গাড়ি ও বাইক
হোন্ডার এই দু’টি গাড়ি ভারতে আর পাওয়া যাবে না!
হোন্ডা সিভিক এবং হোন্ডা সিআর-ভি মডেল দু’টির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল।

খবর অনলাইন ডেস্ক: হোন্ডা সিভিক (Honda Civic) এবং হোন্ডা সিআর-ভি (Honda CR-V) ভারতে আর পাওয়া যাবে না। হোন্ডা ইন্ডিয়া (Honda India) ঘোষণা করেছে, ভারতে তাদের দু’টি প্রকল্পের মধ্যে একটিতে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে চলেছে।
হোন্ডার গ্রেটার নয়ডা প্লান্টটিতে বড়ো আকারের যানবাহনের উৎপাদন হতো এবং রাজস্থানের দ্বিতীয় তপুকারা প্রকল্পটি ছোটো আকারের যানবাহনের উৎপাদন করে।

হোন্ডা সিভিক এবং সিআর-ভি সংস্থার সব থেকে বেশি বিক্রি হওয়ার গাড়িগুলির অন্যতম। গ্রেটার নয়ডা প্রকল্পে এই দু’টি গাড়ির উৎপাদন হতো, সঙ্গে ছিল হোন্ডা সিটি। সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হোন্ডা সিটির উৎপাদন স্থানান্তর করা হবে তপুকারায়। কিন্তু হোন্ডা সিভিক এবং হোন্ডা সিআর-ভি আর ভারতে তৈরি করবে না।
কারণ, রাজস্থানের প্রকল্পটিতে ছোটো গাড়ির উৎপাদনেই মনোনিবেশ করবে সংস্থা। স্বাভাবিক ভাবেই হোন্ডা সিভিক এবং হোন্ডা সিআর-ভি মডেল দু’টির উৎপাদন তাদের বন্ধ করতে হবে।

সংস্থা এই দু’টি গাড়ির উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে গাড়িগুলি এখনও কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত রয়েছে। তবে, স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এটা বদলে দেওয়া হতে পারে।
সংস্থার পক্ষে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ডিরেক্টর (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) রাজেশ গয়াল বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের কাছে প্রকৃত অর্থে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ, এই দু’টি মডেলই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। কিন্তু তপুকারার প্রকল্পটিতে ছোটো আকারের গাড়ি তৈরির জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় এ ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না”।
আরও পড়তে পারেন: ১ জানুয়ারি থেকে সমস্ত গাড়ির দাম বাড়াচ্ছে হিরো মোটোকর্প
গাড়ি ও বাইক
পথ দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালে ক্যাশলেস চিকিৎসা
বিদেশি পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের এই প্রকল্পে অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে।

নয়াদিল্লি : সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের চিকিৎসার জন্য আর নিজের পকেট থেকে ব্যয় করতে হবে না। ঘটনাস্থল থেকে নিকটবর্তী সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিখরচায় চিকিৎসা পাবেন দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি।
কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির নেতৃত্বে পরিবহন মন্ত্রক এ ব্যাপারে একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। সেই প্রকল্প অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনা আহত ব্যক্তি বেসরকারি হাসপাতালে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতাল বা অন্য জয়গায় পাঠানোর ব্যয়ও সরকার বহন করবে।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতিবন্ধী হলে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে এই প্রকল্পে। দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে অর্থ মৃত ব্যক্তির নিকট আত্মীয়কে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় নগদহীন চিকিৎসা প্রকল্প মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প তৈরি করেছে।
বিদেশি পর্যটকরাও এই প্রকল্পে অন্তর্ভক্ত
বিদেশি পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের এই প্রকল্পে অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এক্সপ্রেসওয়ে, গ্রিন ফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় সড়ক, জেলা ও অন্যান্য রাস্তায় দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি এই সুবিধা পাবেন।
এক সরকারি আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হন। তারা এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন।
যানবাহন দুর্ঘটনা তহবিল থেকে এই প্রকল্পের অর্থ
আহতের ক্যাশলেস চিকিৎসার অর্থ যানবাহন দুর্ঘটনা তহবিল থেকে আসবে। নগদহীন চিকিৎসার অর্থ যানবাহন বিমা এবং সাধারণ বিমা থেকে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া টোল ট্যাক্স বাবদ আদায় করা অর্থে একাংশ এই তহবিলের জন্য ব্যবহার করা হবে।
গাড়ি ও বাইক
এক্সট্রিম ১৬০আর, এক্সপ্লাস ২০০-র দাম বাড়াল হিরো
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, পুরনো এবং নতুন দামের তুল্যমূল্য বিচার।

খবর অনলাইন ডেস্ক: এক মাস আগের ঘোষণা অনুযায়ী দাম বাড়ল হিরো মটোকর্পের একাধিক মোটর বাইকের।
জানা গিয়েছে, হিরোর একপ্লাস এবং এক্সস্ট্রিমের দাম বেড়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, পুরনো এবং নতুন দামের তুল্যমূল্য বিচার।
হিরো এক্সট্রিম ১৬০আর

২০২০ সালের জুন মাসে বাজারে আসে হিরো এক্সট্রিম ১৬০আর ( Hero Xtreme 160R)। শুরুতে দাম ছিল ৯৯,৯৫০ টাকা। এখন প্রায় ১,৯০০ টাকা দাম বেড়েছে।
ডিস্ক ব্রেক সংস্করণের দাম হয়েছে ১০৬,৯৫০ টাকা, ড্রাম ব্রেক সংস্করণের দাম ১০৩,৯০০ টাকা।
হিরো এক্সপ্লাস ২০০

এর আগে হিরো এক্সপ্লাস ২০০ (Hero Xpulse 200)-র দাম ছিল ১১৩,৭৩০ টাকা। দেড় হাজার টাকা বেড়ে দাম হয়েছে ১১৫,২৩০ টাকা।
এগুলি দিল্লিতে এক্স-শোরুমে দামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দেশের বিভিন্ন শহরে দামের হেরফের ঘটতে পারে।
আরও পড়তে পারেন: হোন্ডার এই দু’টি গাড়ি ভারতে আর পাওয়া যাবে না!
গাড়ি ও বাইক
গাড়ির কাগজপত্র পুনর্নবীকরণের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ নথিপত্রের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার আগেই ফের মেয়াদ বাড়ানো হল।

নয়াদিল্লি: চিন্তায় পড়েছিলেন গাড়ির মালিকরা! কেন্দ্রের ঘোষণায় আপাতত মিলল স্বস্তি।
রবিবার কেন্দ্রীয় পরিবহণ এবং জাতীয় সড়ক মন্ত্রক ঘোষণা করে, যানবাহনের নথিগুলি পুনর্নবীকরণের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি অথবা ৩১ মার্চের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স (DL), রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (RC) এবং গাড়ির পারমিটকে আরও তিন মাস ছাড় দেওয়া হবে।


এর আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই নথিগুলি পুনর্নবীকরণ না করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হতে পারে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে রবিবারের ঘোষণায় সেই আশঙ্কা আর রইল না।
করোনাভাইরাস মহামারির (Coronavirus pandemic) জেরে লকডাউনের কারণে মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট, ১৯৮৮ এবং সেন্ট্রাল মোটর ভেহিক্যাল রুলস, ১৯৮৯ অনুযায়ী একাধিক বিষয়ে পুনর্নবীকরণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা, রাজ্য / জাতীয় অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ নথিপত্রের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই মেয়াদ পুনরায় বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে আজ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্রের খবর, বাণিজ্যিক যানবাহনের মালিকরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন। কারণ, লকডাউনের সময় তাঁদের গাড়িগুলি পুরোপুরি বসে যায়। লোকসানের মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের। বেশ কিছু গাড়ি এখনও পর্যন্ত রাস্তায় নামেনি। সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই এ ধরনের যানবাহনের জন্য নথিপত্র পুনর্নবীকরণের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
এক স্কুল বাসের মালিক উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, স্কুল যত দিন না খুলছে, তত দিন তাঁদের গাড়ির চাকা গড়াচ্ছে না। ফলে কোনো সিদ্ধান্তে আসার আগে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা উচিত সরকারের।
আরও পড়তে পারেন: কেন্দ্রের বড়ো ঘোষণা! করোনার মডিউল অ্যাপ তৈরি করুন, জিতে নিন কোটি টাকার পুরস্কার
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
থাইরয়েড ধরা পড়েছে? এই খাবারগুলি সম্পর্কে সচেতন হন
-
রাজ্য2 days ago
তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়, প্রিয়া সেনগুপ্ত
-
ফুটবল1 day ago
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও চার ফুটবলারের
-
রাজ্য2 days ago
উন্নয়ন দেখাতে ‘ছানিশ্রী’ প্রকল্প করবে সরকার, বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের