারেন: পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয় প্রকল্পে ফেরত পান দ্বিগুণ
শিল্প-বাণিজ্য
টানা পঞ্চম বার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল RBI
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার কী ভাবে অন্য়ান্য ব্যাঙ্কের ঋণকে প্রভাবিত করে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: এই নিয়ে টানা পঞ্চম বারের জন্য সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির (MPC) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, লেনদেনের মূল দুই হার একই রাখা হবে।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ছয় সদস্যের আর্থিক নীতি কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রেপো রেট ৪ শতাংশ এবং রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশেই রাখা হবে।
গত ৫ এপ্রিল শুরু হয়েছিল আরবিআই-এর আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক। তিন দিনের মাথায় বুধবার সংশোধিত সুদের হার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
কী কারণে অপরিবর্তিত?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে ভারতে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফিরেছে নাইট কারফিউ, সপ্তাহান্তে লকডাউন-সহ অন্যান্য বিধিনিষেধ। অন্যদিকে রয়েছে অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির হার। স্বাভাবিক ভাবেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ঋণের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এমনিতে মার্কিন বন্ডে ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতীয় বাজারে আপাত অনীহা প্রকাশ করছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। স্বভাবতই, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আরবিআই-এর এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট কী?
আরবিআই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিকে যে সুদের হারে ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলে। লো রেপো রেটের অর্থ ব্যাঙ্ক থেকে সমস্ত ধরনের ঋণ সস্তা হবে। এটি আপনার আমানতের সুদের হারও বাড়ায়।
অন্যদিকে আরবিআই-এর কাছে নিজেদের গচ্ছিত অর্থের জন্য সুদ পায় ব্যাঙ্কগুলি। আরবিআই-এ তাদের জমা হওয়া টাকার জন্য ব্যাঙ্কগুলি যে হারে সুদ পায়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট।
রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট কী ভাবে ব্যাঙ্কের ঋণকে প্রভাবিত করে?
রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। একদিকে, রিভার্স রেপো রেট হ্রাস করে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলির হাতে আরও বেশি অর্থ ছেড়ে দেয়, যাতে তারা আরও বেশি ঋণ দিতে পারে। অন্যদিকে, রেপো রেট হ্রাস করলে ব্যাঙ্কগুলি সস্তায় ঋণ সরবরাহ করে, যাতে গ্রাহকরা লাভবান হতে পারেন।
প্রসঙ্গত, শেষ চারটি আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকে মূল দুই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। করোনা লকডাউন শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২২ মে শেষ বার রেপো রেট এবং রিভার্স রেটে পরিবর্তন এনেছিল আরবিআই।
আরও পড়তে পারেন: Home loan: বাড়ি কেনার খরচ আরও বাড়ল! সুদের হার বাড়াল SBI
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls Live: সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশের বেশি
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: বলে ভেলকি হর্শল পটেলের, ব্যাটে জ্বলে উঠলেন ডেভিলিয়ার্স, বেঙ্গালুরুর কষ্টার্জিত জয়
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: বাহিনীর গুলিতে হত ৪, শীতলকুচি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
-
দেশ1 day ago
Corona Update: রেকর্ড তৈরি করে দেড় লক্ষের দিকে এগিয়ে গেল দৈনিক সংক্রমণ, তবুও কম মৃত্যুহারে কিছুটা স্বস্তি