শিল্প-বাণিজ্য
শেয়ার বাজারের প্রত্যাশা জিইয়ে রাখল সরকারি প্যাকেজ

ওয়েবডেস্ক:করোনাভাইরাস (Cornavirus) সংক্রমণের জেরে সাত বছর আগের অবস্থানে পিছিয়ে গিয়েছে শেয়ার বাজারের (Stock Market) মূল সূচকগুলি। অস্থির বাজারে শেয়ার বিক্রির হিড়িকে দুই মূল সূচক সেনসেক্স (Sensex) এবং নিফটিতে (Nifty) চওড়া ধস অব্যাহত রয়েছে গত দু-সপ্তাহ ধরে। তবে মঙ্গলবার আর্থিক সংকট কাটাতে সরকারি প্যাকেজ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে এ দিন দুই সূচকই ‘সবুজ’-এ বন্ধ হল।
গত শুক্রবারেও শেয়ার বাজারে প্রত্যাশা সঞ্চারিত হয়। কিন্তু সোমবার বাজার খোলার আগে থেকেই সে সব উধাও। মাত্র ৪৫ মিনিটের কেনাবেচায় ১০,০০০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ গায়েব হয়ে যাওয়ার পর সেনসেক্স পৌঁছে যায় লোয়ার সার্কিটে। কেনাবেচা বন্ধ হয় ৪৫ মিনিটের জন্যে। ফের বাজার খোলার পর এক দিনে সর্বোচ্চ পয়েন্ট খোয়াতে হয় সেনসেক্সকে। মঙ্গলবার অস্থিরতা বজায় থাকলেও ইতিবাচক ভাবেই বাজার বন্ধ হয়।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টুইটারে লিখেছিলেন, খুব শীঘ্রই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। তাঁর ওই টুইটার-মন্তব্যের পরই শেয়ার বাজার দম পায়। প্রায় ৫ শতাংশে ঊর্ধ্বগমন দেখা যায়। অর্থমন্ত্রী এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে একগুচ্ছ আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আরও বেশ কিছু আর্থিক প্যাকেজের ইঙ্গিত দেন। স্বভাবতই দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা বিনিয়োগকারীদের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়।
সেনসেক্স এ দিন ৬৯২.৭৯ পয়েন্ট অর্থাৎ ২.৬৭ শতাংশ বেড়ে পৌঁছায় ২৬,৬৭৪.০৩ পয়েন্টে। অন্য দিকে নিফটি ১৯০.৮০ পয়েন্ট অর্থাৎ ২.৫১ শতাংশ বেড়ে ৭,৮০১.০৫ পয়েন্টে স্থিতিশীল হয়।
সরকার বাজারের উপর নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের ফলে বাজারে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে ধরে নিয়ে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, তার জোরালো প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ জারি রেখেছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব: একগুচ্ছ আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করল কেন্দ্র
একই সঙ্গে কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, দেশে এখনই কোনো আর্থিক জরুরি অবস্থা চাপানো হবে না। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার আংশিক বা সম্পূর্ণ লক ডাউনের পথে হাঁটলেও এখনই কোনো আর্থিক জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
শিল্প-বাণিজ্য
Gold Price: করোনা সংকটের মাঝে আবারও কি ৫০ হাজার টাকার গণ্ডি টপকাতে পারবে সোনার দাম?
গত আগস্টে সোনার সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬,২০০ টাকা।


খবর অনলাইন ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আবারও বাড়ছে। এ দিকে, বিনিয়োগকারীদের প্রবণতা আবারও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচিত সোনার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। যে কারণে গত কয়েকদিনে সোনার দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। এর আগে সর্বোচ্চ চুড়ো থেকে সোনার দাম বেশ খানিকটা হ্রাস পাওয়ার পরে ফের তা বাড়ছে। স্বাভাবিক ভাবেই যে প্রশ্নটি উঠে আসছে, তা হল- প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম আবারও কি ৫০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করবে?
ধারাবাহিক ভাবে হ্রাসের পরে, সোনার দাম ফের পাঁচ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং দেশে, সোনাকে আবারও এমনকী প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৬-৪৭ হাজার টাকাতে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অনেকগুলি বিষয় সোনার দামের উত্থানে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। যেগুলি আগামী দিনে সোনার দামকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করে তুলতে পারে।
গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি নিয়ে চরম উদ্বেগ ছিল। বিশ্বের একাধিক দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। তবে তার পরেও সোনার আভা ম্লান হয়নি এবং সোনার দাম আকাশ ছুতে থাকে। এখন আবারও করোনা সংক্রমণের হার নতুন করে বাড়ছে। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা আবার সোনার দিকে ঝুঁকছেন। সোনা আবারও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হয়ে উঠছে।
আন্তর্জাতিক ভাবে, এক আউন্স সোনার দাম এখন ১,৭৫০ ডলার। অর্থাৎ, বেশ শক্তিশালী জায়গাতেই রয়েছে সোনার দাম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীঘ্রই আউন্স প্রতি ১,৭৮০ থেকে ১,৮০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দেশীয় বাজারেও প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ফের ৫০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে সোনার সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬,২০০ টাকা।
আরও পড়তে পারেন: পোস্ট অফিসের এই ৪টি সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ নিরাপদ, ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি রিটার্ন
গাড়ি ও বাইক
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?
বুকিং পুনরায় শুরু করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দ্রুতগতিতে স্টক নি:শেষিত হয়ে যায়।


