শিল্প-বাণিজ্য
এসবিআই গ্রাহকদের জন্য উপহার! এসবিআই কার্ড অ্যাপে চালু নতুন পরিষেবা
আপনি এই পরিষেবাটি কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

খবর অনলাইন ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI) একটি বৃহত্তর কনট্যাক্টলেস পেমেন্ট (Contactless payment) ব্যবস্থার ঘোষণা করেছে। জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কের মাস্টারকার্ড (Mastercard) গ্রাহকদের টাকা তোলার জন্য আর কার্ড সঙ্গে রাখার প্রয়োজন নেই। গ্রাহকরা ‘যোগাযোগহীন পেমেন্টে’র মাধ্যমে ‘ট্যাপ-অ্যান্ড-গো’ পদ্ধতি ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারবেন।
এসবিআই কার্ডের অ্যাপ্লিকেশনটি ভারতে এই প্রথম মাস্টারকার্ড টোকেন পরিষেবা চালু হল। মাস্টারকার্ড এবং এসবিআই কার্ডস অ্যান্ড পেমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (এসবিআই কার্ড) এ দিন এসবিআই কার্ড অ্যাপে কনট্যাক্টলেস পেমেন্ট চালু করার ঘোষণা করে জানায়, এর জন্য, গ্রাহককে কোনো সোয়াইপ, টাচ অথবা কোনো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে না।
আপনি এই পরিষেবাটি কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
এসবিআই-এর এই পরিষেবা ব্যবহার করে আপনি এককালীন দু’হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন। এর বেশি পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের জন্য পিন ব্যবহার করতে হবে।
এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য গ্রাহককে এসবিআই কার্ড মোবাইল অ্যাপে নিজের অ্যাকাউন্ট নথিভুক্ত করতে হবে। নথিভুক্তিকরণ হয়ে গেলে কার্ডটি টাচ না করেই পয়েন্ট অফ সেল (POS) মেশিনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করা যেতে পারে।
১. মাস্টারকার্ডের এই পরিষেবাটি ব্যবহার করতে আপনাকে এসবিআই কার্ড মোবাইল অ্যাপের সর্বশেষ আপডেট হওয়া সংস্করণে রেজিস্টার করতে হবে।
২. রেজিস্টার হয়ে গেলে আপনি সহজেই নিজের মোবাইল সঙ্গে রেখে পস মেশিনের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারেন।
৩. এসবিআই কার্ডটি খুবই নিরাপদ। এটি টোকেন সিস্টেম ব্যবহার করে। এতে কার্ডধারকের তথ্য, যেমন কার্ড নম্বর, সিভিভি, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ ইত্যাদি ডিভাইস ভিত্তিক ডিজিটাল টোকনে রূপান্তরিত হয়।
৪. এসবিআই কার্ডের তথ্য নিয়ারফিল্ড কমিউনিকেশন (NFC) ওয়্যারলেস মোডের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
৫. এই পরিষেবায় কেউ-ই কার্ডের তথ্য দেখতে সক্ষম নয়। ফলে লেনদেন অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত।
৬. এই পদ্ধতিতে আপনি যখন স্মার্টফোনের স্ক্রিনটি আনলক করবেন, শুধুমাত্র তখনই লেনদেন করা যাবে। এতে এসবিআই কার্ডের তথ্য ডিজিটাল টোকেন হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়, যা অন্য কোনো ব্যক্তি অ্যাক্সেস করতে পারে না।
৭. তবে দু’হাজার টাকার বেশি লেনদেনের জন্য কার্ড এসবিআই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
আরও পড়তে পারেন: এসবিআই এটিএম কার্ডে নিজের সন্তানের ছবি প্রিন্ট করা যায়, জেনে নিন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া
শিল্প-বাণিজ্য
বাজেট ২০২১: ফুড ডেলিভারিতে জিএসটি কমানোর দাবি
জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি।

