কোভিড রোগীকে ‘ক্যাশলেস পরিষেবা’ না দিলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে বিমা সংস্থা

0

ওয়েবডেস্ক: স্বাস্থ্য বিমা (Health insurance) থাকা সত্ত্বেও কোভিড-১৯ রোগীকে নগদবিহীন পরিষেবা (Cashless facility) না দেওয়ার অভিযোগের বহর বাড়ছে বেশ কিছু হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থতিতে বিমা সংস্থাগুলির পক্ষে বিশেষ নির্দেশ দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্সুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (IRDAI)।

আইআরডিএ ১৪ জুনের নির্দেশে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ (Covid-19) রোগীকে নগদবিহীন পরিষেবা দিতে অস্বীকার করলে নিজের নেটওয়ার্কে থাকা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নিতে পারবে বিমা সংস্থাগুলি।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “বিমা সংস্থার নেটওয়ার্কে থাকা পরিষেবা প্রদানকারী সরবরাহকারী হাসপাতাল নগদবিহীন সুবিধা দিতে অস্বীকার করলে তা এসএলএ (সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট)-এর শর্তকে লঙ্ঘন করার শামিল। এ ক্ষেত্রে বিমা সংস্থা এসএলএ-তে উল্লেখিত শর্তসাপেক্ষে নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা পরিষেবা সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে”।

একই সঙ্গে আইআরডিএআই জানিয়েছে, পলিসিধারকদের অভিযোগের দ্রুত সমাধানের জন্য বিমা সংস্থাগুলি পৃথক অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা (grievance redressal system) চালু রাখবে।

বলা হয়েছে, বিমা সংস্থাগুলি পলিসিধারকদের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। তাঁদের অভিযোগগুলি যতটা দ্রুত সম্ভব সমাধানের জন্য ওই নিষ্পত্তি ব্যবস্থা তালিকাভুক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

একই সঙ্গে পলিসিধারকের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের কাছেও পাঠাতে হবে। কারণ, সেখান থেকেই হাসপাতালগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি বিমা সংস্থার ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করতে হবে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মীদের জন্য চালু হওয়া করোনা কবচ (Corona Kavach) পলিসির জন্যও প্রিমিয়ামে ৫ শতাংশ ছাড় দেবে বিমা সংস্থাগুলি।

করোনা কবচ

করোনাভাইরাস (Coronavirus) আক্রান্তের চিকিৎসার খরচে সুবিধা দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আইআরডিএ। গত সপ্তাহে ২৯টি সাধারণ এবং স্বাস্থ্য বিমা সংস্থা সেই উদ্যোগে শামিল হয়ে নিয়ে এসেছে করোনা কবচ।

এই পলিসিতে সাধারণ স্বাস্থ্য বিমার পলিসির থেকে প্রিমিয়ামের পরিমাণ কম। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশ মতোই পরিষেবা পাওয়া যাবে। সর্বনিম্ন সাড়ে তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ন’মাসের তিনটি মেয়াদে পলিসিটি করা যাবে।

এমনিতে সাধারণ স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে যেখানে পলিসি কেনার ৩০ দিন পর চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায়, এ ক্ষেত্রে তা পাওয়া যাবে ১৫ দিন পর থেকেই। পলিসিধারকের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর। বিমার অঙ্ক ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়তে পারেন: কোভিড-১৯ রোগীর নাম প্রকাশ করলে কার কী লাভ?

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.