নির্দিষ্ট সীমার বাইরে উচ্চ-মূল্যের নগদ লেনদেন খুঁটিয়ে দেখে আয়কর বিভাগ। ফলে আপনি যদি নিজের আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইলিংয়ে এই ধরনের লেনদেন উল্লেখ না করেন, তা হলে বিভাগের নোটিশ হাতে এসে পৌঁছানোই স্বাভাবিক।
ব্যাঙ্কে আমানত, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ, সম্পত্তি-সম্পর্কিত লেনদেন এবং শেয়ার ট্রেডিং-সহ উচ্চ-মূল্যের নগদ লেনদেনের উপর নজর রাখে আয়কর বিভাগ। যদি কোনো লেনদেন ঊর্ধ্বসীমা সীমা অতিক্রম করে, তা হলে নোটিশ পাওয়া এড়াতে আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
আর যদি তা এড়িয়ে যান, তা হলে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা রয়েছে। উচ্চ-মূল্যের লেনদেন সংক্রান্ত ব্যক্তিদের রেকর্ড অ্যাক্সেস করার জন্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিভাগ।
এমন কিছু লেনদেন, যা অবহিত না করলে আয়কর বিভাগের নোটিশ অবধারিত
সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টে আমানত
একটি আর্থিক বছরে কেউ সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি জমা করলে তা আয়কর বিভাগকে অবহিত করতে হবে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টে এই ঊর্ধ্বসীমা ৫০ লক্ষ টাকা।
ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট
ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটে নগদে ১০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে আয়কর বিভাগকে অবহিত করতে হবে। জমা করা মোট আর্থিক লেনদেন নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে ফর্ম ৬১এ ফাইল করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল
নগদে ১ লক্ষ টাকার বেশি ক্রেডিট কার্ডের বিল মেটালেই তা আয়কর বিভাগকে জানাতে হবে। এ ধরনের লেনদেন লুকোতে চাইলেও সেটা বিভাগের নজরদারিতে ধরা পড়ে যায়। সমস্ত ধরনের ক্রেডিট কার্ড লেনদেন নিরীক্ষণ করে বিভাগ। পাশাপাশি একটি আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি সেটলমেন্টের বিষয়টিও অবহিত করা বাধ্যতামূলক।
স্থাবর সম্পত্তির কেনাবেচা
৩০ লক্ষ টাকার বেশি স্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচার বিষয়ে কর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হয়।
শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার এবং বন্ড
মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নগদ লেনদেনের সীমা একটি আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি হলে ফর্ম ২৬এএস পূরণ করে তা উল্লেখ করতে হবে।
বিদেশি মুদ্রা বিক্রি
বিদেশি মুদ্রা বিক্রি থেকে একটি আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি পরিমাণ লেনদেন আয়কর বিভাগে রিপোর্ট করা উচিত।
আরও পড়তে পারেন: ক্রিপ্টোকারেন্সির পুরোটাই প্রতারণা? চাঞ্চল্যকর বিবৃতি বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত শর্ট সেলারের