শিল্প-বাণিজ্য
মাত্র ৫০ হাজার বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারেন ৩০-৪০ হাজার টাকা, এই ব্যবসাটি শুরু করুন
ছোটো স্কেলে টি-শার্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: হাতের কাছে এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে, যেখানে স্বল্প বিনিয়োগেও নিয়মিত আয়ের সুযোগ রয়েছে। তেমনই একটা ব্যবসা ছোটো স্কেলে টি-শার্ট প্রিন্টিং।
আজকাল বাজারে প্রিন্টেড টি-শার্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। জন্মদিন হোক বা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান, অনেকেই নিজের বন্ধুবান্ধবকে এই বিশেষ এই ধরনের উপহার দিতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া স্কুল, বিভিন্ন সংস্থা অথবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনেক সময় লোগো এবং ছবি-সহ টি শার্ট প্রিন্ট করা হয়। সামগ্রিক ভাবে এই ব্যবসাটিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
শুরুতে লাগবে ৫০-৭০ হাজার টাকা
খুব কম মূলধন দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। আপনি শুধুমাত্র ৫০-৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে টি-শার্ট প্রিন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। এর পরে যদি আপনি এই ব্যবসায় সফল হন, তা হলে আপনার বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর সুযোগও পেয়ে যেতে পারেন। বিনিয়োগের আকারের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বাড়তে পারে মাসিক আয়ের পরিমাণও।
এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মধ্যস্থতাকারীকে এড়াতে পারলে টি-শার্ট প্রিন্টে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত লাভের মুখ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে নিজের পণ্য সরাসরি নিজেকেই বিক্রি করতে হবে।
এখন অনলাইনে বিক্রি সহজ
আজকাল মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটাই অভ্যস্ত। এটি আপনার পণ্যের বিপণনের জন্য একটি ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এই মাধ্যমটি কম ব্যয়বহুল এবং আপনাকে শুধু একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে বা এটি একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
অটোমেটিক মেশিনে উৎপাদন দ্বিগুণ
ধীরে ধীরে আপনি নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন। ব্যবসার এই বৃদ্ধির সময় আপনি একটি দামি মেশিনও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আরও ভালো মানের এবং আরও বেশি সংখ্যক টি-শার্ট প্রিন্ট করা সম্ভব। ম্যানুয়াল মেশিনের দাম সস্তা। যা দিয়ে একটা টি-শার্ট প্রিন্ট করতে প্রায় এক মিনিট সময় লাগে। তবে অটোমেটিক মেশিনে এই সংখ্যা দ্বিগুণ।
আরও পড়তে পারেন: হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
শিল্প-বাণিজ্য
বার্ষিক জিএসটি রিটার্ন দাখিলের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
নির্ধারিত তারিখটি আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ২০২০ অর্থবর্ষের বার্ষিক জিএসটি (GST) রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য শেষ তারিখ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই মেয়াদ বাড়িয়ে মার্চ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত করে দিল।
অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (CBIC) এ দিন জানিয়েছে, “এই সময়সীমার মধ্যে জিএসটি রিটার্ন জমা করতে করদাতারা যে সব সমস্যার কথা প্রকাশ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য জিএসটিআর-৯ এবং জিএসটিআর -৯সি দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখটি আরও বাড়িয়ে ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন”।
জিএসটিআর-৯ হল জিএসটি নথিভুক্ত করদাতাদের বার্ষিক রিটার্ন। এটি বিভিন্ন ট্যাক্স স্তরের অধীনে তৈরি বা প্রাপ্ত বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহ সম্পর্কিত বিবরণ নিয়ে গঠিত। জিএসটিআর -৯সি হল জিএসটিআর -৯ এবং বার্ষিক আর্থিক অডিট সমন্বিত একটি বিবৃতি।
অর্থাৎ, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে করদাতারা আর ৩১ দিন অতিরিক্ত সময় হাতে পেলেন। এই সময়ের মধ্যে জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার জন্য তাঁরা পর্যাপ্ত সময় পাবেন বলেই ধারণা করছেন কর বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়তে পারেন: মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
শিল্প-বাণিজ্য
মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
রাশিয়া, কাতার এবং কুয়েতের মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে উৎপাদন বাড়াতে চাপ তৈরি করছে ভারত।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বেলাগাম পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসে লাগাম পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম কমতে পারেন।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া, কাতার এবং কুয়েতের মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে উৎপাদন বাড়াতে চাপ তৈরি করছে ভারত। যাতে ব্যারেল প্রতি জ্বালানি আমদানির ব্যয় কমবে। ফলস্বরূপ খুচরো জ্বালানির দামও কমে যেতে পারে।
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে খুচরো বাজারেও দাম বেড়েছে। করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন সরবরাহও কমানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “তেল সরবরাহকারী দেশগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সরবরাহের পরিমাণ আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এশিয়ার সমস্ত দেশ একই সঙ্গে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, কিছু একটা ফারাক আসতে চলেছে”।
মন্ত্রী দাবি করেন, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন। তাদের তেলের উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে, যাতে জ্বালানির দাম কমানো যায়। তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম কবে কমবে, তা আন্দাজ করা যায় না। “তবে রান্নার গ্যাস, ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে হ্রাস পেতে পারে”।
আরও পড়তে পারেন: পেট্রোল ও ডিজেলের দামে কী ভাবে পড়বে লাগাম, সরকারকে বিশেষ পরামর্শ আরবিআই গভর্নরের
শিল্প-বাণিজ্য
বেড়েছে রাজস্ব ঘাটতি, জানুয়ারির শেষে পৌঁছেছে ১২.২৩ লক্ষ কোটি টাকায়
আর্থিক ঘাটতি কাটাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। তবে সরকারের আয় কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে!

খবর অনলাইন ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের কারণে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ হ্রাস পাওয়ায় সরকারের আয়ের পরিমাণও এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। যে কারণে সরকারের আর্থিক ঘাটতিও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অৰ্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সরকারকে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে। বর্তমানে সরকারের আয় হ্রাস পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই আর্থিক ঘাটতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজকোষে ঘাটতি ১২ লক্ষ কোটির উপর
পিটিআই-এরএকটি খবরে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) শেষ নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ঘাটতি ১২.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছেছে। এটি সংশোধিত বাজেটের মূল্যায়নের প্রায় ৬৬.৮ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে, জানুয়ারির শেষদিকে, আর্থিক ঘাটতি সংশোধিত মূল্যায়নের ১২৮.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। শুক্রবার কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টস (সিজিএ) এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
সিজিএ-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শেষ দিকে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে, আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৯.৫শতাংশ বা প্রায় ১৮.৪৮ লক্ষ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত আর্থিক ঘাটতি ছিল ১২,৩৫,০০৪ কোটি টাকা।
করোনার জেরে লকডাউনের ধাক্কা অর্থনীতিতে
গত বছরের মার্চ মাস থেকে দেশ জুড়ে জারি হয় লকডাউন। যার জেরে এক দিকে যেমন উৎপাদন চরম ভাবে ব্যাহত হয়, তেমনই সরকারের আয় এক লপ্তে কমে যায় নজিরবিহীন ভাবে।
ব্যয় এবং রাজস্ব আয়ের মধ্যে পার্থক্য বা আর্থিক ঘাটতি গত বছরের জুলাই মাসেই চওড়া আকার ধারণ করে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে সরকার ১২.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পেরেছে, যা সংশোধিত মূল্যায়নের প্রায় ৮০ শতাংশ। কর আয় হয়েছে ১১.০১ লক্ষ কোটি টাকা।
আরও পড়তে পারেন: আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য15 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের