শিল্প-বাণিজ্য
এসবিআই এটিএমে টাকা তোলার নিয়ম বদলে গেল! দেখে নিন ওটিপি-ভিত্তিক পদ্ধতির খুঁটিনাটি বিষয়
এসবিআই এটিএম থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি তুলতে গেলে সঙ্গে রাখতে হবে মোবাইল

খবর অনলাইন ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI) নিজের এটিএম থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি নগদ তোলার নিয়মে বদল নিয়ে এল।
এমনিতে এসবিআই এটিএম (ATM) থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি নগদ তুলতে গেলে গ্রাহককে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি (OTP)-ভিত্তিক পরিষেবা নিতে হয়। তবে ওই পরিষেবা এত দিন শুধুমাত্র সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্তই পাওয়া যেত। একটি বিজ্ঞপ্তিতে এসবিআই জানিয়েছে, ওই পরিষেবা এ বার দিনের ২৪ ঘণ্টাই নিতে পারেন কোনো গ্রাহক। যা শুরু হল ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে।
নতুন নিয়ম
১৫ সেপ্টেম্বর জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য গ্রাহকদের জালিয়াতি থেকে রক্ষা করা এবং অননুমোদিত লেনদেন হ্রাস করা।
এসবিআই বলেছে, “১০ হাজার টাকা বা তার বেশি নগদ তোলার জন্য এসবিআইয়ের ডেবিট কার্ডধারীদের এখন প্রতিবার তাঁদের ডেবিট কার্ড পিনের সঙ্গেই নিজের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে পাওয়া ওটিপি দিতে হবে”।
ফলে গ্রাহকরা যেন দ্রুত নিজের সঠিক মোবাইল নম্বরটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নথিভুক্ত করিয়ে নেন।
কী ভাবে পাওয়া যাবে সুবিধা?
কোনো গ্রাহক টাকা তুলতে গিয়ে টাকার পরিমাণ লেখার পরই এটিএম স্ক্রিন জানতে চাইবে তিনি নিজের মোবাইলে ওটিপি পেতে ইচ্ছুক কি না? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে মোবাইলে চলে আসবে ওই ওটিপি।
মনে রাখতে হবে, এই পরিষেবা এসবিআই গ্রাহকরা শুধুমাত্র এসবিআই এটিএমেই পাবেন। অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে গ্রাহক শুধুমাত্র ১০ হাজার টাকা পর্যন্তই নগদ তুলতে পারবেন।
কেন নিয়ম বদল?
এটিএম থেকে ২৪X৭ ওটিপি-ভিত্তিক নগদ তোলার পদ্ধতি চালু করার মূল লক্ষ্য গ্রাহকদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করা। এর ফলে এটিএম জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে।
আগে এই পরিষেবা মাত্র ১২ ঘণ্টার জন্য পাওয়া গেলেও তার মেয়াদ বাড়ানোয় এক দিকে যেমন দিনের যে কোনো সময় গ্রাহক এই পরিষেবা পাবেন, তেমনই কার্ড স্কিমিং, কার্ড ক্লোনিং থেকে সুরক্ষিত থাকবেন তাঁরা।
ব্যালেন্স এসএমএস
এসবিআই সম্প্রতি এই নতুন পরিষেবাটি চালু করেছে। কোনো গ্রাহক যখনই এটিএমে গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স পরীক্ষা করবেন, তখনই তিনি মোবাইলে একটি এসএমএস পাবেন।
আরও পড়তে পারেন: এসবিআই গ্রাহকরা কী ভাবে নিজেই ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন?
শিল্প-বাণিজ্য
বার্ষিক জিএসটি রিটার্ন দাখিলের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
নির্ধারিত তারিখটি আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ২০২০ অর্থবর্ষের বার্ষিক জিএসটি (GST) রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য শেষ তারিখ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই মেয়াদ বাড়িয়ে মার্চ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত করে দিল।
অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (CBIC) এ দিন জানিয়েছে, “এই সময়সীমার মধ্যে জিএসটি রিটার্ন জমা করতে করদাতারা যে সব সমস্যার কথা প্রকাশ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য জিএসটিআর-৯ এবং জিএসটিআর -৯সি দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখটি আরও বাড়িয়ে ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন”।
জিএসটিআর-৯ হল জিএসটি নথিভুক্ত করদাতাদের বার্ষিক রিটার্ন। এটি বিভিন্ন ট্যাক্স স্তরের অধীনে তৈরি বা প্রাপ্ত বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহ সম্পর্কিত বিবরণ নিয়ে গঠিত। জিএসটিআর -৯সি হল জিএসটিআর -৯ এবং বার্ষিক আর্থিক অডিট সমন্বিত একটি বিবৃতি।
অর্থাৎ, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে করদাতারা আর ৩১ দিন অতিরিক্ত সময় হাতে পেলেন। এই সময়ের মধ্যে জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার জন্য তাঁরা পর্যাপ্ত সময় পাবেন বলেই ধারণা করছেন কর বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়তে পারেন: মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
শিল্প-বাণিজ্য
মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
রাশিয়া, কাতার এবং কুয়েতের মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে উৎপাদন বাড়াতে চাপ তৈরি করছে ভারত।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বেলাগাম পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসে লাগাম পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম কমতে পারেন।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া, কাতার এবং কুয়েতের মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে উৎপাদন বাড়াতে চাপ তৈরি করছে ভারত। যাতে ব্যারেল প্রতি জ্বালানি আমদানির ব্যয় কমবে। ফলস্বরূপ খুচরো জ্বালানির দামও কমে যেতে পারে।
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে খুচরো বাজারেও দাম বেড়েছে। করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন সরবরাহও কমানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “তেল সরবরাহকারী দেশগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সরবরাহের পরিমাণ আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এশিয়ার সমস্ত দেশ একই সঙ্গে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, কিছু একটা ফারাক আসতে চলেছে”।
মন্ত্রী দাবি করেন, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন। তাদের তেলের উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে, যাতে জ্বালানির দাম কমানো যায়। তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম কবে কমবে, তা আন্দাজ করা যায় না। “তবে রান্নার গ্যাস, ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে হ্রাস পেতে পারে”।
আরও পড়তে পারেন: পেট্রোল ও ডিজেলের দামে কী ভাবে পড়বে লাগাম, সরকারকে বিশেষ পরামর্শ আরবিআই গভর্নরের
শিল্প-বাণিজ্য
বেড়েছে রাজস্ব ঘাটতি, জানুয়ারির শেষে পৌঁছেছে ১২.২৩ লক্ষ কোটি টাকায়
আর্থিক ঘাটতি কাটাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। তবে সরকারের আয় কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে!

খবর অনলাইন ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের কারণে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ হ্রাস পাওয়ায় সরকারের আয়ের পরিমাণও এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। যে কারণে সরকারের আর্থিক ঘাটতিও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অৰ্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সরকারকে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে। বর্তমানে সরকারের আয় হ্রাস পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই আর্থিক ঘাটতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজকোষে ঘাটতি ১২ লক্ষ কোটির উপর
পিটিআই-এরএকটি খবরে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) শেষ নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ঘাটতি ১২.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছেছে। এটি সংশোধিত বাজেটের মূল্যায়নের প্রায় ৬৬.৮ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে, জানুয়ারির শেষদিকে, আর্থিক ঘাটতি সংশোধিত মূল্যায়নের ১২৮.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। শুক্রবার কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টস (সিজিএ) এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
সিজিএ-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শেষ দিকে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে, আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৯.৫শতাংশ বা প্রায় ১৮.৪৮ লক্ষ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত আর্থিক ঘাটতি ছিল ১২,৩৫,০০৪ কোটি টাকা।
করোনার জেরে লকডাউনের ধাক্কা অর্থনীতিতে
গত বছরের মার্চ মাস থেকে দেশ জুড়ে জারি হয় লকডাউন। যার জেরে এক দিকে যেমন উৎপাদন চরম ভাবে ব্যাহত হয়, তেমনই সরকারের আয় এক লপ্তে কমে যায় নজিরবিহীন ভাবে।
ব্যয় এবং রাজস্ব আয়ের মধ্যে পার্থক্য বা আর্থিক ঘাটতি গত বছরের জুলাই মাসেই চওড়া আকার ধারণ করে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে সরকার ১২.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পেরেছে, যা সংশোধিত মূল্যায়নের প্রায় ৮০ শতাংশ। কর আয় হয়েছে ১১.০১ লক্ষ কোটি টাকা।
আরও পড়তে পারেন: আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
রাজ্য2 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ভ্রমণের খবর2 days ago
দোলেই ভোট! পর্যটন ব্যবসায়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় হতাশ রাঢ়বঙ্গ
-
ফুটবল2 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল