শিল্প-বাণিজ্য
এসবিআই এটিএমে টাকা তোলার নিয়ম বদলে গেল
চার্জবিহীন অসীম লেদদেনের সিদ্ধান্তটি ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর ছিল। ফিরল পুরনো নিয়ম…

ওয়েবডেস্ক: এসবিআই (SBI) এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়ম ফিরল মার্চ মাসে!
করোনাভাইরাস লকডাউনে গ্রাহককে স্বস্তি দিয়ে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ৩০ জুন পর্যন্ত যতবার প্রয়োজন ততবার এটিএম (ATM) লেনদেনে ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সীমার বেশি এটিএম লেনদেনে ফের সেই পুরনো নিয়মই ফিরে এল।
কী বলল এসবিআই?
গত ২৪ মার্চ, ২০২০ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাটি বিবেচনায় রেখে নিজের ব্যাঙ্কে অথবা অন্য কোনো ব্যাঙ্কে গ্রাহকের চার্জবিহীন এটিএম লেনদেনের সংখ্যার উপর থেকে নির্ধারিত সীমার শর্ত তুলে নেওয়া হয়। তবে ওই চার্জবিহীন অসীম লেদদেনের সিদ্ধান্তটি ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
এসবিআইয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আপনি যদি এসবিআই গ্রাহক হন, তা হলে ১ জুলাই থেকে টাকা তোলার সীমা এবং এটিএম লেনদেনের পুরনো নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বদলে যাওয়া নিয়ম
২৫ হাজার পর্যন্ত অ্যাভারেজ মান্থলি ব্যালেন্সের গ্রাহকরা নিজের ব্যাঙ্কে পাঁচটি এবং অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে তিনটি বিনা চার্জের লেনদেন করতে পারবেন। এই নিয়ম নয়াদিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর মতো মেট্রো শহরের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ, এই মেট্রো শহরগুলিতে মাসে আটটি চার্জবিহীন লেনদেন করতে পারবেন ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অ্যাভারেজ মান্থলি ব্যালেন্সের গ্রাহকরা।
অন্যান্য জায়গায় নিজের ব্যাঙ্কে পাঁচটি এবং অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে পাঁচটি মিলিয়ে মাসে ১০টি চার্জবিহীন লেনদেন করতে পারবেন।
২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অ্যাভারেজ মান্থলি ব্যালেন্সের গ্রাহকরা নিজের ব্যাঙ্কের এটিএমে যতবার প্রয়োজন লেনদেন করতে পারবেন। অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে মেট্রো শহরে চার্জবিহীন লেনদেনের সংখ্যা তিনটি। অন্যান্য জায়গায় সংখ্যাটি পাঁচ।
১ লক্ষ টাকার উপরে অ্যাভারেজ মান্থলি ব্যালেন্সের গ্রাহকরা নিজের অথবা অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে অসীম লেনদেনের সুযোগ পাবেন।
সীমা পার হলে কী হবে?
ব্যাঙ্ক ওয়েবসাইটের ঘোষণা অনুযায়ী, উপরোক্ত লেনদেনের সীমা পার হলে এসবিআই গ্রাহককে নিজের ব্যাঙ্কে অতিরিক্ত একটি আর্থিক লেনদেনের জন্য ১০ টাকা (সঙ্গে জিএসটি) এবং অন্য ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে প্রতিটি অতিরিক্ত লেনদেনের জন্য ২০ টাকা (সঙ্গে জিএসটি) দিতে হবে।
আর্থিক নয়, এমন লেনদেনের জন্য এই চার্জ নিজের ব্যাঙ্কের এটিএমে ৫ টাকা (সঙ্গে জিএসটি) এবং অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম ৮ টাকা (সঙ্গে জিএসটি) দিতে হবে।
এই জিএসটির হার ১৮ শতাংশ।
শিল্প-বাণিজ্য
মাত্র ৫০ হাজার বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারেন ৩০-৪০ হাজার টাকা, এই ব্যবসাটি শুরু করুন
ছোটো স্কেলে টি-শার্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: হাতের কাছে এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে, যেখানে স্বল্প বিনিয়োগেও নিয়মিত আয়ের সুযোগ রয়েছে। তেমনই একটা ব্যবসা ছোটো স্কেলে টি-শার্ট প্রিন্টিং।
আজকাল বাজারে প্রিন্টেড টি-শার্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। জন্মদিন হোক বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান, অনেকেই নিজের বন্ধুবান্ধবকে এই বিশেষ এই ধরনের উপহার দিতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া স্কুল, বিভিন্ন সংস্থা অথবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনেক সময় লোগো এবং ছবি-সহ টি শার্ট প্রিন্ট করা হয়। সামগ্রিক ভাবে এই ব্যবসাটিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
শুরুতে লাগবে ৫০-৭০ হাজার টাকা
খুব কম মূলধন দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। আপনি শুধুমাত্র ৫০-৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে টি-শার্ট প্রিন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। এর পরে যদি আপনি এই ব্যবসায় সফল হন, তা হলে আপনার বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর সুযোগও পেয়ে যেতে পারেন। বিনিয়োগের আকারের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বাড়তে পারে মাসিক আয়ের পরিমাণও।
এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মধ্যস্থতাকারীকে এড়াতে পারলে টি-শার্ট প্রিন্টে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লাভের মুখ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে নিজের পণ্য সরাসরি নিজেকেই বিক্রি করতে হবে।
এখন অনলাইনে বিক্রি সহজ
আজকাল মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটাই অভ্যস্ত। এটি আপনার পণ্যের বিপণনের জন্য একটি ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এই মাধ্যমটি কম ব্যয়বহুল এবং আপনাকে শুধু একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে বা এটি একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
অটোমেটিক মেশিনে উৎপাদন দ্বিগুণ
ধীরে ধীরে আপনি নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন। ব্যবসার এই বৃদ্ধির সময় আপনি একটি দামি মেশিনও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আরও ভালো মানের এবং আরও বেশি সংখ্যক টি-শার্ট প্রিন্ট করা সম্ভব। ম্যানুয়াল মেশিনের দাম সস্তা। যা দিয়ে একটা টি-শার্ট প্রিন্ট করতে প্রায় এক মিনিট সময় লাগে। তবে অটোমেটিক মেশিনে এই সংখ্যা দ্বিগুণ।
আরও পড়তে পারেন: হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
শিল্প-বাণিজ্য
২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু সংসদের প্রথম ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন
স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম সংসদের ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে করোনা মহামারির জেরে এ বারের বাজেট অধিবেশনে বদল হচ্ছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যগত প্রথায়।
এর আগেই কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি জানিয়েছেন, সংসদের বাজেট অধিবেশন দু’টি পর্যায়ের হবে অধিবেশন। প্রথমটি হবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয়টি হবে ৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সর্বদল বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন নির্মলা। এই অধিবেশনে সরকার সমস্ত রকমের আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
কাগজবিহীন বাজেট
তবে স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম কোনো পেপারলেস বা কাগজবিহীন অধিবেশন হতে চলেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে হার্ড কপিগুলির কোনো প্রিন্ট করা হবে না।
প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় বাজেট অর্থমন্ত্রকের নিজস্ব প্রেসে মুদ্রিত হয়। এই কাজের সঙ্গে মন্ত্রকের প্রায় শ’খানেক কর্মচারী জড়িত থাকেন। যাঁদের বাজেটের জন্য কাগজপত্র মুদ্রণ, সিল করা এবং বিতরণ করা পর্যন্ত প্রায় ১৫ দিনের জন্য একত্রে থাকতে হয়।
তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই ঐতিহ্যে এ বার প্রথম বারের জন্য ছেদ পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর পরিবর্তে বাজেটের সফট কপিগুলি ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এক নজরে এ বারের পরিবর্তন
*সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, কেন্দ্রীয় বাজেট এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষা-সহ বাজেটের যাবতীয় কাগজপত্র প্রিন্ট করা হবে না এবং সফট কপি সরবরাহ করা হবে।
*সংসদের সমস্ত সদস্যকে ওই সফট কপি দেওয়া হবে।


*কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ তৈরির সূচনায় হালুয়া অনুষ্ঠানের চল বেশ পুরনো। হালুয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বাজেট পেশের মূলপর্বের কাজ শুরু হয়। করোনার জন্য এ বার সেটা হবে না।
আরও পড়তে পারেন: প্রথম দিন ৩ লক্ষ! টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শিল্প-বাণিজ্য
আয়কর বিভাগকে কালো টাকা হদিশ দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ
কোথায়, কী ভাবে আবেদন জানাবেন?

খবর অনলাইন ডেস্ক: তথ্য প্রদানকারীদের জন্য নতুন একটি অনলাইন সুবিধা চালু করেছে আয়কর বিভাগ। যেখানে কালো টাকা, বেনামি লেনদেন, সম্পত্তি বা কর ফাঁকির মতো বিষয় সরাসরি সরকারকে জানানো যাবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ কর বিভাগ বা সিবিডিটি নতুন এই সুবিধা চালু করেছে।
কোথায় জানাবেন?

সংস্থার ই-ফাইলিং পোর্টাল https://www.incometaxindiaefiling.gov.in-এ গিয়ে “কর ফাঁকি বা বেনামি সম্পত্তির তথ্য” জানানো যাবে।
কী ভাবে জানাবেন?

বলা হয়েছে, যাঁদের প্যান অথবা আধার নম্বর রয়েছে, তাঁরা যেমন অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন, তেমনই যাঁদের কাছে এগুলি নেই তাঁরাও এই সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ, প্রত্যেকেই নিজের অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। ওটিপি -ভিত্তিক এই প্রক্রিয়ায় আয়কর আইন,১৯৬১-র অধীনে হিসেব বহির্ভূত টাকা মজুতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। একই সঙ্গে ভিন্ন ফরম্যাটে বেনামি লেনদেন সম্পর্কেও অভিযোগ জানানো সম্ভব।
অভিযোগ দায়েরের পরে প্রতিটি অভিযোগের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া হবে। অভিযোগকারী ওয়েবলিঙ্কে নিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থার পদক্ষেপের আপডেট সহজেই দেখে নিতে পারবেন।
আর্থিক পুরস্কারের ধরন

এই উদ্যোগেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তথ্য প্রদানের জন্য পুরস্কার। বেনামি সম্পত্তির হদিশ দেওয়ার জন্য এক কোটি টাকা পর্যন্ত এবং কর ফাঁকি দেওয়া বিদেশে কালো টাকার হদিশ দিলে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক পুরস্কার জেতা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিডিটি বলেছে, বেনামি লেনদেন এব সম্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য জানানোর লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতেই এই সুবিধা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: ৪টি শ্রমবিধি কার্যকরে মরিয়া কেন্দ্র
-
রাজ্য6 hours ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ1 day ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
কলকাতা2 days ago
অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা, বাগবাজারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়