নয়াদিল্লি: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকে আইনি আইনি বৈধতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার শীর্ষ আদালত ভারতে ভার্চুয়াল কারেন্সি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং বিটকয়েনের কেনাবেচার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
২০১৮ সালে একাধিক নির্দেশে ভারতে অদৃশ্য মুদ্রা কেনাবেচার উপর সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আরবিআই। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা যাবে না। এই সমস্ত নির্দেশের মাঝেই শীর্ষ আদালতে আরবিআইয়ের নিষেজ্ঞার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। শুনানিও হয় বেশ কয়েকবার। অবশেষে এ দিন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই সংশ্লিষ্ট মহলে খুশির হাওয়া বইছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ভীষণ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে। বিটকয়েন-সহ বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল মুদ্রার কেনাকাটা এ দেশেও শুরু হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞায় তা স্থগিত হয়ে যায়। ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল, সেটাই দূরীভূত করল শীর্ষ আদালত।
গত ২০১৮ সালের শুরুর দিকেই দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে বিট কয়েন-সহ যে কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল আরবিআই। এর পর গত ৬ এপ্রিলের একটি নির্দেশিকাকে কেন্দ্রে করে অভিযোগ দায়ের হয় দিল্লি হাইকোর্টে। পরে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা সংক্রান্ত মামলাটি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে।
যদিও ব্যাঙ্ক, খুচরো ক্রেতা-সহ সংশ্লিষ্ট সাধারণকে আরবিআই প্রথম সতর্ক করে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। তার পর ২০১৭-র ফেব্রুয়ারি মাসে ফের সতর্ক করা হয়। শেষ বার গত ডিসেম্বর মাসেও ওই একই সতর্কতা বাণী শোনানো হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট মহল কোনো ভাবেই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসাকে বেআইনি ভাবতে পারছে না।
সাবধান! রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাবিত লক্ষ্মী কয়েনের নাম নিয়ে ফয়দা লুঠছেন দালালরা
এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় সরকারকেও। গত বছরের জুলাইয়ে জমা পড়ে ‘ব্যানিং অব ক্রিপ্টোকারন্সি অ্যান্ড রেজুলেশন অব অফিসিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল ২০১৯’-এর খসড়া প্রস্তাব। ওই বিলে বিটকয়েন অথবা রিপেল কয়েনের মতো সরকার অনিয়ন্ত্রিত ভার্চুয়াল কারেন্সি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বিলে একটি উচ্চ-স্তরের সরকারী প্যানেল সমস্ত ভার্চুয়াল ক্রিপ্টোকারেন্সি ভারতে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করে। পাশাপাশি রয়েছে তা ব্যবহার রুখতে কঠোর শাস্তির প্রস্তাবও।