শিল্প-বাণিজ্য
পর পর দু’মাস বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
স্বাভাবিক ভাবে এই নিয়ে টানা দু’মাস বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম।

ওয়েবডেস্ক: ১ জুলাই থেকে ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি (LPG) সিলিন্ডারের দাম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এক থেকে সাড়ে চার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে ঘোষণা করল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOC)।
করোনাভাইরাস লকডাউনের আবহে টানা তিন মাস কমার পর গত ১ জুন থেকে ফের বাড়তে শুরু করে এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG cylinder) দাম। ঠিক একই ভাবে জুলাই মাসেও তা বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবে এই নিয়ে টানা দু’মাস বাড়ল ভরতুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম।
দাম কোথায় কত বাড়ল?
শহর | ১ জুলাই থেকে দাম | বাড়ল | আগে ছিল |
দিল্লি | ৫৯৪ টাকা | ১ টাকা | ৫৯৩ টাকা |
কলকাতা | ৬২০.৫০ টাকা | ৪.৫০ টাকা | ৬১৬ টাকা |
মুম্বই | ৫৯৪ টাকা | ৩.৫ টাকা | ৫৯০.৫০ টাকা |
চেন্নাই | ৬১০.৫০ টাকা | ৪ টাকা | ৫০৬.৫০ টাকা |
আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার সঙ্গেই দেশের জ্বালানি তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি প্রতি মাসের ১ তারিখে সংশোধিত দাম প্রকাশ করে।
সারা বিশ্বেই কোভিড-১৯ মহামারির জেরে অপরিশোধিত জ্বালানির চাহিদা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। গত এপ্রিল-মে মাসে বিশ্ববাজারে ঐতিহাসিক পতনের মুখোমুখি হয় অপরিশোধিত তেলের দাম। তবে এখন চাহিদা তুলনামূলক ভাবে ক্রমশ বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানির দাম-ও।
শিল্প-বাণিজ্য
২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু সংসদের প্রথম ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন
স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম সংসদের ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে করোনা মহামারির জেরে এ বারের বাজেট অধিবেশনে বদল হচ্ছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যগত প্রথায়।
এর আগেই কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি জানিয়েছেন, সংসদের বাজেট অধিবেশন দু’টি পর্যায়ের হবে অধিবেশন। প্রথমটি হবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয়টি হবে ৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সর্বদল বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন নির্মলা। এই অধিবেশনে সরকার সমস্ত রকমের আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
কাগজবিহীন বাজেট
তবে স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম কোনো পেপারলেস বা কাগজবিহীন অধিবেশন হতে চলেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে হার্ড কপিগুলির কোনো প্রিন্ট করা হবে না।
প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় বাজেট অর্থমন্ত্রকের নিজস্ব প্রেসে মুদ্রিত হয়। এই কাজের সঙ্গে মন্ত্রকের প্রায় শ’খানেক কর্মচারী জড়িত থাকেন। যাঁদের বাজেটের জন্য কাগজপত্র মুদ্রণ, সিল করা এবং বিতরণ করা পর্যন্ত প্রায় ১৫ দিনের জন্য একত্রে থাকতে হয়।
তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই ঐতিহ্যে এ বার প্রথম বারের জন্য ছেদ পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর পরিবর্তে বাজেটের সফট কপিগুলি ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এক নজরে এ বারের পরিবর্তন
*সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, কেন্দ্রীয় বাজেট এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষা-সহ বাজেটের যাবতীয় কাগজপত্র প্রিন্ট করা হবে না এবং সফট কপি সরবরাহ করা হবে।
*সংসদের সমস্ত সদস্যকে ওই সফট কপি দেওয়া হবে।


*কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ তৈরির সূচনায় হালুয়া অনুষ্ঠানের চল বেশ পুরনো। হালুয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বাজেট পেশের মূলপর্বের কাজ শুরু হয়। করোনার জন্য এ বার সেটা হবে না।
আরও পড়তে পারেন: প্রথম দিন ৩ লক্ষ! টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শিল্প-বাণিজ্য
আয়কর বিভাগকে কালো টাকা হদিশ দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ
কোথায়, কী ভাবে আবেদন জানাবেন?

খবর অনলাইন ডেস্ক: তথ্য প্রদানকারীদের জন্য নতুন একটি অনলাইন সুবিধা চালু করেছে আয়কর বিভাগ। যেখানে কালো টাকা, বেনামি লেনদেন, সম্পত্তি বা কর ফাঁকির মতো বিষয় সরাসরি সরকারকে জানানো যাবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ কর বিভাগ বা সিবিডিটি নতুন এই সুবিধা চালু করেছে।
কোথায় জানাবেন?

সংস্থার ই-ফাইলিং পোর্টাল https://www.incometaxindiaefiling.gov.in-এ গিয়ে “কর ফাঁকি বা বেনামি সম্পত্তির তথ্য” জানানো যাবে।
কী ভাবে জানাবেন?

