শিল্প-বাণিজ্য
বুথ ফেরত সমীক্ষার ধাক্কায় উপরে চড়া শেয়ার বাজারের কিছু স্টকে চওড়া ধস!

ওয়েবডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা আগামী ২৩ মে, তা আগেই বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠনের আভাস মিলেছে। গত রবিবারের সেই সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখে সোমবার বাজার খুলতেই ঝড়ের গতিতে উপরে চড়েছিল সেনসেক্স-নিফটি। মঙ্গলবারেও তার রেশ রয়ে গেলেও বুধবার যেন ছন্দপতনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতীয় শেয়ার বাজারের দুই মূল সূচককে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি স্টকেও দেখা যাচ্ছে চওড়া ধস।
এ দিন শেয়ার বাজারে সব থেকে শোচনীয় অবস্থা জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের। বাজার খোলার সময় থেকেই ক্রমশ নিম্নগামী স্টকের দর একটা সময় পৌঁছে যায় ১০ শতাংশের খাদে। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ জিন্দলদের এই স্টক খুইয়েছে ১০.১১ শতাংশ দর। গত সোমবার ঠিক যতটা উঠেছিল এই স্টক, তার দ্বিগুণ পড়ল এ দিন। তবে এই পতনের কারণ হিসাবে সংস্থার চতুর্থ ত্রৈমাসিকে লোকসানের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অন্য দিকে দিওয়ান হাউজিং ফিনান্স কর্পোরেশনের স্টকেও দেখা গিয়েছে ১০ শতাংশের ধস। টেক মাহিন্দ্রা, টরেন্ট ফার্মা, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, আইটিসির স্টকেও উল্লেখযোগ্য পতন অব্যাহত। একই সঙ্গে আদানি, অম্বানি বা টাটার বিভিন্ন স্টকের দর একটা সময় পড়ে গিয়েও ফের অতিকষ্টে উপরের দিকে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
সব মিলিয়ে এ দিন সেনসেক্স সর্বোচ্চ ৩৯,১৯৬ পয়েন্ট ছুঁয়ে এলেও গত মঙ্গলবার বন্ধ হওয়ার সময় ৩৮,৯৬৯ পয়েন্টের নীচে নেমে দেখে এসেছে ৩৮,৯০৩ পয়েন্টও। অর্থাৎ, বুথ ফেরত সমীক্ষার ধাক্কায় গোঁত্তা খেয়ে উপরের দিকে ওঠা শেয়ার বাজারে ফের অস্থির পরিস্থিতি। আগামী বৃহস্পতিবার লোকসভা ভোটের ফলাফল। কোনো দলের বৃহস্পতি কতটা তুঙ্গে, সেটা বাস্তবিক ভাবে প্রকাশিত হতে হবে ওই দিনই। তার আগে পর্যন্ত শেয়ার বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতিটা যে দোলাচলের মধ্যে দিয়েই অতিক্রম করবে, তেমনটাই বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
শিল্প-বাণিজ্য
আবার এক ধাক্কা! এ বার সিএনজি এবং পিএনজির দাম বাড়ল দিল্লিতে
সিএনজি ৭০ পয়সা এবং পিএনজি গ্যাসে ৯১ পয়সা দাম বাড়ল।

নয়াদিল্লি: দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় এ বার বাড়ল সিএনজি (CNG) এবং পিএনজির (PNG) দাম। সিএনজি গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৭০ পয়সা এবং পিএনজি গ্যাসে ৯১ পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন হার মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
ইন্দ্রপ্রস্থ গ্যাস লিমিটেড (IGL) একটি বিবৃতিতে বলেছে, দিল্লিতে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসের দাম এখন প্রতি কেজি ৪৩.৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদে প্রতি কেজি সিএনজির দাম ৪৯.০৮ টাকা। দিল্লিতে পিএনজির নতুন দাম এখন প্রতি এসসিএম ২৮.৪১ টাকা।
উল্লেখ্য, সোমবার থেকে ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। এক মাসের মধ্যে চতুর্থ বার বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। ফেব্রুয়ারিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ১২৫ টাকা।
দিল্লিতে এখন ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮১৯ টাকা। এই বৃদ্ধি ভরতুকিকিযুক্ত এবং ভরতুকিবিহীন উভয় ধরনের সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
প্রসঙ্গত, সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস সংক্ষেপ সিএনজি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি রূপ। অন্যদিকে পিএনজি হল পাইপড ন্যাচারাল গ্যাস।
আরও পড়তে পারেন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার, রান্নার গ্যাসের দামে ফের পঁচিশ টাকা বৃদ্ধি
শিল্প-বাণিজ্য
বার্ষিক জিএসটি রিটার্ন দাখিলের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
নির্ধারিত তারিখটি আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ২০২০ অর্থবর্ষের বার্ষিক জিএসটি (GST) রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য শেষ তারিখ ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই মেয়াদ বাড়িয়ে মার্চ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত করে দিল।
অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (CBIC) এ দিন জানিয়েছে, “এই সময়সীমার মধ্যে জিএসটি রিটার্ন জমা করতে করদাতারা যে সব সমস্যার কথা প্রকাশ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য জিএসটিআর-৯ এবং জিএসটিআর -৯সি দাখিলের জন্য নির্ধারিত তারিখটি আরও বাড়িয়ে ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন”।
জিএসটিআর-৯ হল জিএসটি নথিভুক্ত করদাতাদের বার্ষিক রিটার্ন। এটি বিভিন্ন ট্যাক্স স্তরের অধীনে তৈরি বা প্রাপ্ত বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহ সম্পর্কিত বিবরণ নিয়ে গঠিত। জিএসটিআর -৯সি হল জিএসটিআর -৯ এবং বার্ষিক আর্থিক অডিট সমন্বিত একটি বিবৃতি।
অর্থাৎ, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে করদাতারা আর ৩১ দিন অতিরিক্ত সময় হাতে পেলেন। এই সময়ের মধ্যে জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার জন্য তাঁরা পর্যাপ্ত সময় পাবেন বলেই ধারণা করছেন কর বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়তে পারেন: মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
শিল্প-বাণিজ্য
মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
রাশিয়া, কাতার এবং কুয়েতের মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে উৎপাদন বাড়াতে চাপ তৈরি করছে ভারত।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বেলাগাম পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসে লাগাম পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম কমতে পারেন।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া, কাতার এবং কুয়েতের মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে উৎপাদন বাড়াতে চাপ তৈরি করছে ভারত। যাতে ব্যারেল প্রতি জ্বালানি আমদানির ব্যয় কমবে। ফলস্বরূপ খুচরো জ্বালানির দামও কমে যেতে পারে।
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে খুচরো বাজারেও দাম বেড়েছে। করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন সরবরাহও কমানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “তেল সরবরাহকারী দেশগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সরবরাহের পরিমাণ আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এশিয়ার সমস্ত দেশ একই সঙ্গে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, কিছু একটা ফারাক আসতে চলেছে”।
মন্ত্রী দাবি করেন, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন। তাদের তেলের উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে, যাতে জ্বালানির দাম কমানো যায়। তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম কবে কমবে, তা আন্দাজ করা যায় না। “তবে রান্নার গ্যাস, ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে হ্রাস পেতে পারে”।
আরও পড়তে পারেন: পেট্রোল ও ডিজেলের দামে কী ভাবে পড়বে লাগাম, সরকারকে বিশেষ পরামর্শ আরবিআই গভর্নরের
-
রাজ্য2 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ফুটবল2 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল
-
রাজ্য2 days ago
কলকাতায় তেজস্বী যাদব, হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