শিল্প-বাণিজ্য
আশঙ্কাই সত্যি! সোনায় শুল্ক বাড়ায় প্রতিবেশী দেশের পোয়াবারো

ওয়েবডেস্ক: গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সাধারণ বাজেট ২০১৯ পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বাজেট পেশ করতে গিয়ে তিনি সোনা, রূপো অথবা প্ল্যাটিনামের মতো মূল্যবান ধাতুর আমদানি শুল্ক আড়াইগুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখেন। এর পরই বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল, শুল্ক বাড়লে এ দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে পারেন। শনিবার জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (জিজেইপিসি)-এর চেয়ারম্যান তেমন কথাই শোনালেন।
বাজেট পেশে বলা হয়েছে, সোনা-সহ ওই সমস্ত মূল্যবান ধাতুর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে করা হবে ১২.৫ শতাংশ। আগে এই শুল্কের পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে জিজেইপিসির চেয়ারম্যান প্রমোদ আগরওয়াল বলেন,
মূল্যবান ধাতুর আমদানির উপর শুল্ক বৃদ্ধি এই শিল্পকে হতাশ করেছে। ইতিমধ্যেই আমদানি কমতে শুরু করায় এই শিল্প ধুঁকতে শুরু করেছে। যার জেরে কাজ হারাতে হচ্ছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের।
এ বিষয়ে আগরওয়াল সরকারের উদ্দেশে বলেন, গয়না শিল্পের প্রাথমিক কাঁচামালের উপর থেকে এই শুল্ক না কমালে পরিস্থিতি আর খারাপের দিকে যাবে।
তিনি একটি বিবৃতিতে জানান, সরকারের এই পদক্ষেপ প্রতিবেশী দেশগুলির ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে। কারণ, বিদেশি পর্যটকরা এখানে থেকে গয়না কেনার বন্ধ করবেন এবং বড়ো হিরের প্রক্রিয়াকরণ-সহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর ক্রেতারা চিন, ভিয়েতনামের মতো প্রতিযোগী দেশগুলিকেই বেছে নেবেন।
একই ভাবে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোমসুন্দরম পিআর জানিয়েছেন, সোনার আমদানিতে শুল্কবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এই শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তার উপর সারা পৃথিবীতেই এখন সোনার দাম বাড়তে চলেছে। সেই জায়গা থেকে এ দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
একটি রিপোর্টে প্রকাশিত, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে বিদেশ থেকে ভারতে ৩২.৮ বিলিয়ন ডলারের সোনা আমদানি করা হয়েছিল। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির থেকে বেশি।
শিল্প-বাণিজ্য
প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল ইপিএফও
আশঙ্কা করা হয়েছিল, ইপিএফে সুদের হার কমানো হতে পারে। তবে আপাতত সেই আশঙ্কা কাটল!

খবর অনলাইন ডেস্ক: দেশের ৬ কোটি মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার একটি বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সুদের হার আগের বারের থেকে হ্রাস পাবে না কি বাড়বে, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল এ দিন।
এ দিন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) ঘোষণা করে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের মতোই এ বারেও ৮.৫ শতাংশ হারে ইপিএফও সদস্যরা তহবিলের উপর সুদ পাবেন।
এ দিন ইপিএফও-র ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠক বসে শ্রীনগরে। সেখানেই ২০২০-২১ অর্থরর্ষের সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনেকই আশঙ্কা করেছিলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি মন্দার শিকার হয়। যার জেরে ইপিএফে সুদের হার কমানো হতে পারে। তবে আপাতত সেই আশঙ্কা কাটল!
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার আগে অবশ্য এই হার আরও বেশ কিছুটা উপরেই ছিল। ২০১৬-১৭ সালেও ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। তার আগে ২০১৫-১৬ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। তারও আগে ২০১৩-১৪ সালে এবং ২০১৪-১৫ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ।
স্বাভাবিক ভাবেই ২০১৬-১৭ সাল থেকে ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছে ইপিএফে সুদের হার। শেষবার .১ শতাংশ বাড়ানো হলেও পুরনো জায়গায় ফেরেনি সুদের হার। একই সঙ্গে ২০২০ অর্থবর্ষে ফের একবার সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়তে পারেন: বৃহস্পতিবার প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ঘোষণা করতে পারে ইপিএফও
শিল্প-বাণিজ্য
বৃহস্পতিবার প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ঘোষণা করতে পারে ইপিএফও
সুদের হার হ্রাস পাবে না কি বাড়বে, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বৃহস্পতিবার!

খবর অনলাইন ডেস্ক: অবসরকালীন তহবিল সংস্থা কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও) আজ ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার ঘোষণা করতে পারে।
কী বলছেন ট্রাস্টি সদস্য
আজ শ্রীনগরে বৈঠকে বসছে ইপিএফওর প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড (সিবিটি)। সূত্রের খবর, ২০২০-২১ আর্থিক বছরের সুদের হার ঘোষণার প্রস্তাব আজকের সভায় উঠে আসতে পারে।
ইপিএফও-র এক ট্রাস্টি কেই রঘুনাথন সংবাদ সংস্থা প্রেস পিটিআই-কে বলেছেন, তিনি সোমবার জেনেছেন যে, ৪ মার্চ শ্রীনগরে সিবিটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, ওই চিঠিতে সভার আলোচ্যসূচির কোনো উল্লেখ করা হয়নি।
কমার আশঙ্কা!
আশঙ্কা করা হচ্ছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সামগ্রিক অর্থনীতির পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বার প্রায় ৬ কোটি গ্রাহকের ইপিএফে সুদের হার কমানো হতে পারে। গত বারে তেমন আশঙ্কা থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত হারেই সুদ পেয়েছেন সংস্থার সদস্যরা।
গত শনিবার প্রকাশিত পে-রোলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইপিএফও-তে নতুন তালিকাভুক্তি ২৪% বৃদ্ধি পেয়ে ১২.৫৪ লক্ষ হয়েছে। শ্রমমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে বলেছে, ইপিএফওর অস্থায়ী বেতনভিত্তিক তথ্যের জন্য একটি ইতিবাচক প্রবণতা তুলে ধরেছে নেট গ্রাহক বেস বৃদ্ধি।
তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও, ইপিএফও চলতি অর্থবছরের প্রথম ন’মাসে প্রায় ৫৩.৭০ লক্ষ গ্রাহককে যুক্ত করেছে।
এর আগে কত ছিল?
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার আগে অবশ্য এই হার আরও বেশ কিছুটা উপরেই ছিল। ২০১৬-১৭ সালেও ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। তার আগে ২০১৫-১৬ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। তারও আগে ২০১৩-১৪ সালে এবং ২০১৪-১৫ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই ২০১৬-১৭ সাল থেকে ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছে ইপিএফে সুদের হার। শেষবার .১ শতাংশ বাড়ানো হলেও পুরনো জায়গায় ফেরেনি সুদের হার। একই সঙ্গে ২০২০ অর্থবর্ষে ফের একবার সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, এ দিনই ইপিএফের সুদের হার ঘোষণা করা হতে পারে। সুদের হার আগের বারের থেকে হ্রাস পাবে না কি বাড়বে, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে এ দিন।
আরও পড়তে পারেন: পেট্রোল, ডিজেল সাড়ে ৮ টাকা সস্তা হতে পারে! কী ভাবে
শিল্প-বাণিজ্য
পেট্রোল, ডিজেল সাড়ে ৮ টাকা সস্তা হতে পারে! কী ভাবে
রাজস্বের ক্ষতি না করেই প্রতি লিটার পেট্রোল এবং ডিজেলে সাড় ৮ টাকা দাম কমাতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার, বলছেন বিশ্লেষকরা!