বলা হয়েছে, যাঁদের প্যান অথবা আধার নম্বর রয়েছে, তাঁরা যেমন অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন, তেমনই যাঁদের কাছে এগুলি নেই তাঁরাও এই সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, প্রত্যেকেই নিজের অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। ওটিপি -ভিত্তিক এই প্রক্রিয়ায় আয়কর আইন,১৯৬১-র অধীনে হিসেব বহির্ভূত টাকা মজুতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। একই সঙ্গে ভিন্ন ফরম্যাটে বেনামি লেনদেন সম্পর্কেও অভিযোগ জানানো সম্ভব।
অভিযোগ দায়েরের পরে প্রতিটি অভিযোগের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া হবে। অভিযোগকারী ওয়েবলিঙ্কে নিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থার পদক্ষেপের আপডেট সহজেই দেখে নিতে পারবেন।
আর্থিক পুরস্কারের ধরন

এই উদ্যোগেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তথ্য প্রদানের জন্য পুরস্কার। বেনামি সম্পত্তির হদিশ দেওয়ার জন্য এক কোটি টাকা পর্যন্ত এবং কর ফাঁকি দেওয়া বিদেশে কালো টাকার হদিশ দিলে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক পুরস্কার জেতা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিডিটি বলেছে, বেনামি লেনদেন এব সম্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য জানানোর লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতেই এই সুবিধা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: ৪টি শ্রমবিধি কার্যকরে মরিয়া কেন্দ্র
শিল্প-বাণিজ্য
৪টি শ্রমবিধি কার্যকরে মরিয়া কেন্দ্র
কৃষি আইন নিয়ে টানাপোড়েনর মধ্যেই শ্রমবিধি কার্যকরের প্রস্তুতি কেন্দ্রের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: সংসদের অধিবেশনে পাশ হওয়া শ্রমবিধি চলতি জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই কার্যকর হতে পারে। ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবি-দাওয়াকে অগ্রাহ্য করার অভিযোগ উঠলেও তড়িঘড়ি বিধিগুলি কার্যকরে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার।
গত অক্টোবরে শ্রমমন্ত্রক বলেছিল যে, এপ্রিলের মধ্যে এই চারটি শ্রমবিধি কার্যকর করার লক্ষ্য রয়েছে। তবে মঙ্গলবার শ্রমসচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেন, মন্ত্রক ৩১ জানুয়ারির মধ্যে চারটি শ্রমবিধি নিয়ে প্রস্তুত নিচ্ছে। তাঁর কথায়, “আইনের কার্যকর যে কোনো সময় হতে পারে … এটা এপ্রিলেরও আগেও হতে পারে”।
তিনি জানান, “মজুরি এবং শিল্প সম্পর্কিত বিধি প্রস্তুত রয়েছে। যথাযথ আলোচনার পরে নূন্যতম মজুরি নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্রিপাক্ষিক পরামর্শ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে এবং পেশাগত সুরক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষা বিধির জন্য শীঘ্রই একটি বৈঠক হতে পারে”।
পড়ে আছে চার শ্রমবিধি
ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড ২০২০, অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড (শিল্পে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক বিধি) ২০২০ (কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চয়তা বিধি) এবং কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি ২০২০ (সামাজিক সুরক্ষা বিধি ) নামে তিনটি শ্রমবিধি পাশ হয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভায়।
গত কয়েক বছর ধরে শ্রম আইন সংস্কারে কেন্দ্র যে চারটি খসড়া তৈরি করেছিল, এই তিনটি তারই অংশ। এর আগে ২০১৯ সালে মজুরি সংক্রান্ত বিধি পাশ হয়ে যায়। যদিও সেটাও এখনও কার্যকর হয়নি।
গত বছরের জুলাই মাসে লোকসভায় এবং আগস্টে রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে সেটি আইনে পরিণত হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী সন্তোষকুমার গাঙ্গোয়ার বলেছিলেন, মজুরির সংক্রান্ত এই কোডটি ঐতিহাসিক বিল, যা সংঘবদ্ধ ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় ৫০ কোটি শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরির সময়োপযোগী বেতন এবং সময়মতো বেতন নিশ্চিত করবে।
ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিবাদ
শ্রমবিধির প্রতিবাদে এক দিনের দেশজোড়া কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, “শ্রমবিধি সংশোধন করে শ্রমিকদের উপর ভার্চুয়াল দাসত্বের শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। এই সংশোধন কর্মী সংগঠন গঠনকে কঠিনতর করে তুলবে, ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেবে এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের দূরে সরিয়ে দেবে”।
ট্রেড ইউনিয়নগুলির আরও অভিযোগ, এই বিধির বহু অংশ শ্রমিক স্বার্থের পরিপন্থী। এতে একতরফা ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে মালিক এবং আমলাদের হাতে।
আরও পড়তে পারেন: ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম!
-
বিদেশ3 days ago
১৯৫৩ সালের পর থেকে প্রথম কোনো মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল মার্কিন সরকার
-
শিল্প-বাণিজ্য3 days ago
ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম!
-
বিনোদন3 days ago
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অভিযাত্রিক’, সিনেমার ‘মাস্টার’দের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
-
দেশ23 hours ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র