শিল্প-বাণিজ্য
সারা দেশে বাড়ল পেট্রোল, ডিজেলের দাম, কমল কলকাতায়!
দু’দিন পর আবার বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। তবে কলকাতায় কিছুটা কমল!

খবর অনলাইন ডেস্ক: মাঝে এক দিন থিতু হওয়ার পরে ফের পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ল রাজধানী দিল্লি-সহ অন্যত্র। তবে এ দিন জ্বালানি তেলের দাম কমেছে কলকাতায়।
কোথায় কত বাড়ল
মঙ্গলবার দেশের প্রায় সর্বত্রই বেড়েছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। দেখে নেওয়া যেতে পারে দেশের অন্যতম কয়েকটি শহরের মূল্যতালিকা।
এ দিন দিল্লিতে প্রতি লিটার পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩৫ পয়সা করে।
মুম্বইয়ে এ দিন লিটার পিছু পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৩৪ পয়সা এবং ৩৮ পয়সা।
বেঙ্গালুরুতে প্রতি লিটার পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩৭ পয়সা করে।
চেন্নাইয়ে প্রতি লিটার পেট্রোলে ৩১ পয়সা এবং ডিজেলে বেড়েছে ৩৩ পয়সা।
[আরও পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যে পেট্রোল, ডিজেলের দামে ছাড়! জানুন কোথায় কমল কত]
কলকাতায় কত?
গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতায় জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধিতে লাগাম পড়ে। রবিবার রাজ্য সরকার প্রতি লিটার পেট্রোল, ডিজেলে ১ টাকা করে শুল্ক হ্রাস করে। কলকাতায় শেষ তিন দিনের পেট্রোলের দাম দেখে নেওয়া যাক।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১: ৯১.৭৮ টাকা/লিটার
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১: ৯১.৭৮ টাকা/লিটার
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১: ৯১.১২ টাকা/লিটার
এ দিন কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোল দাম কমেছে ৬৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম কমেছে ৩৬ পয়সা।
এর আগের ১২ দিন লাগাতার বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। মাসের প্রথম দিন থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৪ টাকারও বেশি।
[আরও পড়তে পারেন: ভোটের মুখে বড়ো ঘোষণা! রবিবার মাঝরাত থেকেই পেট্রোল, ডিজেলে শুল্ক কমাচ্ছে রাজ্য সরকার]
শিল্প-বাণিজ্য
অবসর জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে চাইলে, ভবিষ্যতের পরিকল্পনাগুলি এ ভাবেই তৈরি করুন
যত তাড়াতাড়ি ভাবা যায়, ততই ভালো। দেখে নিন কয়েকটি সেরা বিকল্প।

খবর অনলাইন ডেস্ক: হেল্পেজ ইন্ডিয়া এবং ইউনাইটেড নেশন পপুলেশন ফান্ডের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যার ১২.৫ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি হতে পারে। ২০৫০ সালের মধ্যে, এই জনসংখ্যা আমাদের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
আবার এটাও বাস্তব সত্য যে ভারতে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিম্নমানের এবং মুদ্রাস্ফীতিও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অবসরকালীন জীবনের পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি। সব থেকে বড়ো কথা, নিজের ৬০ বছর বয়সের পর জীবন কেমন হবে, আপনাকে এখন থেকেই তা ভাবতে হবে।
যত তাড়াতাড়ি ভাবা যায়, ততই ভালো
অবসরকালীন জীবনের জন্য যত তাড়াতাড়া চিন্তাভাবনা শুরু করা যাবে, ততই ভালো। কারণ, কম বয়স থেকে অবসরকালীন প্রকল্পে সঞ্চয় করলে রিটার্নের পরিমাণও বেশি হবে। অর্থাৎ, ৪০ বছর বয়সের তুলনায় যদি ৩০ বছর বয়সেই এটা শুরু করে দেওয়া যায়, তা হলে ৬০ বছর বয়সের পর হাতে পাওয়া টাকার অঙ্কের পরিমাণ বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে মাথায় রাখতে হবে, বিনিয়োগ যেখানে করা হবে, সেটার নিশ্চয়তা কতটা?
এনপিএস এবং পিপিএফ সেরা বিকল্প
জাতীয় পেনশন প্রকল্প (NPS) এবং পিপিএফ (PPF) অবসর গ্রহণের সেরা বিকল্প হতে পারে। কারণ দু’টিই নিরাপদ। বিনিয়োগে ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যায় পিপিএফ-এ । পিপিএফ এবং এনপিএস রিটার্নের ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত। সুতরাং, অবসর গ্রহণের পরে আরও ভালো তহবিল তৈরির জন্য এই উভয় মাধ্যমের উপর নির্ভর করা উচিত।
ইপিএফের সঙ্গে ভিপিএফ
অবসরকালীন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে ইপিএফের (EPF) করা যেতে পারে ভিপিএফ (VPF)। পিপিএফ থেকে সর্বোচ্চ সুদ পাওয়া যায়। বছরে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগের উপর কর আয়কর ধার্য হয়।
মিউচুয়াল ফান্ড
এই সঞ্চয় প্রকল্পে টাকা রাখলে ন্যূনতম ঝুঁকি থেকেই যায়। ফলে বিনিয়োগের ব্যাপারে বিশদ চিন্তাভাবনা করা ভালো। কিন্তু বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখলে অন্যান্য মাধ্যমগুলির থেকে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। আবার এই প্রকল্পে বিনিয়োগের সঙ্গে যেহেতু সময়ের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, ফলে প্রবীণ বয়সে এসে লাভের পরিমাণ অনেকাংশে বেশি পাওয়া যায়।
যাঁরা ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন
এটা শুধুমাত্র প্রবীণ নাগরিকদের জন্য চালু করা সঞ্চয় প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী বয় বন্দনা যোজনা (PMVVY)-র তত্তাবধায়ক একমাত্র ভারতীয় জীবনবিমা নিগম। প্রকল্পের মেয়াদ ১০ বছর। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে বা একক ভাবে সর্বাধিক ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লগ্নি করতে পারেন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য প্রাথমিক ভাবে বার্ষিক ৭.৪০ শতাংশ রিটার্ন গ্যারান্টি যুক্ত হার অনুমোদিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে এই একই হার অনুমোদন করা হবে। এই প্রকল্পে টাকা রেখে ঋণও নেওয়া যায়। ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকবে লগ্নির অর্থ।
২০২০-র ৩১ মার্চের পরিবর্তে আরও তিন বছরের জন্য অর্থাৎ ২০২৩-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বয় বন্দনা যোজনার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: ৫ বছর বা তার বেশি মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিটে ৫.৪% সুদ দিচ্ছে এসবিআই, বিস্তারিত জানুন এখানে
শিল্প-বাণিজ্য
আবার এক ধাক্কা! এ বার সিএনজি এবং পিএনজির দাম বাড়ল দিল্লিতে
সিএনজি ৭০ পয়সা এবং পিএনজি গ্যাসে ৯১ পয়সা দাম বাড়ল।

নয়াদিল্লি: দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় এ বার বাড়ল সিএনজি (CNG) এবং পিএনজির (PNG) দাম। সিএনজি গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৭০ পয়সা এবং পিএনজি গ্যাসে ৯১ পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন হার মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
ইন্দ্রপ্রস্থ গ্যাস লিমিটেড (IGL) একটি বিবৃতিতে বলেছে, দিল্লিতে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসের দাম এখন প্রতি কেজি ৪৩.৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদে প্রতি কেজি সিএনজির দাম ৪৯.০৮ টাকা। দিল্লিতে পিএনজির নতুন দাম এখন প্রতি এসসিএম ২৮.৪১ টাকা।
উল্লেখ্য, সোমবার থেকে ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। এক মাসের মধ্যে চতুর্থ বার বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। ফেব্রুয়ারিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ১২৫ টাকা।
দিল্লিতে এখন ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮১৯ টাকা। এই বৃদ্ধি ভরতুকিকিযুক্ত এবং ভরতুকিবিহীন উভয় ধরনের সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
প্রসঙ্গত, সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস সংক্ষেপ সিএনজি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি রূপ। অন্যদিকে পিএনজি হল পাইপড ন্যাচারাল গ্যাস।
আরও পড়তে পারেন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার, রান্নার গ্যাসের দামে ফের পঁচিশ টাকা বৃদ্ধি
শিল্প-বাণিজ্য
বার্ষিক জিএসটি রিটার্ন দাখিলের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
নির্ধারিত তারিখটি আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ২০২০ অর্থবর্ষের বার্ষিক জিএসটি (GST) রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য শেষ তারিখ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই মেয়াদ বাড়িয়ে মার্চ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত করে দিল।
অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (CBIC) এ দিন জানিয়েছে, “এই সময়সীমার মধ্যে জিএসটি রিটার্ন জমা করতে করদাতারা যে সব সমস্যার কথা প্রকাশ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য জিএসটিআর-৯ এবং জিএসটিআর -৯সি দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখটি আরও বাড়িয়ে ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন”।
জিএসটিআর-৯ হল জিএসটি নথিভুক্ত করদাতাদের বার্ষিক রিটার্ন। এটি বিভিন্ন ট্যাক্স স্তরের অধীনে তৈরি বা প্রাপ্ত বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহ সম্পর্কিত বিবরণ নিয়ে গঠিত। জিএসটিআর -৯সি হল জিএসটিআর -৯ এবং বার্ষিক আর্থিক অডিট সমন্বিত একটি বিবৃতি।
অর্থাৎ, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে করদাতারা আর ৩১ দিন অতিরিক্ত সময় হাতে পেলেন। এই সময়ের মধ্যে জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার জন্য তাঁরা পর্যাপ্ত সময় পাবেন বলেই ধারণা করছেন কর বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়তে পারেন: মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
-
রাজ্য2 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ফুটবল2 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল
-
রাজ্য2 days ago
কলকাতায় তেজস্বী যাদব, হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