খবর অনলাইন ডেস্ক: পেট্রোল এবং ডিজেলের লাগাতার দাম বাড়ার সমস্যায় পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রই। তবে শীঘ্রই স্বস্তির খবর আসতে পারে। বিশ্লেষকরা সেই সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের প্রতি লিটারে সাড়ে আট টাকা পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, সরকার শুল্ক বাবদ এই আয় কমালেও তা রাজস্বকে প্রভাবিত করবে না। অর্থাৎ, এমন পন্থা অবলম্বন করেই সরকার সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পারে।
গত ন’মাস ধরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির পরে, বর্তমানে সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই ইস্যুতে সরকার শুধু বিরোধী দলের নিশানা নয়, সাধারণ মানুষও সমালোচনা করছেন এবং জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রত্যাশা করছেন।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ একটি নোটে অনুমান করেছে যে পেট্রোলিয়াম থেকে সরকারের অনুমানিত আয় ৩.২ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী, সরকার যদি জ্বালানির উপর কর না কমায় তা হলে সেই জায়গায় ৪.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল বা তার আগে যদি আবগারি শুল্ক প্রতি লিটারে সাড়ে ৮ টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়, তবে সরকারের বাজেটের অনুমান পূরণ করা যেতে পারে। অর্থাৎ, এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হবে না।
শুল্ক গত বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল
বর্তমানে পেট্রোলের উপরে শুল্কের মূল্য প্রতি লিটারে ৩২.৯০ টাকা এবং ডিজেলের উপর প্রতি লিটারে ৩১.৮০ টাকা। মনে রাখতে হবে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে, পেট্রোলের উপর আবগারি শুল্ক প্রতি লিটারে ১৩ টাকা এবং ডিজেলের উপর শুল্কের মূল্য প্রতি লিটারে ১৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক স্তরে, সরকার দুই দশকের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছানো অপরিশোধিত তেলের দামের সুবিধা নিতে আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছিল। পেট্রোল এবং ডিজেলের দামের উপর বড়ো প্রভাব ফেলে এই আবগারি শুল্কের হার।
শুল্ক শুধু বেড়েছে, কিন্তু হ্রাস করা হয়নি
আইসিআইসিআই সিকিওরিটিজ বলেছে, অপরিশোধিত তেলের বাজার ফিরে এলেও সরকার আবগারি শুল্ক কমেনি। সরকার যদি অনুমানের নীচে শুল্ক অর্থাৎ লিটারে সাড়ে ৮ টাকা করে কমিয়ে দেয়, তবে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের থেকেও রাজস্ব আয় উপরেই থাকবে ।
উল্লেখ্য, পেট্রোলের খুচরো মূল্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের করের অংশ রয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ, আর ডিজেলের খুচরো মূল্যে যা ৫৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, বুধবার কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ৯১.৩৫ টাকা, অন্যদিকে ডিজেলের দাম লিটার পিছু ৮৪.৩৫ টাকা।
আরও পড়তে পারেন: সেনসেক্সের লাফ ১,১৪৮ পয়েন্ট, নিফটি ১৫,২৫০-এর কাছে! উত্থানের নেপথ্যে কী কারণ?
-
প্রযুক্তি2 days ago
মাত্র ২২ টাকায় জিও ফোন প্রিপেড ডেটা ভাউচার! জানুন বিস্তারিত
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির আওতায় মাদ্রাসায় পড়ানো হবে গীতা, রামায়ণ, বেদ-সহ অন্যান্য বিষয়
-
দেশ2 days ago
স্বামীর ‘দাসী’ নন স্ত্রী, এক সঙ্গে থাকতে বাধ্য করা যাবে না, বলল সুপ্রিম কোর্ট
-
রাজ্য3 days ago
৯২ আসনে লড়বে কংগ্রেস, জানালেন অধীর, আব্বাসকে নিয়ে জট অব্যাহত