ওয়েবডেস্ক: আয়করের নিয়ম বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কর জমা করা ফর্মের ধরনও বদলে গেল অনেকটাই। গত বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্স বা সিবিডিটি পেশ করল নতুন আর্থিক বছর ২০১৮-১৯-এর জন্য নয়া ফর্ম। এই নতুন ফর্মে সব থেকে বড়ো সংযোজন হল বেতনভোগীদের জন্য আলাদা করে বেতনের ব্রেকআপ এবং ব্যবসায়ীদের জন্য পৃথক জিএসটি নম্বর এবং বার্ষিক লেনদেনের বিবরণ দেওয়ার অংশটি।
অবশ্য আয়কর নির্ধারক সংস্থাটি জানিয়েছে, এ বারের আয়কর নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। যে কারণে তার সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত কিছু বদল ঘটেছে ফর্মেও। তবে মূল অংশের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। করদাতাদের কাছে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য জ্ঞাপন করতে বলা হয়েছে। যেমন বেতনভোগী কর্মীরা তাঁদের পাওয়া বেতনের একটি ব্রেকআপ দিতে বাধ্য থাকবেন নতুন নিয়মে। করযোগ্য নয় এমন প্রাপ্যের উল্লেখ, আবার বেতনবৃদ্ধির ফলে বাড়তি আয়-সহ ফর্ম-১৬-য় ডিডাকশনের হিসাব দিতে হবে এ বার থেকে। আবার ব্যবসায়ী শ্রেণী তাদের জিএসটি নম্বর উল্লেখ করে জানাবেন একটি আর্থিক বছরে তাদের মোট লেনদেনের বিশদ বিবরণ।
আরও পড়ুন: ১ এপ্রিল চালু হয়ে গেল নতুন কর পদ্ধতি, জেনে নিন খুঁটিনাটি
আয়কর জমা করার প্রথম ধাপ আইটিআর-১ বা সহজের আওতায় গত বছর প্রায় তিন কোটি নাগরিক তাঁদের আয়ের তথ্য জমা করেছেন।
আইটিআর -২ “ব্যক্তি বা এইচআইএফ” (হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের) জন্য ব্যবসার বা পেশা ব্যতীত অন্য কোনও শিরোনামের আয়ের আওতাভুক্ত হয়েছে।আয়কর নির্ধারক সংস্থা জানিয়েছে, প্রধান ব্যবসা বা পেশা থেকে আয় করা ব্যক্তি এবং এইচআইএফগুলি আইটিআর -৩ বা আইটিআর -৪ পূরণ করতে পারবেন।আইটিআর -৪ এর অধীনে, ব্যবসায়ীরা এবং অন্য পেশায় যুক্ত করদাতা সম্ভাব্য আয়ের মূল্য নির্ধারণ করে তাঁদের জিএসটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং টার্নওভার জানাতে বাধ্য থাকবেন।