খবর অনলাইন ডেস্ক: খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) হ্রাসের দাবি তুলল রেস্তোঁরা ও ফুড ডেলিভারি (food delivery) সংস্থাগুলি। বর্তমানে এই করের হার ১৮ শতাংশ। তারা দাবি করেছে, এখন ৩০০ কোটি টাকার জোগান দিতে সেই করের হার পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, বাড়িতে অথবা নিজের অফিসে খাবার আনাতে গ্রাহকদের বাড়তি ১৩ শতাংশ দাম দিতে হয়। অথচ, যাঁরা রেস্তোঁরায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই করের হার পাঁচ শতাংশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে ফুজা ফুড-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভারতে অনলাইনে খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রটি এখন লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে এই বাজারের মূল্য প্রায় ২৯৪ কোটি টাকা। সিএজিআর-এ বৃদ্ধি ঘটছে ২২ শতাংশ। তবে জিএসটি-র কারণে উদ্ভূত করের জটিলতা এই বৃদ্ধিতে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে”।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে ফুড ডেলিভারির উপর ১৮ শতাংশ হারে উচ্চ জিএসটি এবং রেস্তোঁরার ক্ষেত্রে এ ধরনের জিএসটি বৃদ্ধির ফলে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। জিএসটি হ্রাস করলে খাবার আরও সাশ্রয়ী হবে। উলটো দিকে বাড়বে কর্মসংস্থান। ফলে ফুড ডেলিভারি ক্ষেত্রটিকে বহরে বাড়ানোর জন্য তাঁরা সরকারের কাছ থেকে সদর্থক উদ্যোগের প্রত্যাশা করছেন।
অন্যদিকে, রেস্তোরাঁগুলির দাবি করেছে, লকডাউনের পর পুনরায় ব্যবসা চালু হওয়ার পরেও সব কিছু এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফলে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির সঙ্গে তাদের কমিশন নিয়েও সমস্যা রয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া এবং আগের মতো গ্রাহক না থাকাও সমস্যার অন্যতম কারণ।
কবে বাজেট?
আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে করোনা মহামারির জেরে এ বারের বাজেট অধিবেশনে বদল হচ্ছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যগত প্রথায়।
আরও পড়তে পারেন: ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু সংসদের প্রথম ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন
শিল্প-বাণিজ্য
মাত্র ৫০ হাজার বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারেন ৩০-৪০ হাজার টাকা, এই ব্যবসাটি শুরু করুন
ছোটো স্কেলে টি-শার্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: হাতের কাছে এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে, যেখানে স্বল্প বিনিয়োগেও নিয়মিত আয়ের সুযোগ রয়েছে। তেমনই একটা ব্যবসা ছোটো স্কেলে টি-শার্ট প্রিন্টিং।
আজকাল বাজারে প্রিন্টেড টি-শার্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। জন্মদিন হোক বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান, অনেকেই নিজের বন্ধুবান্ধবকে এই বিশেষ এই ধরনের উপহার দিতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া স্কুল, বিভিন্ন সংস্থা অথবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনেক সময় লোগো এবং ছবি-সহ টি শার্ট প্রিন্ট করা হয়। সামগ্রিক ভাবে এই ব্যবসাটিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
শুরুতে লাগবে ৫০-৭০ হাজার টাকা
খুব কম মূলধন দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। আপনি শুধুমাত্র ৫০-৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে টি-শার্ট প্রিন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। এর পরে যদি আপনি এই ব্যবসায় সফল হন, তা হলে আপনার বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর সুযোগও পেয়ে যেতে পারেন। বিনিয়োগের আকারের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বাড়তে পারে মাসিক আয়ের পরিমাণও।
এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মধ্যস্থতাকারীকে এড়াতে পারলে টি-শার্ট প্রিন্টে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লাভের মুখ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে নিজের পণ্য সরাসরি নিজেকেই বিক্রি করতে হবে।
এখন অনলাইনে বিক্রি সহজ
আজকাল মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটাই অভ্যস্ত। এটি আপনার পণ্যের বিপণনের জন্য একটি ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এই মাধ্যমটি কম ব্যয়বহুল এবং আপনাকে শুধু একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে বা এটি একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
অটোমেটিক মেশিনে উৎপাদন দ্বিগুণ
ধীরে ধীরে আপনি নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন। ব্যবসার এই বৃদ্ধির সময় আপনি একটি দামি মেশিনও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আরও ভালো মানের এবং আরও বেশি সংখ্যক টি-শার্ট প্রিন্ট করা সম্ভব। ম্যানুয়াল মেশিনের দাম সস্তা। যা দিয়ে একটা টি-শার্ট প্রিন্ট করতে প্রায় এক মিনিট সময় লাগে। তবে অটোমেটিক মেশিনে এই সংখ্যা দ্বিগুণ।
আরও পড়তে পারেন: হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
শিল্প-বাণিজ্য
২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু সংসদের প্রথম ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন
স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম সংসদের ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে করোনা মহামারির জেরে এ বারের বাজেট অধিবেশনে বদল হচ্ছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যগত প্রথায়।
এর আগেই কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি জানিয়েছেন, সংসদের বাজেট অধিবেশন দু’টি পর্যায়ের হবে অধিবেশন। প্রথমটি হবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয়টি হবে ৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সর্বদল বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন নির্মলা। এই অধিবেশনে সরকার সমস্ত রকমের আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
কাগজবিহীন বাজেট
তবে স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম কোনো পেপারলেস বা কাগজবিহীন অধিবেশন হতে চলেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে হার্ড কপিগুলির কোনো প্রিন্ট করা হবে না।
প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় বাজেট অর্থমন্ত্রকের নিজস্ব প্রেসে মুদ্রিত হয়। এই কাজের সঙ্গে মন্ত্রকের প্রায় শ’খানেক কর্মচারী জড়িত থাকেন। যাঁদের বাজেটের জন্য কাগজপত্র মুদ্রণ, সিল করা এবং বিতরণ করা পর্যন্ত প্রায় ১৫ দিনের জন্য একত্রে থাকতে হয়।
তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই ঐতিহ্যে এ বার প্রথম বারের জন্য ছেদ পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর পরিবর্তে বাজেটের সফট কপিগুলি ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এক নজরে এ বারের পরিবর্তন
*সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, কেন্দ্রীয় বাজেট এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষা-সহ বাজেটের যাবতীয় কাগজপত্র প্রিন্ট করা হবে না এবং সফট কপি সরবরাহ করা হবে।
*সংসদের সমস্ত সদস্যকে ওই সফট কপি দেওয়া হবে।


*কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ তৈরির সূচনায় হালুয়া অনুষ্ঠানের চল বেশ পুরনো। হালুয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বাজেট পেশের মূলপর্বের কাজ শুরু হয়। করোনার জন্য এ বার সেটা হবে না।
আরও পড়তে পারেন: প্রথম দিন ৩ লক্ষ! টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
-
রাজ্য2 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
রাজ্য3 days ago
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
দেশ3 days ago
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
-
দেশ3 days ago
মাত্র ১৮ শতাংশ ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারেন, ৩৬ শতাংশ কমিয়ে দেবেন ব্যবহার: সমীক্ষা