শিল্প-বাণিজ্য
করোনা-আক্রান্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নরেন্দ্র মোদীর নয়া দাওয়াই

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সতর্কতায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শুরুতেই তিনি বলেন, মানব সভ্যতা এখন সংকটে। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। একই সঙ্গে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে অর্থনীতির সংকট কাটাতেও বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানান।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সীমান্ত সিল করে দেওয়া এবং বৈদেশিক পণ্য আমদানিতে নিয়ন্ত্রণের জেরে দেশে গুজব ছড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর আকাল দেখা দিতে পারে বলেও গুজব রটেছে দেশের প্রায় সর্বত্র। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মোদী বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগানে সর্বদা নজর রাখছে সরকার। আতঙ্কে বেশি কিছু মজুতের কোনো দরকার নেই”।
করোনা-আতঙ্ক দেশের অর্থনীতিকে বড়োসড়ো সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে এ দেশের শেয়ার বাজার থেকে কোটি কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ কার্যত উবে গিয়েছে। শেয়ার বাজারের অস্থির পরিস্থিতির সঙ্গেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বাজার থেকে ‘কালোবাজারি’র খবর পাওয়া যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বেআইনি মজুতের জেরে মূল্যবৃদ্ধির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। একই সঙ্গে মার খাচ্ছে দেশের পর্যটন শিল্প থেকে বিমান পরিবহণও।
নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ দিন স্বীকার করেন নেন, “এমন পরিস্থিতিতে এই মহামারীর প্রভাব সামগ্রিক অর্থনীতিতেও পড়তে বাধ্য”। তিনি জানান, “পরিস্থিতি নজরে রেখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্ব একটি করোনাভাইরাস অবস্থা মোকাবিলায় একটি ইকনোমিক রেসপন্স টাস্ক ফোর্স গঠন করছে। এই টাস্ক ফোর্স নিশ্চিত করবে, আর্থিক অবনতি মোকালবিলা করার জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব”।
আরও পড়ুন: ২২ মার্চ ‘জনতা কারফিউ’ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
তবে করোনাভাইরাসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এ দিন সে বিষয়ে বিশদে কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে আমেরিকা-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এহেন পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের হাল ধরে রাখতে কর লাঘবের পথে হেঁটেছে।
শিল্প-বাণিজ্য
Gold Price: করোনা সংকটের মাঝে আবারও কি ৫০ হাজার টাকার গণ্ডি টপকাতে পারবে সোনার দাম?
গত আগস্টে সোনার সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬,২০০ টাকা।


খবর অনলাইন ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আবারও বাড়ছে। এ দিকে, বিনিয়োগকারীদের প্রবণতা আবারও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচিত সোনার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। যে কারণে গত কয়েকদিনে সোনার দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। এর আগে সর্বোচ্চ চুড়ো থেকে সোনার দাম বেশ খানিকটা হ্রাস পাওয়ার পরে ফের তা বাড়ছে। স্বাভাবিক ভাবেই যে প্রশ্নটি উঠে আসছে, তা হল- প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম আবারও কি ৫০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করবে?
ধারাবাহিক ভাবে হ্রাসের পরে, সোনার দাম ফের পাঁচ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং দেশে, সোনাকে আবারও এমনকী প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৬-৪৭ হাজার টাকাতে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অনেকগুলি বিষয় সোনার দামের উত্থানে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। যেগুলি আগামী দিনে সোনার দামকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করে তুলতে পারে।
গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি নিয়ে চরম উদ্বেগ ছিল। বিশ্বের একাধিক দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। তবে তার পরেও সোনার আভা ম্লান হয়নি এবং সোনার দাম আকাশ ছুতে থাকে। এখন আবারও করোনা সংক্রমণের হার নতুন করে বাড়ছে। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা আবার সোনার দিকে ঝুঁকছেন। সোনা আবারও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হয়ে উঠছে।
আন্তর্জাতিক ভাবে, এক আউন্স সোনার দাম এখন ১,৭৫০ ডলার। অর্থাৎ, বেশ শক্তিশালী জায়গাতেই রয়েছে সোনার দাম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীঘ্রই আউন্স প্রতি ১,৭৮০ থেকে ১,৮০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দেশীয় বাজারেও প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ফের ৫০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে সোনার সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬,২০০ টাকা।
আরও পড়তে পারেন: পোস্ট অফিসের এই ৪টি সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ নিরাপদ, ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি রিটার্ন
গাড়ি ও বাইক
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?
বুকিং পুনরায় শুরু করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দ্রুতগতিতে স্টক নি:শেষিত হয়ে যায়।


খবর অনলাইন ডেস্ক: বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে বাজাজ অটোর (Bajaj Auto) চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের (Chetak electric scooter)। সংস্থা জানিয়েছে, বুকিং পুনরায় শুরু করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দ্রুতগতিতে স্টক নি:শেষিত হয়ে যায়। ফলে বুকিং বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তবে আগ্রহী ক্রেতাদের উদ্দেশে জানানো হয়েছে, স্কুটারটির উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থা।
১৩ এপ্রিল সকাল ৯টার সময় অনলাইনে বুকিং শুরু হয় চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে, ওয়েবসাইটে এখনও ইলেকট্রিক স্কুটারের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গেলেও স্পষ্ট ভাবে দাবি করা হচ্ছে, আপাতত বুকিং বন্ধ রয়েছে।
ক্রেতাদের প্রশ্নের জবাবে বাজাজ অটো লিমিটেডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রাকেশ শর্মা জানিয়েছেন, আমরা জানি গ্রাহকরা শুরুতেই চেতক কিনতে চান। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁরা এই ইলেকট্রিক স্কুটারে চড়তে পারেন, সেই চেষ্টাই করছেন অনেকে। তবে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বুকিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সাপ্লাই চেনের সমস্যাগুলি খুব শীঘ্রই সমাধান করার, বুকিং পুনরায় খোলার পাশাপাশি পরবর্তী ত্রৈমাসিকের মধ্যে আরও বেশি শহরে চেতক সরবরাহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, “পুনে এবং বেঙ্গালুরুতে চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের জন্য বুকিং পুনরায় খোলার বিষয়ে দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৫ বছর পরে গত ২০২০ সালে নতুন রূপে চেতক বাজারে নিয়ে এসেছে বাজাজ। দু’টি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে নতুন এই ইলেকট্রিক স্কুটার। আরবান মোডের দাম ১,২২,০০ (এক্স-শোরুম) এবং প্রিমিয়ামের জন্য লাগছে ১,২৬,০০০ (এক্স-শোরুম)।
আরও পড়তে পারেন: বাজারে এল বাজাজের ইলেকট্রিক স্কুটার ‘চেতক’
শিল্প-বাণিজ্য
পেট্রোল, ডিজেলের পর এ বার দাম বাড়ল রাসায়নিক সারের, ডিএপি-তে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি
ব্যয় বাড়ছে কৃষি কাজে, সংকটে কৃষকরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সুরাহা মিলবে কি?


খবর অনলাইন ডেস্ক: পেট্রোল, ডিজলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরে এখন রাসায়নিক সারের দামবৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা।
দেশের বৃহত্তম রাসায়নিক সার বিক্রেতা সংস্থা ইন্ডিয়ান ফার্মার্স ফার্টিলাইজার কো-অপারটিভ (IFFCO) ইউরিয়ার পরে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (DAP)-র ৫০ কেজির বস্তার দাম ১,২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৯০০ টাকা করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই সারের দামে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।
তবে ইফকো শুধু যে পটাশের দাম বাড়িয়েছে, তেমনটা নয়। এনপিকেএস (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার) সমৃদ্ধ সমস্ত রাসায়নিকের দাম-ও বাড়ানো হয়েছে।
ইফকো সূত্রে খবর, ডিএপি তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ফসফোরিক অ্যাসিড এবং রক ফসফেটের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই রাসায়নিক সারের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশে এই উপাদানের সরবরাহ যথেষ্ট কম। ফলে বাইরে থেকে এ ধরনের উপাদান আমদানি করতে হয়।
এর ফলস্বরূপ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাসায়নিকের দাম বাড়ার অর্থ কৃষিক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধি। যার ফলে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও একপ্রকার নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বৃদ্ধির মাধ্যমেই কৃষকদের সংকট থেকে সুরাহা দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড টিকাকরণ অভিযানে গতি আনতে সদর দফতরের একাংশ ছেড়ে দিচ্ছে Facebook
-
রাজ্য6 hours ago
Bengal Polls Live: ৪টে পর্যন্ত ভোট পড়ল প্রায় ৭০ শতাংশ
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?
-
রাজ্য1 day ago
Coronavirus Second Wave: আজ কমিশনের ডাকে সর্বদলীয় বৈঠক, ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আশায় রাজ্যবাসী
-
দেশ1 day ago
Delhi Riots 2020: পুলিশি তদন্তে অসঙ্গতি, জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের জামিন