মুম্বই: রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা এলআইসি-র বিলগ্নিকরণে ‘লিস্টিং’ প্রক্রিয়া আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ অংশীদারিত্ব বাজারে ছাড়ার আগে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অ্যাক্ট, ১৯৫৬-র সংশোধন অবশ্যাম্ভাবী।
জানা গিয়েছে, এলআইসির প্রস্তাবিত ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও)-এর আগে ওই আইনের ২৪, ২৮ এবং ৩৭ ধারায় সংশোধন করা হবে। ধারা ২৪, যেখানে রয়েছে সংস্থার কাঠামোগত পরিচালনা সম্পর্কিত বিষয়টি। ধারা ২৮, লভ্যাংশ বিতরণ সম্পর্কিত এবং ধারা ৩৭-এ রয়েছে, সংস্থার সমস্ত পলিসিতে সরকারি গ্যারান্টি সরবরাহের বিষয়।
এই তিনটি ধারা পরিবর্তন বা সংশোধন না করে হলে এলআইসি-র ‘লিস্টিং’ কোনো মতেই সম্ভব নয় বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। এই কাজ আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলেও তারা মনে করে না। যদিও সরকারি সূত্রে আগেই দাবি করা হয়েছে, আগামী ২০২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ধাপে আইপিও ছাড়া হতে পারে এলআইসি-র।
এ ক্ষেত্রে তুল্যমূল্য বিচারে বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন এসবিআই লাইফের আইপিও-র প্রসঙ্গটি। এসবিআইয়ে সংস্থাগত পরিকাঠামোর জেরে বাজারে আইপিও ছাড়তে তেমন কোনো আইনি জটিলতা ছিল। একই ভাবে এম্বেডেড ভ্যালু বা ইভি রিপোর্ট প্রস্তুতিতেও মাত্র ৯-১২ মাস সময় লেগেছিল। কিন্তু এলআইসি-র ক্ষেত্রে আরও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন আইডিবিআই ব্যাঙ্ক নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত এলআইসি-র!
এলআইসি অ্যাক্টের সংশোধনী নিয়ে আইনি জটিলতার পাশাপাশি রয়েছে সংস্থার পরিকাঠামোগত সংজ্ঞা পরিবর্তন। এলআইসি-কে কোম্পানি অ্যাক্ট অনুযায়ী কোম্পানি-তে রূপান্তরিত করাই সব থেকে বড়ো সমস্যা। এ ক্ষেত্রে পলিসি হোল্ডারদের সঙ্গে শেয়ার হোল্ডারদের উদ্বৃত্ত ভাগাভাগি নিয়েও চরম জটিলতা দেখা দিতে পারে।
সব মিলিয়ে সংস্থার আর্থিক মূল্যায়ন এবং মূলধন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে সমূহ বেগ পেতে হবে কেন্দ্রকে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।