খবর অনলাইন ডেস্ক: বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বাজাজ অটোর (Bajaj Auto) চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের (Chetak electric scooter)। সংস্থা জানিয়েছে, বুকিং পুনরায় শুরু করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দ্রুতগতিতে স্টক নি:শেষিত হয়ে যায়। ফলে বুকিং বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তবে আগ্রহী ক্রেতাদের উদ্দেশে জানানো হয়েছে, স্কুটারটির উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থা।
১৩ এপ্রিল সকাল ৯টার সময় অনলাইনে বুকিং শুরু হয় চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে, ওয়েবসাইটে এখনও ইলেকট্রিক স্কুটারের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গেলেও স্পষ্ট ভাবে দাবি করা হচ্ছে, আপাতত বুকিং বন্ধ রয়েছে।
ক্রেতাদের প্রশ্নের জবাবে বাজাজ অটো লিমিটেডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রাকেশ শর্মা জানিয়েছেন, আমরা জানি গ্রাহকরা শুরুতেই চেতক কিনতে চান। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁরা এই ইলেকট্রিক স্কুটারে চড়তে পারেন, সেই চেষ্টাই করছেন অনেকে। তবে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বুকিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সাপ্লাই চেনের সমস্যাগুলি খুব শীঘ্রই সমাধান করার, বুকিং পুনরায় খোলার পাশাপাশি পরবর্তী ত্রৈমাসিকের মধ্যে আরও বেশি শহরে চেতক সরবরাহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, “পুনে এবং বেঙ্গালুরুতে চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের জন্য বুকিং পুনরায় খোলার বিষয়ে দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৫ বছর পরে গত ২০২০ সালে নতুন রূপে চেতক বাজারে নিয়ে এসেছে বাজাজ। দু’টি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটার। আরবান মোডের দাম ১,২২,০০ (এক্স-শোরুম) এবং প্রিমিয়ামের জন্য লাগছে ১,২৬,০০০ (এক্স-শোরুম)।
আরও পড়তে পারেন: বাজারে এল বাজাজের ইলেকট্রিক স্কুটার ‘চেতক’
শিল্প-বাণিজ্য
পেট্রোল, ডিজেলের পর এ বার দাম বাড়ল রাসায়নিক সারের, ডিএপি-তে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি
ব্যয় বাড়ছে কৃষি কাজে, সংকটে কৃষকরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সুরাহা মিলবে কি?


খবর অনলাইন ডেস্ক: পেট্রোল, ডিজলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরে এখন রাসায়নিক সারের দামবৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা।
দেশের বৃহত্তম রাসায়নিক সার বিক্রেতা সংস্থা ইন্ডিয়ান ফার্মার্স ফার্টিলাইজার কো-অপারটিভ (IFFCO) ইউরিয়ার পরে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (DAP)-র ৫০ কেজির বস্তার দাম ১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৯০০ টাকা করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই সারের দামে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।
তবে ইফকো শুধু যে পটাশের দাম বাড়িয়েছে, তেমনটা নয়। এনপিকেএস (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার) সমৃদ্ধ সমস্ত রাসায়নিকের দাম-ও বাড়ানো হয়েছে।
ইফকো সূত্রে খবর, ডিএপি তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ফসফোরিক অ্যাসিড এবং রক ফসফেটের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই রাসায়নিক সারের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশে এই উপাদানের সরবরাহ যথেষ্ট কম। ফলে বাইরে থেকে এ ধরনের উপাদান আমদানি করতে হয়।
এর ফলস্বরূপ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাসায়নিকের দাম বাড়ার অর্থ কৃষিক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধি। যার ফলে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও একপ্রকার নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বৃদ্ধির মাধ্যমেই কৃষকদের সংকট থেকে সুরাহা দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড টিকাকরণ অভিযানে গতি আনতে সদর দফতরের একাংশ ছেড়ে দিচ্ছে Facebook
-
রাজ্য21 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ1 day ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী