শিল্প-বাণিজ্য
সস্তা হচ্ছে এসবিআই গৃহঋণ
গৃহঋণের সুদের হারে ২৫ বিপিএস ছাড় পাবেন গ্রাহকরা।

খবর অনলাইন ডেস্ক: গৃহঋণের (home loan) সুদে ২৫ বেসিস পয়েন্ট (bps) পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা করল দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI)।
বুধবার এসবিআই ঘোষণা করে, ৭৫ লক্ষ টাকার উপর গৃহঋণের সুদের হারে ২৫ বিপিএস ছাড় পাবেন গ্রাহকরা। তবে এর জন্য ব্যাঙ্কের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ইয়নো (YONO)-র মাধ্যমে আবেদনকারীর সিবিল স্কোর (CIBIL score)-এর উপর ভিত্তি করেই উপযুক্ত গ্রাহকরা এই ছাড় পেতে পারেন।
উৎসবকালীন অফারে বেশ কয়েকটি সুযোগ ঘোষণা করেছে এসবিআই। ৩০ লক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত গৃহঋণের ক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোর (credit score) ভিত্তিক ছাড়ের পরিমাণ ১০ বিপিএস থেকে বাড়িয়ে ২০ বিপিএস করা হয়েছে।
এই একই সুবিধার আওতায় দেশের আটটি মেট্রো শহরের গ্রাহকদের জন্য ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত গৃহঋণের উপর আরও ৫ বিপিএস ছাড় ঘোষণা করেছে ব্যাঙ্ক। এই অতিরিক্ত ৫ বিপিএস ছাড়ের সুযোগ শুধুমাত্র ইয়নো-র মাধ্যমে গৃহঋণের আবেদনের ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
এসবিআই জানিয়েছে, অফারের আওতায় কোনো গ্রাহক ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬.৯০ শতাংশ এবং ৩০ লক্ষ টাকার উপর গৃহঋণের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদের হারে ঋণ নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, উৎসবকালীন অফারে গত মাসে খুচরো ঋণগ্রহীতাদের জন্য প্রসেসিং ফি-এর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মকুবের ঘোষণা করে এসবিআই। তবে সে ক্ষেত্রে গ্রাহককে গাড়ি, সোনা অথবা ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার আবেদন জানানোর জন্য ইয়নো ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়তে পারেন: যে কোনো ঠিকানাতেই মিলবে এসবিআই চেকবুক, আবেদন জানাবেন কী ভাবে?
শিল্প-বাণিজ্য
বাজেট ২০২১: ফুড ডেলিভারিতে জিএসটি কমানোর দাবি
জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি।

খবর অনলাইন ডেস্ক: খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) হ্রাসের দাবি তুলল রেস্তোঁরা ও ফুড ডেলিভারি (food delivery) সংস্থাগুলি। বর্তমানে এই করের হার ১৮ শতাংশ। তারা দাবি করেছে, এখন ৩০০ কোটি টাকার জোগান দিতে সেই করের হার পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, বাড়িতে অথবা নিজের অফিসে খাবার আনাতে গ্রাহকদের বাড়তি ১৩ শতাংশ দাম দিতে হয়। অথচ, যাঁরা রেস্তোঁরায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই করের হার পাঁচ শতাংশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে ফুজা ফুড-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভারতে অনলাইনে খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রটি এখন লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে এই বাজারের মূল্য প্রায় ২৯৪ কোটি টাকা। সিএজিআর-এ বৃদ্ধি ঘটছে ২২ শতাংশ। তবে জিএসটি-র কারণে উদ্ভূত করের জটিলতা এই বৃদ্ধিতে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে”।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে ফুড ডেলিভারির উপর ১৮ শতাংশ হারে উচ্চ জিএসটি এবং রেস্তোঁরার ক্ষেত্রে এ ধরনের জিএসটি বৃদ্ধির ফলে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। জিএসটি হ্রাস করলে খাবার আরও সাশ্রয়ী হবে। উলটো দিকে বাড়বে কর্মসংস্থান। ফলে ফুড ডেলিভারি ক্ষেত্রটিকে বহরে বাড়ানোর জন্য তাঁরা সরকারের কাছ থেকে সদর্থক উদ্যোগের প্রত্যাশা করছেন।
অন্যদিকে, রেস্তোরাঁগুলির দাবি করেছে, লকডাউনের পর পুনরায় ব্যবসা চালু হওয়ার পরেও সব কিছু এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফলে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির সঙ্গে তাদের কমিশন নিয়েও সমস্যা রয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া এবং আগের মতো গ্রাহক না থাকাও সমস্যার অন্যতম কারণ।
কবে বাজেট?
আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে করোনা মহামারির জেরে এ বারের বাজেট অধিবেশনে বদল হচ্ছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যগত প্রথায়।
আরও পড়তে পারেন: ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু সংসদের প্রথম ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন
শিল্প-বাণিজ্য
মাত্র ৫০ হাজার বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারেন ৩০-৪০ হাজার টাকা, এই ব্যবসাটি শুরু করুন
ছোটো স্কেলে টি-শার্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: হাতের কাছে এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে, যেখানে স্বল্প বিনিয়োগেও নিয়মিত আয়ের সুযোগ রয়েছে। তেমনই একটা ব্যবসা ছোটো স্কেলে টি-শার্ট প্রিন্টিং।
আজকাল বাজারে প্রিন্টেড টি-শার্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। জন্মদিন হোক বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান, অনেকেই নিজের বন্ধুবান্ধবকে এই বিশেষ এই ধরনের উপহার দিতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া স্কুল, বিভিন্ন সংস্থা অথবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনেক সময় লোগো এবং ছবি-সহ টি শার্ট প্রিন্ট করা হয়। সামগ্রিক ভাবে এই ব্যবসাটিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
শুরুতে লাগবে ৫০-৭০ হাজার টাকা
খুব কম মূলধন দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। আপনি শুধুমাত্র ৫০-৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে টি-শার্ট প্রিন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। এর পরে যদি আপনি এই ব্যবসায় সফল হন, তা হলে আপনার বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর সুযোগও পেয়ে যেতে পারেন। বিনিয়োগের আকারের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বাড়তে পারে মাসিক আয়ের পরিমাণও।
এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মধ্যস্থতাকারীকে এড়াতে পারলে টি-শার্ট প্রিন্টে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লাভের মুখ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে নিজের পণ্য সরাসরি নিজেকেই বিক্রি করতে হবে।
এখন অনলাইনে বিক্রি সহজ
আজকাল মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটাই অভ্যস্ত। এটি আপনার পণ্যের বিপণনের জন্য একটি ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এই মাধ্যমটি কম ব্যয়বহুল এবং আপনাকে শুধু একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে বা এটি একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
অটোমেটিক মেশিনে উৎপাদন দ্বিগুণ
ধীরে ধীরে আপনি নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন। ব্যবসার এই বৃদ্ধির সময় আপনি একটি দামি মেশিনও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আরও ভালো মানের এবং আরও বেশি সংখ্যক টি-শার্ট প্রিন্ট করা সম্ভব। ম্যানুয়াল মেশিনের দাম সস্তা। যা দিয়ে একটা টি-শার্ট প্রিন্ট করতে প্রায় এক মিনিট সময় লাগে। তবে অটোমেটিক মেশিনে এই সংখ্যা দ্বিগুণ।
আরও পড়তে পারেন: হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
শিল্প-বাণিজ্য
২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু সংসদের প্রথম ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন
স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম সংসদের ‘কাগজবিহীন’ বাজেট অধিবেশন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে করোনা মহামারির জেরে এ বারের বাজেট অধিবেশনে বদল হচ্ছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যগত প্রথায়।
এর আগেই কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি জানিয়েছেন, সংসদের বাজেট অধিবেশন দু’টি পর্যায়ের হবে অধিবেশন। প্রথমটি হবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয়টি হবে ৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সর্বদল বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন নির্মলা। এই অধিবেশনে সরকার সমস্ত রকমের আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
কাগজবিহীন বাজেট
তবে স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম কোনো পেপারলেস বা কাগজবিহীন অধিবেশন হতে চলেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে হার্ড কপিগুলির কোনো প্রিন্ট করা হবে না।
প্রতিবছরই কেন্দ্রীয় বাজেট অর্থমন্ত্রকের নিজস্ব প্রেসে মুদ্রিত হয়। এই কাজের সঙ্গে মন্ত্রকের প্রায় শ’খানেক কর্মচারী জড়িত থাকেন। যাঁদের বাজেটের জন্য কাগজপত্র মুদ্রণ, সিল করা এবং বিতরণ করা পর্যন্ত প্রায় ১৫ দিনের জন্য একত্রে থাকতে হয়।
তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই ঐতিহ্যে এ বার প্রথম বারের জন্য ছেদ পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর পরিবর্তে বাজেটের সফট কপিগুলি ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এক নজরে এ বারের পরিবর্তন
*সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, কেন্দ্রীয় বাজেট এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষা-সহ বাজেটের যাবতীয় কাগজপত্র প্রিন্ট করা হবে না এবং সফট কপি সরবরাহ করা হবে।
*সংসদের সমস্ত সদস্যকে ওই সফট কপি দেওয়া হবে।


*কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ তৈরির সূচনায় হালুয়া অনুষ্ঠানের চল বেশ পুরনো। হালুয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বাজেট পেশের মূলপর্বের কাজ শুরু হয়। করোনার জন্য এ বার সেটা হবে না।
আরও পড়তে পারেন: প্রথম দিন ৩ লক্ষ! টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
ক্রিকেট3 days ago
অভিষেকে লড়াকু নটরাজন, সুন্দর, অস্ট্রেলিয়া ২৭৪